আফগানবিষয়ক বন সম্মেলন বর্জন করবে পাকিস্তান
আফগানিস্তান বিষয়ে জার্মানির বনে আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। ন্যাটোর বিমান হামলায় দেশটির ২৪ সেনা নিহত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল লাহোরে মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বন সম্মেলনে পাকিস্তানের অংশগ্রহণকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হচ্ছিল। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা হামলার ঘটনাকে 'দুঃখজনক' বলে অভিহিত করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাকিস্তানের এক কর্মকর্তা বলেন, 'মন্ত্রিসভা বন সম্মেলনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।' ন্যাটোর হামলার প্রতিবাদ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে উপজাতীয় মোহমান্দ জেলায় ন্যাটোর হামলা এবং গত মে মাসে মার্কিন হামলায় আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার ঘটনাকে 'অগ্রহণযোগ্য' হিসেবে বর্ণনা করা হয়।
ন্যাটো ও যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য ইতিমধ্যেই গত শনিবারের ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে। মোহমান্দ ঘটনার তদন্তের জন্য মার্কিন কর্মকর্তাদের ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ফলে আশঙ্কা রয়েছে, পাকিস্তানের ভেতর দিয়ে ন্যাটো বাহিনীর জন্য রসদ সরবরাহ দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকবে। তদন্তদলে ন্যাটোর প্রতিনিধিরাও রয়েছেন। এই দলে পাকিস্তান ও আফগান সরকারের প্রতিনিধিদেরও অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে তারা এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
পাকিস্তানের দাবি, আফগান সীমান্তবর্তী পাকিস্তানের মোহমান্দ জেলার দুটি সেনা চৌকিতে গত শনিবার বিনা উস্কানিতে বিমান হামলা চালায় ন্যাটো বাহিনী। তবে আফগান ও ন্যাটো বাহিনী দাবি করে, পাকিস্তানের দিক থেকেই প্রথম গুলি ছোড়া হয়।
হামলার প্রতিবাদে গতকালও পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ রাস্তায় বিক্ষোভ করে। এসব বিক্ষোভে মার্কিন পতাকা ও ন্যাটো প্রধান অ্যান্ডার্স ফাগ রাসমুসেনের কুশপুত্তলিক পোড়ানো হয়।
এদিকে হোয়াইট হাউস মুখপাত্র জে কার্নে সোমবার জানান, প্রেসিডেন্ট ওবামা শনিবারের ঘটনাকে 'মর্মান্তিক' বলে মনে করেন। 'আমরা হামলায় নিহত বীর পাকিস্তানি সেনাদের জন্য শোক প্রকাশ করছি।' কার্নে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সহযোগিতাপূর্ণ এবং একই সঙ্গে অত্যন্ত জটিল বলে অভিহিত করেন।
আফগানিস্তানে তালেবানের বিরুদ্ধে লড়াইরত এক লাখ ৪০ হাজার ন্যাটো সেনার জন্য রসদ সরবরাহে পাকিস্তানের ওপর নির্ভরশীল যুক্তরাষ্ট্র। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
ন্যাটো ও যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য ইতিমধ্যেই গত শনিবারের ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে। মোহমান্দ ঘটনার তদন্তের জন্য মার্কিন কর্মকর্তাদের ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ফলে আশঙ্কা রয়েছে, পাকিস্তানের ভেতর দিয়ে ন্যাটো বাহিনীর জন্য রসদ সরবরাহ দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকবে। তদন্তদলে ন্যাটোর প্রতিনিধিরাও রয়েছেন। এই দলে পাকিস্তান ও আফগান সরকারের প্রতিনিধিদেরও অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে তারা এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
পাকিস্তানের দাবি, আফগান সীমান্তবর্তী পাকিস্তানের মোহমান্দ জেলার দুটি সেনা চৌকিতে গত শনিবার বিনা উস্কানিতে বিমান হামলা চালায় ন্যাটো বাহিনী। তবে আফগান ও ন্যাটো বাহিনী দাবি করে, পাকিস্তানের দিক থেকেই প্রথম গুলি ছোড়া হয়।
হামলার প্রতিবাদে গতকালও পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ রাস্তায় বিক্ষোভ করে। এসব বিক্ষোভে মার্কিন পতাকা ও ন্যাটো প্রধান অ্যান্ডার্স ফাগ রাসমুসেনের কুশপুত্তলিক পোড়ানো হয়।
এদিকে হোয়াইট হাউস মুখপাত্র জে কার্নে সোমবার জানান, প্রেসিডেন্ট ওবামা শনিবারের ঘটনাকে 'মর্মান্তিক' বলে মনে করেন। 'আমরা হামলায় নিহত বীর পাকিস্তানি সেনাদের জন্য শোক প্রকাশ করছি।' কার্নে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সহযোগিতাপূর্ণ এবং একই সঙ্গে অত্যন্ত জটিল বলে অভিহিত করেন।
আফগানিস্তানে তালেবানের বিরুদ্ধে লড়াইরত এক লাখ ৪০ হাজার ন্যাটো সেনার জন্য রসদ সরবরাহে পাকিস্তানের ওপর নির্ভরশীল যুক্তরাষ্ট্র। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
No comments