আসিফের সেঞ্চুরির পাশে উজ্জ্বল আশরাফুলও

দ্বিতীয় রাউন্ডে দুই ঢাকার লড়াইয়ে ঢাকা মেট্রোকে জিতিয়েছিল আসিফ আহমেদের হার-না-মানা ৭৬ রানের ম্যাচ উইনিং ইনিংস। ষষ্ঠ রাউন্ডে এসে এ তরুণ ব্যাট হাতে আরো উজ্জ্বল। এবার তাঁর দল জিতবে কি না, তা এখনই বলার উপায় নেই। তবে কাল ফতুল্লায় আসিফের ১৫২ রানের ইনিংসে রংপুরের বিপক্ষে বড় সংগ্রহের পথ খুলে গেছে ঢাকা মেট্রোর। এখানে আরেকজনের কথা না বললেই নয়। আগের রাউন্ডে ১১৬ রানের ইনিংস দিয়ে রানে ফেরা মোহাম্মদ


আশরাফুল এবার করেছেন ৭১ রান। আসিফের সঙ্গে তাঁর ২২৫ রানের পার্টনারশিপেই না দারুণভাবে ম্যাচের দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে মেট্রো।
তবে ভালোভাবে দিন শেষ করাই কিন্তু পরের দিনের সাফল্যের নিশ্চয়তা নয়। ষষ্ঠ রাউন্ড যেন সেটিই প্রমাণ করে চলেছে। রংপুরের কথাই ধরুন। ৫ উইকেটে ৩০৪ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরুর পর তারা আর মাত্র ৫০ রানই যোগ করতে পেরেছে। তাদের ৩৫৪ রানের জবাব দিতে নেমে ২ রানেই সঙ্গী ওপেনারকে হারান আশরাফুল। সেখান থেকে আসিফকে নিয়ে অনেকটা পথ পাড়ি দেওয়া জাতীয় দলের সাবেক এ অধিনায়ক ৭১ রান করতে খেলেছেন ১৯৮ বল। ২৫৫ মিনিট উইকেটে থেকে বাউন্ডারি মেরেছেন পাঁচটি। রক্ষণাত্মক আশরাফুলের সঙ্গী আসিফ অবশ্য আক্রমণ করেই খেলেছেন। এ জন্যই ১৫২ রানের ইনিংসটি খেলতে লেগেছে ১৫৬ বল। আর এ ইনিংসটি সাজাতে ২২ বাউন্ডারির সঙ্গে মেরেছেন একটি ছক্কাও।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বরিশালের দিনের শুরুটাও রংপুরের মতোই। ৬ উইকেটে ২৫০ নিয়ে শুরু করে কিনা ২৬৪ রানেই শেষ। সকালে ৮ ওভারের মধ্যে তাদের শেষ করে দিয়েছেন আসলে সিলেটের দুই পেসার তাপস বৈশ্য (৫/৫০) ও আবু জাহেদ (৫/৭১)। এঁদের জবাব হতে যাচ্ছিলেন বরিশালের সৈয়দ রাসেল (৩/২১)। কিন্তু দ্রুত কিছু উইকেট হারালেও রাজিন সালেহ (৬১*) ও গোলাম রহমানের (৭৭) ১২৮ রানের পার্টনারশিপে বিপর্যয় সামলে নেওয়া সিলেট দিন শেষ করেছে ৬ উইকেটে ২০৮ রান তুলে।
তবে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা কার, এ প্রশ্নে পাল্লা দেবে চট্টগ্রাম ও ঢাকা। এ রাউন্ডের সেরা বোলার সম্ভবত হতে যাচ্ছেন খুলনার আল-আমিন হোসেন। প্রথম ইনিংসে ৫৩ রানে ৫ উইকেট নিয়ে চট্টগ্রামকে ২০০ রানে শেষ করে দেওয়া এ পেসার এবার আরো কমে শেষ করে দিতে পারেন প্রতিপক্ষকে। দ্বিতীয় ইনিংসে ১০০ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে চট্টগ্রাম। আল-আমিন ২৭ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। তবে খুলনার ব্যাটিংও উল্লেখ করার মতো নয়। ২৩৩ রান ৯ উইকেট হারাতেই ইনিংস ঘোষণা করে দেয় তারা। অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেছেন অধিনায়ক তুষার ইমরান (৯৫)। আর চট্টগ্রামের বোলার আবদুল্লাহ আল মামুনও ৩৫ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। রাজশাহীর বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৩১ রানে গুটিয়ে যাওয়া ঢাকার দ্বিতীয় ইনিংসের অবস্থাও সঙ্গীন। ১১২ রানেই নেই ৭ উইকেট। রাজশাহীও প্রথম ইনিংসে মাত্র ২১৪ রান করলেও ঢাকার ব্যর্থতায় আজই ম্যাচের ফল হওয়া একরকম নিশ্চিত।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বরিশাল-সিলেট
বরিশাল ১ম ইনিংস ৯৮ ওভারে ২৬৪/১০ (ইফতেখার ১৩২, শাহীন ৬৩; তাপস ৫/৫০, আবু জাহেদ ৫/৭১)
সিলেট ১ম ইনিংসে ৮০ ওভারে ২০৮/৬ (রাজিন ব্যাটিং ৬১, গোলাম রহমান ৭৭; রাসেল ৩/২১, ইফতেখার ২/১৮)
ঢাকা মেট্রো-রংপুর
রংপুর ১ম ইনিংস ১০৪.৫ ওভারে ৩৫৪/১০ (রবিউল ৪৫, তারিক ৮৫, মাহমুদুল ৩৭, তানভীর ৪৯, আরিফুল ৫১; তাসকিন ৪/৬৬, আশরাফুল ২/৫৬)
ঢাকা মেট্রো ১ম ইনিংস ৭৩ ওভারে ২৭৮/৪ (আশরাফুল ৭১, আসিফ ১৫২, শামসুর ব্যাটিং ২৯; শুভাশিষ ২/৪১, রনি ২/৭৪)
রাজশাহী-ঢাকা
ঢাকা ১ম ইনিংস ১৩১/১০ ও ২য় ইনিংস ৩৬ ওভারে ১১২/৭ (হান্নান ৭২, তায়েবুর ২০; দেলোয়ার ২/১৩, সাঞ্জামুল ২/২১)
রাজশাহী ১ম ইনিংস ৭১ ওভারে ২১৪/১০ (মিজানুর ২৭, হামিদুল ৫৭, সাঞ্জামুল ৪০*; মাহবুবুল ৫/৪৯, মোশাররফ ৪/৬৪)
চট্টগ্রাম-খুলনা
চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস ২০০ ও ২য় ইনিংস ৩০ ওভারে ১০০/৬ (নাফিস ২৩, নাজিম ব্যাটিং ১৫; আল-আমিন ৪/২৭, জিয়াউর ২/৩০)
খুলনা ১ম ইনিংস ৭২.১ ওভারে ২৩৩/৯ ডিক্লেয়ার্ড (মোসাদ্দেক ৭৪, তুষার ৯৫, সগীর ৩৬; আবদুল্লাহ ৫/৩৫, কামরুল ২/৬৪)

No comments

Powered by Blogger.