বাংলাদেশে দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবসা করতে চান জার্মানির বিনিয়োগকারীরা
জার্মানির ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবসা করতে চান। দেশটির রাষ্ট্রপতি ক্রিশ্চিয়ান ভুল্ফের সঙ্গে ঢাকায় আসা ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের প্রধান ও জার্মান অর্থ মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগের পরিচালক ড. কার্ল আর্নেস্ট ব্রনার বলেছেন, 'আমরা এ দেশে ক্ষণিকের জন্য ব্যবসা করতে আসিনি। বরং জার্মানির ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবসা করতে আগ্রহী।'গতকাল মঙ্গলবার ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন
এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে এক মধ্যহ্ন ভোজসভায় আর্নেস্ট ব্রনার এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে জার্মান প্রতিনিধিদলের সদস্যরা ও এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি এ কে আজাদসহ বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
গত সোমবার জার্মানির রাষ্ট্রপতি তিন দিনের সফরে ঢাকায় আসেন। তাঁর সঙ্গে আসা ব্যবসায়ীরা এ দেশে বিনিয়োগের সম্ভাব্যতা খতিয়ে দেখছেন। তাদের সৌজন্যে ঢাকার রূপসী বাংলা হোটেলে ওই ভোজ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এফবিসিসিআই। এতে সহযোগিতা করেছে আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠান ডিএইচএল।
এ কে আজাদ বলেন, 'বাংলাদেশে জার্মানির বিনিয়োগ আট কোটি ডলার। আমরা আশা করি, আগামী দিনে এই বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়বে। বিশেষ করে তারা উচ্চ প্রযুক্তির পণ্য উৎপাদনে বিনিয়োগ করবে। বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বাধা ছিল। সেগুলো নিয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। জমি ও অবকাঠামো সুবিধা দিতে পারলে তারা এখনই ১০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।'
বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুবিধাজনক দিকগুলো তুলে ধরে এ কে আজাদ বলেন, 'বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি টেকসই নীতি রক্ষা করে চলছে। পাশের দেশগুলোর তুলনায় এ দেশে পণ্য উৎপাদনের খরচ ২০-২৫ শতাংশ কম। পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রায় ১৫ কোটি লোকের একটি অভ্যন্তরীণ বাজার আছে।' ড. কার্ল আর্নেস্ট ব্রনার বলেন, জার্মানি ও বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের ভারসাম্য বাংলাদেশের অনুকূলে। তবে এ নিয়ে জার্মানি মোটেও চিন্তিত নয়। আমরা বাংলাদেশকে শক্তিশালী করার মধ্য দিয়ে নিজেদের শক্তি খুঁজছি। কারণ বাংলাদেশ শিল্পের দিক দিয়ে শক্তিশালী হলে জার্মার্নিরও লাভ। কারণ জার্মানি বাংলাদেশের শিল্পায়নের জন্য ভালো উপকরণ সরবরাহ করতে পারে। এটা দুই পক্ষের জন্যই একটি সুবিধাজনক অবস্থান। জার্মান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, এক বছর আগে 'স্পেশাল ইকোনমিক জোনের' বিল পাস হয়েছে। এখন পর্যন্ত জমি চিহ্নিত হয়নি। অবকাঠামো ঠিক করা হয়নি। সম্প্রতি শুধু একটি নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। আমরা দ্রুত এর বাস্তবায়ন দেখতে চাই।'
সাইফুল ইসলাম বলেন, ইকোনমিক জোনগুলো হয়ে গেলে তার একটি দুটিতে জার্মানের বিনিয়োগকারীরাও বিনিয়োগ করতে পারেন।
অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি জসিম উদ্দিন ও মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু উপস্থিত ছিলেন।
গত সোমবার জার্মানির রাষ্ট্রপতি তিন দিনের সফরে ঢাকায় আসেন। তাঁর সঙ্গে আসা ব্যবসায়ীরা এ দেশে বিনিয়োগের সম্ভাব্যতা খতিয়ে দেখছেন। তাদের সৌজন্যে ঢাকার রূপসী বাংলা হোটেলে ওই ভোজ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এফবিসিসিআই। এতে সহযোগিতা করেছে আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠান ডিএইচএল।
এ কে আজাদ বলেন, 'বাংলাদেশে জার্মানির বিনিয়োগ আট কোটি ডলার। আমরা আশা করি, আগামী দিনে এই বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়বে। বিশেষ করে তারা উচ্চ প্রযুক্তির পণ্য উৎপাদনে বিনিয়োগ করবে। বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বাধা ছিল। সেগুলো নিয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। জমি ও অবকাঠামো সুবিধা দিতে পারলে তারা এখনই ১০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।'
বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুবিধাজনক দিকগুলো তুলে ধরে এ কে আজাদ বলেন, 'বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি টেকসই নীতি রক্ষা করে চলছে। পাশের দেশগুলোর তুলনায় এ দেশে পণ্য উৎপাদনের খরচ ২০-২৫ শতাংশ কম। পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রায় ১৫ কোটি লোকের একটি অভ্যন্তরীণ বাজার আছে।' ড. কার্ল আর্নেস্ট ব্রনার বলেন, জার্মানি ও বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের ভারসাম্য বাংলাদেশের অনুকূলে। তবে এ নিয়ে জার্মানি মোটেও চিন্তিত নয়। আমরা বাংলাদেশকে শক্তিশালী করার মধ্য দিয়ে নিজেদের শক্তি খুঁজছি। কারণ বাংলাদেশ শিল্পের দিক দিয়ে শক্তিশালী হলে জার্মার্নিরও লাভ। কারণ জার্মানি বাংলাদেশের শিল্পায়নের জন্য ভালো উপকরণ সরবরাহ করতে পারে। এটা দুই পক্ষের জন্যই একটি সুবিধাজনক অবস্থান। জার্মান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, এক বছর আগে 'স্পেশাল ইকোনমিক জোনের' বিল পাস হয়েছে। এখন পর্যন্ত জমি চিহ্নিত হয়নি। অবকাঠামো ঠিক করা হয়নি। সম্প্রতি শুধু একটি নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। আমরা দ্রুত এর বাস্তবায়ন দেখতে চাই।'
সাইফুল ইসলাম বলেন, ইকোনমিক জোনগুলো হয়ে গেলে তার একটি দুটিতে জার্মানের বিনিয়োগকারীরাও বিনিয়োগ করতে পারেন।
অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি জসিম উদ্দিন ও মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু উপস্থিত ছিলেন।
No comments