স্মরণীয় ম্যাচ-দু'দুটো স্বীকৃতি এনে দেওয়া সেই ম্যাচ
জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গা কোনটা? হঠাৎ দেখে যে কারো মনে হবে তাঁর উচ্চতা। লম্বায় ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি হওয়ায় বাতাসে ভেসে থাকা বলে স্বাভাবিকভাবেই অন্যদের চেয়ে একটু বাড়তি সুবিধা পান ইব্রা। কিন্তু আসলে সেটা তাঁর সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গা নয়! তাহলে কী?একেবারে নিখাদ স্ট্রাইকার যাঁরা, প্রতিপক্ষের গোলপোস্টের সামনে যাঁদের কাজকারবার, তাঁদের মাঝেমধ্যেই প্রতিপক্ষে ডিফেন্ডারদের কড়া ট্যাকলের শিকার হতে
হয়। সেই ট্যাকল কেউ তাঁর বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ আর কারুকাজ দিয়ে সামলে নেন, কেউ সামলান শরীরের শক্তি দিয়ে। ইব্রার দুটোই আছে এবং এ কারণেই তিনি গত কয়েক বছর ধরে বিশ্বসেরা স্ট্রাইকারদের একজন। আয়াঙ্, জুভেন্টাস, বার্সেলোনা, এসি মিলানের মতো বিশ্বসেরা ক্লাবগুলোতে দাপটের সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। কিন্তু ক্যারিয়ারের সুবর্ণ সময়ের কথা বললে সুইডিশ এ স্ট্রাইকার হয়তো বেছে নেবেন ইন্টার মিলানে তাঁর অবস্থানকালটা। ২০০৬-০৭ থেকে ২০০৮-০৯_টানা এই তিন মৌসুম তিনি কাটিয়েছেন ইন্টারে। তিনবারই সিরি এ'র শিরোপা জিতেছে তাঁর দল, ইব্রা নিজে একবার হয়েছেন সর্বোচ্চ গোলদাতা, বর্ষসেরা ফুটবলার, বর্ষসেরা দলের স্ট্রাইকার, পেয়েছেন সিরি এ গোল্ডেন বল আরো কত কী! ক্যারিয়ারের সবচেয়ে স্মরণীয় ম্যাচগুলোও এ সময়টাতেই খেলেছেন তিনি। তবে সবচেয়ে স্মরণীয় ম্যাচের কথা বললে হয়তো বেছে নেবেন ২০০৮-০৯ মৌসুমে বোলোনিয়ার বিপক্ষে ইন্টারের প্রথম ম্যাচটা, যেখানে করা তাঁর অসাধারণ গোলটা পরে স্বীকৃতি পেয়েছিল ইতালিয়ান লিগের বর্ষসেরা গোল হিসেবে। আতালান্তার বিপক্ষে মৌসুমের শেষ ম্যাচের স্মৃতিটাও নিশ্চয়ই টাটকা হয়ে আছে, যেখানে পর পর দুটো গোল করে ডিয়েগো মিলিতোকে পেরিয়ে গিয়েছিলেন ইব্রা, এক গোল এগিয়ে থেকে হয়েছিলেন মৌসুমের সর্বোচ্চ গোলদাতা।
এমন নয় যে বোলোনিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটা খুব টানটান উত্তেজনার ছিল কিংবা চাপের মুখে ছিলেন ইব্রা। তবু ওই ম্যাচটা তাঁর স্মরণীয় হয়ে থাকবে আসলে শুধু সেই গোলের কারণে। ২৫ মিনিটের সময় সতীর্থ আদ্রিয়ানো একটা দারুণ পাস দিলেন বোলোনিয়ার ডি-বঙ্রে কাছাকাছি। ইব্রা দাঁড়িয়ে ছিলেন গোলপোস্টের উল্টো দিকে মুখ করে। সেখান থেকে একটুও না ঘুরে ব্যাকহিল করে যেভাবে গোলরক্ষককে বোকা বানিয়েছিলেন সেটা দেখে শুধু দর্শকদের নয়, মুখ হাঁ হয়ে গিয়েছিল মাঠে থাকা সতীর্থ-প্রতিপক্ষদেরও! শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা ইন্টার জিতেছিল ২-১ গোলে।
আতলান্তার বিপক্ষে মৌসুমের শেষ ম্যাচটা ইব্রাহিমোভিচ শুরু করেছিলেন নামের পাশে ২৩টি সিরি এ গোল নিয়ে। ২৪ গোল নিয়ে সামনে মার্কো ডি ভাইয়ো আর ডিয়েগো মিলিতো দুজন। মৌসুমের সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে হলে শেষ ম্যাচে অন্তত দুটো গোল করতে হতো তখনকার ইন্টার মিলান তারকাকে। ১২ মিনিটে প্রথম গোলটা করে সেই পথে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ইন্টারের শিরোপা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগেই, তাই ওই ম্যাচ থেকে পাওয়ার ছিল না তেমন কিছু। কিছুটা গা ছাড়া অবস্থান তাদের পেয়ে তাই সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে লড়াই করছিল আতালান্তাও। একপর্যায়ে ম্যাচ তাই চলে গেল ৩-৩ সমতায়। সেখান থেকে ইন্টারকে ৪-৩ গোলের জয় এনে দেওয়ার দারুণ কৃতিত্বটাও ইব্রাহিমোভিচের। ৮৬ মিনিটে প্রায় একক প্রচেষ্টায় নিজের দ্বিতীয় গোলটা করে শুধু ইন্টারকেই দারুণ একটা জয় উপহার দিলেন না, নিজেও নিশ্চিত করলেন সিরি এ'র সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়াটা!
এমন নয় যে বোলোনিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটা খুব টানটান উত্তেজনার ছিল কিংবা চাপের মুখে ছিলেন ইব্রা। তবু ওই ম্যাচটা তাঁর স্মরণীয় হয়ে থাকবে আসলে শুধু সেই গোলের কারণে। ২৫ মিনিটের সময় সতীর্থ আদ্রিয়ানো একটা দারুণ পাস দিলেন বোলোনিয়ার ডি-বঙ্রে কাছাকাছি। ইব্রা দাঁড়িয়ে ছিলেন গোলপোস্টের উল্টো দিকে মুখ করে। সেখান থেকে একটুও না ঘুরে ব্যাকহিল করে যেভাবে গোলরক্ষককে বোকা বানিয়েছিলেন সেটা দেখে শুধু দর্শকদের নয়, মুখ হাঁ হয়ে গিয়েছিল মাঠে থাকা সতীর্থ-প্রতিপক্ষদেরও! শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা ইন্টার জিতেছিল ২-১ গোলে।
আতলান্তার বিপক্ষে মৌসুমের শেষ ম্যাচটা ইব্রাহিমোভিচ শুরু করেছিলেন নামের পাশে ২৩টি সিরি এ গোল নিয়ে। ২৪ গোল নিয়ে সামনে মার্কো ডি ভাইয়ো আর ডিয়েগো মিলিতো দুজন। মৌসুমের সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে হলে শেষ ম্যাচে অন্তত দুটো গোল করতে হতো তখনকার ইন্টার মিলান তারকাকে। ১২ মিনিটে প্রথম গোলটা করে সেই পথে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ইন্টারের শিরোপা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগেই, তাই ওই ম্যাচ থেকে পাওয়ার ছিল না তেমন কিছু। কিছুটা গা ছাড়া অবস্থান তাদের পেয়ে তাই সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে লড়াই করছিল আতালান্তাও। একপর্যায়ে ম্যাচ তাই চলে গেল ৩-৩ সমতায়। সেখান থেকে ইন্টারকে ৪-৩ গোলের জয় এনে দেওয়ার দারুণ কৃতিত্বটাও ইব্রাহিমোভিচের। ৮৬ মিনিটে প্রায় একক প্রচেষ্টায় নিজের দ্বিতীয় গোলটা করে শুধু ইন্টারকেই দারুণ একটা জয় উপহার দিলেন না, নিজেও নিশ্চিত করলেন সিরি এ'র সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়াটা!
No comments