পোশাকি আদবকেতা by নওরিন আক্তার
পোশাকের মাধ্যমেই ফুটে ওঠে একজনের ব্যক্তিত্ব। কেবল সুন্দর পোশাক নির্বাচন করলেই হবে না, সেটা পরিবেশ ও পরিস্থিতির সঙ্গে মানানসই কি-না সেটা লক্ষ্য রাখা জরুরি। তাই সবসময় নিজের পছন্দ অনুযায়ী পোশাক নির্বাচন করলেও লক্ষ্য রাখতে হবে আবশ্যিক কিছু বিষয়ের ওপরে।জমকালো পার্টি হোক অথবা ঘরোয়া কোনো অনুষ্ঠান হোক, তোমার পোশাক যেন সবসময় পরিষ্কার ও পরিপাটি থাকে_ সেদিকে লক্ষ্য রেখো। পোশাক নির্বাচন করার সময় সেটা
তোমাকে ঠিকঠাক মানাচ্ছে কি-না, তা যাচাই করে নেওয়া জরুরি। বেমানান পোশাক যে কোনো পরিস্থিতিতেই অস্বস্তিতে ফেলবে তোমাকে ও তোমার আশপাশের মানুষজনকে।
স্কুল-কলেজ-ভার্সিটিতে সবসময় ড্রেস কোড অনুযায়ী পোশাক পরা উচিত। নির্দিষ্ট ড্রেস কোড না থাকলেও ফরমাল পোশাক পরার চেষ্টা কর। ক্যাম্পাসে কোনো অফিসিয়াল কাজ থাকলে, সেদিন খুব বেশি রঙচঙা পোশাক কিংবা জুতা পরে না যাওয়াই ভালো। বন্ধুদের আড্ডা বা কোনো ক্যাজুয়াল উপলক্ষে জমকালো পোশাক না পরলেই ভালো করবে। কারণ খুব বেশি ফ্যাশনেবল পোশাক এ ধরনের পরিস্থিতির জন্য বেমানান। এতে বাকিরা বিব্রত হতে পারে। তবে কোনো ট্রেন্ডি পোশাক তোমাকে সহজে মানিয়ে গেলে সেটা পরতে পার।
অসুস্থ কাউকে দেখতে যাওয়ার সময় সাদাসিধে পোশাক পরো। বাজার করা অথবা দৈনন্দিন প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হলে আরামদায়ক পোশাক বেছে নাও। সবসময় আবহাওয়া উপযোগী পোশাক নির্বাচন করার চেষ্টা করবে। খুব গরমে আঁটসাঁট পোশাক কিংবা কনকনে শীতে হাতাকাটা বা স্বল্প পোশাক পরলে সেটা অন্যের কাছে হাস্যকর করে তুলবে তোমাকে। শোকার্ত পরিবেশে রঙচটা পোশাক কিংবা বাড়তি সাজ এড়িয়ে চলো। পার্টিতে জমকালো পোশাক পরতে পার। তবে পার্টির উদ্দেশ্য ও পরিবেশের সঙ্গে তা যেন খাপ খায়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা জরুরি।
ফর্মাল বা পারিবারিক পার্টি হলে পোশাক-আশাকে ধোপদুরস্ত থাকতে পার। আনন্দ উৎসবের কোনো উপলক্ষ হলে অনায়াসে মনের মতো স্টাইলিশ পোশাক বেছে নেওয়া যেতে পার। তবে সেটা যেন তোমার জন্য আরামদায়ক হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা জরুরি।
সন্ধ্যার পার্টিতে গাঢ় রঙ পরলেও দিনেরবেলা হালকা রঙ ও অল্প সাজেই স্বাচ্ছন্দ্য থাকো। পোশাকের সঙ্গে অন্যান্য অনুষঙ্গ ঠিকঠাক খাপ খাচ্ছে কি-না, সেদিকে নজর দেওয়া জরুরি। না হলে পুরো পোশাকই বেমানান দেখাবে।
শারীরিক কাঠামোর সঙ্গেও রয়েছে পোশাকের সম্পর্ক। দৈহিক গড়ন ও উচ্চতা মাথায় রেখে বেছে নিতে হবে উপযুক্ত পোশাক। যাদের স্বাস্থ্য একটু ভালো, তারা খুব আঁটসাঁট ও বড় প্রিন্টের পোশাক এড়িয়ে চল। শুকনো স্বাস্থ্য যাদের, তারা মোটা কাপড়ের কলার দেওয়া পোশাক পরতে পার। উচ্চতায় খাটোরা লম্বা ঝুলের পোশাক না পরলেই ভালো করবে। শুকনা ও লম্বা স্বাস্থ্য যাদের, তারা ছোট হাতার পোশাক পরলে ভালো দেখাবে।
মনে রেখ
ূ অন্যের অনুকরণে পোশাক পরবে না কখনও। পোশাক ও অনুষঙ্গ সবসময় নিজের রুচির ওপর নির্ভর করে নির্বাচন কর।
ূ কোন পোশাকটি তোমাকে মানাচ্ছে, সেটা তুমিই সবচেয়ে ভালো বুঝবে। মনে রেখ, পোশাক বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আরামকে প্রাধান্য দিতে হবে সবার আগে।
ূ পরিবেশ ও আশপাশের মানুষের মনোভাব যেন তোমার পোশাকে প্রতিফলিত হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা জরুরি।
স্কুল-কলেজ-ভার্সিটিতে সবসময় ড্রেস কোড অনুযায়ী পোশাক পরা উচিত। নির্দিষ্ট ড্রেস কোড না থাকলেও ফরমাল পোশাক পরার চেষ্টা কর। ক্যাম্পাসে কোনো অফিসিয়াল কাজ থাকলে, সেদিন খুব বেশি রঙচঙা পোশাক কিংবা জুতা পরে না যাওয়াই ভালো। বন্ধুদের আড্ডা বা কোনো ক্যাজুয়াল উপলক্ষে জমকালো পোশাক না পরলেই ভালো করবে। কারণ খুব বেশি ফ্যাশনেবল পোশাক এ ধরনের পরিস্থিতির জন্য বেমানান। এতে বাকিরা বিব্রত হতে পারে। তবে কোনো ট্রেন্ডি পোশাক তোমাকে সহজে মানিয়ে গেলে সেটা পরতে পার।
অসুস্থ কাউকে দেখতে যাওয়ার সময় সাদাসিধে পোশাক পরো। বাজার করা অথবা দৈনন্দিন প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হলে আরামদায়ক পোশাক বেছে নাও। সবসময় আবহাওয়া উপযোগী পোশাক নির্বাচন করার চেষ্টা করবে। খুব গরমে আঁটসাঁট পোশাক কিংবা কনকনে শীতে হাতাকাটা বা স্বল্প পোশাক পরলে সেটা অন্যের কাছে হাস্যকর করে তুলবে তোমাকে। শোকার্ত পরিবেশে রঙচটা পোশাক কিংবা বাড়তি সাজ এড়িয়ে চলো। পার্টিতে জমকালো পোশাক পরতে পার। তবে পার্টির উদ্দেশ্য ও পরিবেশের সঙ্গে তা যেন খাপ খায়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা জরুরি।
ফর্মাল বা পারিবারিক পার্টি হলে পোশাক-আশাকে ধোপদুরস্ত থাকতে পার। আনন্দ উৎসবের কোনো উপলক্ষ হলে অনায়াসে মনের মতো স্টাইলিশ পোশাক বেছে নেওয়া যেতে পার। তবে সেটা যেন তোমার জন্য আরামদায়ক হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা জরুরি।
সন্ধ্যার পার্টিতে গাঢ় রঙ পরলেও দিনেরবেলা হালকা রঙ ও অল্প সাজেই স্বাচ্ছন্দ্য থাকো। পোশাকের সঙ্গে অন্যান্য অনুষঙ্গ ঠিকঠাক খাপ খাচ্ছে কি-না, সেদিকে নজর দেওয়া জরুরি। না হলে পুরো পোশাকই বেমানান দেখাবে।
শারীরিক কাঠামোর সঙ্গেও রয়েছে পোশাকের সম্পর্ক। দৈহিক গড়ন ও উচ্চতা মাথায় রেখে বেছে নিতে হবে উপযুক্ত পোশাক। যাদের স্বাস্থ্য একটু ভালো, তারা খুব আঁটসাঁট ও বড় প্রিন্টের পোশাক এড়িয়ে চল। শুকনো স্বাস্থ্য যাদের, তারা মোটা কাপড়ের কলার দেওয়া পোশাক পরতে পার। উচ্চতায় খাটোরা লম্বা ঝুলের পোশাক না পরলেই ভালো করবে। শুকনা ও লম্বা স্বাস্থ্য যাদের, তারা ছোট হাতার পোশাক পরলে ভালো দেখাবে।
মনে রেখ
ূ অন্যের অনুকরণে পোশাক পরবে না কখনও। পোশাক ও অনুষঙ্গ সবসময় নিজের রুচির ওপর নির্ভর করে নির্বাচন কর।
ূ কোন পোশাকটি তোমাকে মানাচ্ছে, সেটা তুমিই সবচেয়ে ভালো বুঝবে। মনে রেখ, পোশাক বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আরামকে প্রাধান্য দিতে হবে সবার আগে।
ূ পরিবেশ ও আশপাশের মানুষের মনোভাব যেন তোমার পোশাকে প্রতিফলিত হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা জরুরি।
No comments