ব্রাজিল ও জার্মানির উদ্যোক্তারা পাটজাত পণ্য কিনতে আগ্রহী by ফারজানা লাবনী
ব্রাজিল ও জার্মানির একাধিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পাট ও পাটজাতপণ্য কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আগামী মাসে এ বিষয়ে দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু হবে। ব্রাজিল থেকে ফিরে আসা প্রতিনিধিদলের সদস্যরা এ কথা জানিয়েছেন। আবার বিলম্বে হলেও গত সপ্তাহ থেকে স্থানীয়ভাবে খাদ্য মন্ত্রণালয় পাটজাত পণ্য কিনতে শুরু করেছে। তবে আরো বেশি পরিমাণে কিনতে সোমবার খাদ্য, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়,
বিজেএমসি, রাইস অ্যাসোসিয়েশনসহ সংশ্লিষ্ট একাধিক প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে বৈঠক হয়। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী কালের কণ্ঠকে বলেন, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণের চেষ্টা চলছে। এতে অচিরেই গুদামজাত পণ্য বিক্রিতে ইতিবাচক সুফল পাওয়া যাবে।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব আশরাফুল মকবুল কালের কণ্ঠকে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়ভাবে বিক্রি বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। এ লক্ষ্যে বৈঠক হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি উভয় খাতের শিল্প প্রতিষ্ঠানে মোড়কীকরণে পাটপণ্যের ব্যবহার আইন বাস্তবায়নে জোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয় বেশি পরিমাণে পাটজাত পণ্য কিনতে আগ্রহী। তবে গতকালের বৈঠকে তারা পাটজাত পণ্যের দাম কমানোর দাবি জানিয়েছে। বিক্রিতে গতিশীলতা আনতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় থেকে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে জানান পাটসচিব।
জুট ডাইভারফিকেশন প্রোমোশন সেন্টারের (জেডিপিসি) চেয়ারম্যান মোখলেসুর রহমান এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান মঞ্জুরুল আলম পাঁচ দিনের ব্রাজিল সফর শেষে গত ২৭ নভেম্বর দেশে ফিরে আসেন। মোখলেসুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সফরকালে প্রায় ৭০টি আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং ৩০টি দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে ইন্টারন্যাশনাল ন্যাচারাল ফাইবার অরগানাইজেশন এবং ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অরগানাইজেশন আয়োজিত সেমিনারে অংশ নিয়েছি। এ সময় একাধিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পাটের বাজার সম্প্রসারণে বৈঠক হয়। ব্রাজিলের একাধিক উদ্যোক্তা এ দেশের কাঁচাপাট কিনতে আগ্রহী। জার্মার্নির দুটি সংস্থাও কাঁচা পাট, সিভিসি এবং হোসিয়ান কেনার প্রস্তাব দিয়েছে।' তারা আগামী মাসে এ বিষয়ে দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু করবে বলে জানান তিনি।
চেয়ারম্যান বলেন, 'ব্রাজিলে ফেকাল ফাইফার নামের এক ধরনের আঁশ জনপ্রিয়। কিন্তু এ আঁশে ব্যবহার উপযোগী সব পণ্য তৈরি হয় না। তাই ব্রাজিলের ব্যবসায়ীদের পাটের প্রতি দুর্বলতা রয়েছে। তারা এ দেশ থেকে পাট কিনতে আগ্রহী। কিন্তু ব্রাজিলে বাংলাদেশের দূতাবাস নেই। তাই ব্যবসায়িক জটিলতা নিরসনে আমাদের কোনো প্রতিনিধিও নেই। ব্রাজিলের উদ্যোক্তারা আমাদের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি বিরাজমান সমস্যার সমাধানে অনুরোধ জানিয়েছেন।' তাই শুধু বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের একক উদ্যোগে ব্রাজিলে পাটের সম্ভাবনাময় বাজার সম্প্রসারণ সম্ভব নয় বলে তিনি জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বর্তন কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, পাটের বাজার সম্প্রসারণে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা রয়েছে। বিশেষভাবে অর্থ, পররাষ্ট্র ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা প্রয়োজন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, 'বছরে চার দিনের জন্য বিদেশ সফরে বিভিন্ন উদ্যোক্তার সঙ্গে আলোচনায় রাতারাতি ইতিবাচক সুফল আসবে না। বিদেশে নতুন ক্রেতা তৈরিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের কাজ করতে হবে। আবার 'মোড়কীকরণে পাটপণ্যের ব্যবহার' আইন মেনে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থা বিসিআইসি পাটের বস্তা কিনছে না। আবার অর্থ মন্ত্রণালয় পাটকলগুলোতে যথাসময়ে অর্থ সরবরাহ না করায় পণ্য তৈরি ও বিক্রিতে দেখা দেয় অচলাবস্থা।'
পাটের বাজার সম্প্রসারণে ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অরগানাইজেশনের ভূমিকা রয়েছে। গত চার বছর আমন্ত্রণ পাওয়ার পরও কৃষি মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠানটি আয়োজিত একাধিক সেমিনারে অংশগ্রহণ করেনি। দীর্ঘদিন পর বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবার সেখানে অংশ নিয়েছে বলে জানান জেডিপিসির চেয়ারম্যান মোখলেসুর রহমান।
মোখলেছুর রহমান হতাশা প্রকাশ করে বলেন, এ দেশের অনেক উদ্যোক্তা নানা ডিজাইনের পণ্য পর্যাপ্ত আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতার অভাবে বাজারজাত করতে পারছে না। সরকারিভাবে চট্টগ্রাম এবং রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে বিক্রয় প্রদর্শনী কেন্দ স্থাপনের পরিকল্পনা এখনো ফাইলবন্দি।
মধ্যপ্র্রাচ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং বিভিন্ন দাতা সংস্থার নিষেধাজ্ঞায় গত ছয় মাস সরকারি-বেসরকারি পাটকলগুলোর গুদামে এক হাজার ৩০০ কোটি টাকার পণ্য অবিক্রীত আছে। এ পরিস্থিতিতে নতুন বাজার তৈরিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের একাধিক প্রতিনিধিদল বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে নতুন বাজার খুঁজতে।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী কালের কণ্ঠকে বলেন, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণের চেষ্টা চলছে। এতে অচিরেই গুদামজাত পণ্য বিক্রিতে ইতিবাচক সুফল পাওয়া যাবে।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব আশরাফুল মকবুল কালের কণ্ঠকে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়ভাবে বিক্রি বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। এ লক্ষ্যে বৈঠক হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি উভয় খাতের শিল্প প্রতিষ্ঠানে মোড়কীকরণে পাটপণ্যের ব্যবহার আইন বাস্তবায়নে জোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয় বেশি পরিমাণে পাটজাত পণ্য কিনতে আগ্রহী। তবে গতকালের বৈঠকে তারা পাটজাত পণ্যের দাম কমানোর দাবি জানিয়েছে। বিক্রিতে গতিশীলতা আনতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় থেকে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে জানান পাটসচিব।
জুট ডাইভারফিকেশন প্রোমোশন সেন্টারের (জেডিপিসি) চেয়ারম্যান মোখলেসুর রহমান এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান মঞ্জুরুল আলম পাঁচ দিনের ব্রাজিল সফর শেষে গত ২৭ নভেম্বর দেশে ফিরে আসেন। মোখলেসুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সফরকালে প্রায় ৭০টি আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং ৩০টি দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে ইন্টারন্যাশনাল ন্যাচারাল ফাইবার অরগানাইজেশন এবং ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অরগানাইজেশন আয়োজিত সেমিনারে অংশ নিয়েছি। এ সময় একাধিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পাটের বাজার সম্প্রসারণে বৈঠক হয়। ব্রাজিলের একাধিক উদ্যোক্তা এ দেশের কাঁচাপাট কিনতে আগ্রহী। জার্মার্নির দুটি সংস্থাও কাঁচা পাট, সিভিসি এবং হোসিয়ান কেনার প্রস্তাব দিয়েছে।' তারা আগামী মাসে এ বিষয়ে দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু করবে বলে জানান তিনি।
চেয়ারম্যান বলেন, 'ব্রাজিলে ফেকাল ফাইফার নামের এক ধরনের আঁশ জনপ্রিয়। কিন্তু এ আঁশে ব্যবহার উপযোগী সব পণ্য তৈরি হয় না। তাই ব্রাজিলের ব্যবসায়ীদের পাটের প্রতি দুর্বলতা রয়েছে। তারা এ দেশ থেকে পাট কিনতে আগ্রহী। কিন্তু ব্রাজিলে বাংলাদেশের দূতাবাস নেই। তাই ব্যবসায়িক জটিলতা নিরসনে আমাদের কোনো প্রতিনিধিও নেই। ব্রাজিলের উদ্যোক্তারা আমাদের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি বিরাজমান সমস্যার সমাধানে অনুরোধ জানিয়েছেন।' তাই শুধু বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের একক উদ্যোগে ব্রাজিলে পাটের সম্ভাবনাময় বাজার সম্প্রসারণ সম্ভব নয় বলে তিনি জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বর্তন কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, পাটের বাজার সম্প্রসারণে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা রয়েছে। বিশেষভাবে অর্থ, পররাষ্ট্র ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা প্রয়োজন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, 'বছরে চার দিনের জন্য বিদেশ সফরে বিভিন্ন উদ্যোক্তার সঙ্গে আলোচনায় রাতারাতি ইতিবাচক সুফল আসবে না। বিদেশে নতুন ক্রেতা তৈরিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের কাজ করতে হবে। আবার 'মোড়কীকরণে পাটপণ্যের ব্যবহার' আইন মেনে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থা বিসিআইসি পাটের বস্তা কিনছে না। আবার অর্থ মন্ত্রণালয় পাটকলগুলোতে যথাসময়ে অর্থ সরবরাহ না করায় পণ্য তৈরি ও বিক্রিতে দেখা দেয় অচলাবস্থা।'
পাটের বাজার সম্প্রসারণে ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অরগানাইজেশনের ভূমিকা রয়েছে। গত চার বছর আমন্ত্রণ পাওয়ার পরও কৃষি মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠানটি আয়োজিত একাধিক সেমিনারে অংশগ্রহণ করেনি। দীর্ঘদিন পর বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবার সেখানে অংশ নিয়েছে বলে জানান জেডিপিসির চেয়ারম্যান মোখলেসুর রহমান।
মোখলেছুর রহমান হতাশা প্রকাশ করে বলেন, এ দেশের অনেক উদ্যোক্তা নানা ডিজাইনের পণ্য পর্যাপ্ত আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতার অভাবে বাজারজাত করতে পারছে না। সরকারিভাবে চট্টগ্রাম এবং রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে বিক্রয় প্রদর্শনী কেন্দ স্থাপনের পরিকল্পনা এখনো ফাইলবন্দি।
মধ্যপ্র্রাচ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং বিভিন্ন দাতা সংস্থার নিষেধাজ্ঞায় গত ছয় মাস সরকারি-বেসরকারি পাটকলগুলোর গুদামে এক হাজার ৩০০ কোটি টাকার পণ্য অবিক্রীত আছে। এ পরিস্থিতিতে নতুন বাজার তৈরিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের একাধিক প্রতিনিধিদল বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে নতুন বাজার খুঁজতে।
No comments