৩০ শতাংশের মধ্যে আছে মাত্র আড়াই-শেয়ার কিনবেন, না পদ ছাড়বেন সিদ্ধান্তহীনতায় ইনটেক পরিচালকরা by নাজমুল আলম শিশির
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (এসইসি) কম্পানির পরিচালকদের ৩০ শতাংশ শেয়ারধারণের বাধ্যবাধকতার আইন করায় 'ইনটেক অনলাইন লিমিটেড' নামের কম্পানিটি আলোচনায় চলে এসেছে। প্রযুক্তি খাতের এ কম্পানির সব পরিচালক মিলে মোট শেয়ারের মাত্র ২.৫৬ শতাংশ শেয়ার ধারণ করছে, যা পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম। কম্পানির পরিচালকরা বলছেন, দেশের প্রচলিত আইন মেনেই কম্পানিটি পরিচালিত হচ্ছে।
আইন অনুসারেই ভবিষ্যতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে কম্পানিটি পরিচালিত হবে। তবে পরিচালকরা এখনো শেয়ার কেনা বা পরিচালনা পদ ছেড়ে দেওয়া বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। বর্তমানের ইনটেক অনলাইনের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আশিকুর রহমান। এ ছাড়া অন্য পরিচালকরা হচ্ছেন শামসুল আলম, আরিফুর রহমান ও মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ।
ডিএসইর তথ্য মতে, ইনটেক অনলাইনের পরিচালকদের হাতে মোট শেয়ারের ২.৫৬ শতাংশ রয়েছে। ৩০ শতাংশ শেয়ারের বাধ্যবাধকতা পূরণের জন্য পরিচালকদের বাজার থেকে আরো ২৭.৪৪ শতাংশ শেয়ার কিনতে হবে। কম্পানিটির মোট শেয়ারের পরিমাণ এক কোটি ৫৯ লাখ ২৭ হাজার ৯৪৪টি। ফলে ৩০ শতাংশ পূরণের জন্য পরিচালকদের আরো ৪৩ লাখ ৭০ হাজার ৬২৭টি শেয়ার কিনতে হবে। গতকাল সর্বশেষ বাজারদর অনুসারে ১৩ কোটি ৫০ লাখ ৫২ হাজার ৩৭৪ টাকার শেয়ার কিনতে হবে পরিচালকদের। ইনটেক অনলাইনের উদ্যোক্তা পরিচালক শামসুল আলম বলেন, 'প্রথম থেকেই আমার অতি অল্প শেয়ার ছিল। আমি বিক্রিও করেছি অনেক কম। এত দিন আমাদের শেয়ার কম থাকলেও তাতে আইনের কোনো বাধা ছিল না। আমরা আইন মেনেই পরিচালক ছিলাম।' তিনি আরো বলেন, উদ্যোক্তা পরিচালকদের ৩০ শতাংশ শেয়ার সংরক্ষণের যে আইন করা হচ্ছে, তা অবশ্যই একটি ভালো উদ্যোগ।'
কম্পাটির আরেক পরিচালক আরিফুর রহমান বলেন, 'এসইসি পরিচালকদের শেয়ার সংরক্ষণের আইনটি খুবই ভালো এবং যুগোপযোগী হয়েছে। তবে পরিচালকদের শেয়ার সংরক্ষণের আইন আরো আগে করতে পারলে বেশি ভালো হতো।' যখন আইপিওর মাধ্যমে কম্পানি পুঁজিবাজারে আসে তখন থেকেই এ আইন করা উচিত ছিল বলে মনে করেন তিনি। তাহলে বর্তমান সমস্যা হয়তো হতো না।
পরিচালকদের শেয়ার সংরক্ষণের আইনের শুভঙ্করের ফাঁকি থাকতে পারে মন্তব্য করে আরিফুর রহমান বলেন, 'যদি কেউ ৫ শতাংশ শেয়ার ধারণ করে পরিচালক হয়ে যান, তাহলে তো তিনি শেয়ার বিক্রি করতে পারবেন না। তাহলে তাঁর লাভ কী হবে?' আরিফুর রহমান আরো বলেন, 'এখন শেয়ার কিনব নাকি পরিচালনা পর্ষদ থেকে বিদায় নেব, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি।'
ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ইনটেক অনলাইন ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারিতে যাত্রা শুরু করে। আর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ২০০২ সালে। তৃতীয় প্রান্তিকে আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে কম্পানিটির মোট সম্পদের পরিমাণ ১৬ কোটি ৯৯ লাখ ৫৬ হাজার ১৫৩ টাকা।
ডিএসইর তথ্য মতে, ইনটেক অনলাইনের পরিচালকদের হাতে মোট শেয়ারের ২.৫৬ শতাংশ রয়েছে। ৩০ শতাংশ শেয়ারের বাধ্যবাধকতা পূরণের জন্য পরিচালকদের বাজার থেকে আরো ২৭.৪৪ শতাংশ শেয়ার কিনতে হবে। কম্পানিটির মোট শেয়ারের পরিমাণ এক কোটি ৫৯ লাখ ২৭ হাজার ৯৪৪টি। ফলে ৩০ শতাংশ পূরণের জন্য পরিচালকদের আরো ৪৩ লাখ ৭০ হাজার ৬২৭টি শেয়ার কিনতে হবে। গতকাল সর্বশেষ বাজারদর অনুসারে ১৩ কোটি ৫০ লাখ ৫২ হাজার ৩৭৪ টাকার শেয়ার কিনতে হবে পরিচালকদের। ইনটেক অনলাইনের উদ্যোক্তা পরিচালক শামসুল আলম বলেন, 'প্রথম থেকেই আমার অতি অল্প শেয়ার ছিল। আমি বিক্রিও করেছি অনেক কম। এত দিন আমাদের শেয়ার কম থাকলেও তাতে আইনের কোনো বাধা ছিল না। আমরা আইন মেনেই পরিচালক ছিলাম।' তিনি আরো বলেন, উদ্যোক্তা পরিচালকদের ৩০ শতাংশ শেয়ার সংরক্ষণের যে আইন করা হচ্ছে, তা অবশ্যই একটি ভালো উদ্যোগ।'
কম্পাটির আরেক পরিচালক আরিফুর রহমান বলেন, 'এসইসি পরিচালকদের শেয়ার সংরক্ষণের আইনটি খুবই ভালো এবং যুগোপযোগী হয়েছে। তবে পরিচালকদের শেয়ার সংরক্ষণের আইন আরো আগে করতে পারলে বেশি ভালো হতো।' যখন আইপিওর মাধ্যমে কম্পানি পুঁজিবাজারে আসে তখন থেকেই এ আইন করা উচিত ছিল বলে মনে করেন তিনি। তাহলে বর্তমান সমস্যা হয়তো হতো না।
পরিচালকদের শেয়ার সংরক্ষণের আইনের শুভঙ্করের ফাঁকি থাকতে পারে মন্তব্য করে আরিফুর রহমান বলেন, 'যদি কেউ ৫ শতাংশ শেয়ার ধারণ করে পরিচালক হয়ে যান, তাহলে তো তিনি শেয়ার বিক্রি করতে পারবেন না। তাহলে তাঁর লাভ কী হবে?' আরিফুর রহমান আরো বলেন, 'এখন শেয়ার কিনব নাকি পরিচালনা পর্ষদ থেকে বিদায় নেব, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি।'
ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ইনটেক অনলাইন ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারিতে যাত্রা শুরু করে। আর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ২০০২ সালে। তৃতীয় প্রান্তিকে আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে কম্পানিটির মোট সম্পদের পরিমাণ ১৬ কোটি ৯৯ লাখ ৫৬ হাজার ১৫৩ টাকা।
No comments