সুবিধাবঞ্চিত প্রতিবন্ধী:উদ্যোগ কম
আগামী ৩ ডিসেম্বর সারাবিশ্বে পালিত হতে যাচ্ছে ২০তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস। এবছরই প্রথমবারের মতো বেসরকারি সংগঠনগুলোর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে দিবসটি পলন করবে বাংলাদেশ সরকার। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় হলো- 'উন্নয়নের অন্তর্ভুক্ত প্রতিবন্ধী ব্যক্তি: সবার জন্য সুন্দর এক পৃথিবী'বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, দেশে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধীর সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ। অথচ সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে
প্রতিবন্ধীব্যক্তিদের অবস্থা এখনও সর্বনিম্ন পর্যায়ে। সরকারি পর্যায়ে প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা, চাকরি, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ অন্যান্য অধিকার আদায়ের জন্য নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা খুবই অপ্রতুল। জাতিসংঘ বিশ্ব প্রতিবন্ধী দশক ঘোষণার পর গত দু'দশকে গৃহীত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পদক্ষেপে সাফল্য অর্জন করায় সারাবিশ্বে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। তবে বাংলাদেশে লাখ লাখ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির কাছে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে এর সুফল এখনও পুরোপুরো পেঁৗছেনি।
প্রতিবন্ধী কল্যাণ আইন : প্রতিবন্ধীদের অধিকার ও মর্যাদা সুরক্ষা, রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে তাদের অংশগ্রহণ ও সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিতকরণ এবং আনুষঙ্গিক বিষয়াদি বিধানকল্পে ২০০১ সালে বাংলাদেশ সরকার একটি আইন প্রণয়ন করে, যা প্রতিবন্ধী কল্যাণ আইন নামেই পরিচিত। এ আইনে প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, পুনর্বাসন, কর্মসংস্থান, যাতায়াত সুবিধা, সংস্কৃতি, সামাজিক নিরাপত্তসহ নানা ধরনের কথা বলা হলেও এখন পর্যন্ত অনেক কিছু কাগজ-কলমেই সীমাবদ্ধ।
শিক্ষার অবস্থা : সিএডসি পরিচালিত এসটিমের গবেষণা অনুযায়ী দেশে প্রতিবন্ধী শিশুর মাত্র ১১ শতাংশ শিক্ষার সুযোগ পায়। যেসব প্রতিবন্ধী শিশু বিদ্যালয়ে ভর্তি হয় তাদের মধ্যে বেশিরভাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা পর্যায়ে মাত্র ১৫ শতাংশ। প্রতিবন্ধী শিশুদের মধ্যে স্বল্প সংখ্যকেরই উচ্চশিক্ষার সুযোগ ঘটে। বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষার অবস্থা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গড়ে ৩৫ শতাংশ সহপাঠী ও ১৩ শতাংশ শিক্ষকের দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের প্রতি বন্ধুসুলভ নয়। এখনও সংশয়বাদী দৃষ্টিভঙ্গি বিদ্যমান এবং বেশিরভাগ বিদ্যালয়ে প্রতিবন্ধী ভর্তি না করার প্রবণতা এখনও রয়েছে। এদেশে এখনও প্রতিবন্ধী শিশুদের সাধারণ স্কুলে লেখাপড়ার বিষয়ে সরকারি কোনো নীতিমালা তৈরি হয়নি। নীতিমালা না থাকায় প্রতিবন্ধী শিশুদের স্কুলে ভর্তিরও কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। এ বিষয়ে বেসরকারি সংস্থা অ্যাকশন অন ডিজঅ্যাবিলিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের ডেপুটি প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর ফেরদৌসী বেগম রুবী বলেন, প্রতিবন্ধী শিশুদের মূলধারার শিক্ষার সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করতে আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, সরকার থেকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নের কথা বলা হলেও তার বাস্তবায়ন এখনও কম। তবে এ কথা ঠিক, গত ১০ থেকে ১৫ বছরে বিভিন্ন দিক দিয়ে প্রতিবন্ধীদের অবস্থা অনেকটা পাল্টেছে। কিন্তু আরও বেশি পরিবর্তন হওয়া উচিত ছিল। এ জন্য সরকারের আরও তৎপরতা প্রয়োজন।
চাকরি : অনেক প্রতিকূলতা পেরিয়ে পড়াশোনা শেষ করলেও কার্যক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীদের সুযোগ এখনও অনেক সীমিত। বিভিন্ন প্রতিবন্ধী সংগঠন এবং বেসরকারি সংস্থাগুলোর দীর্ঘদিনের দাবির কারণে সরকারি চাকরিতে দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণীর আওতায় নির্দিষ্ট কোটায় প্রতিবন্ধীদের এখন কাজের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রতিবন্ধীদের সরকারি পর্যায়ে প্রথম শ্রেণীর চাকরির সুযোগ দেওয়া হয়নি। অন্যান্য চাকরির ক্ষেত্রে তারা এখনও বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। প্রতিবন্ধীদের কাজ করছে এমন কিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেসরকারি অন্যান্য সংস্থা তো আছেই, এমনকি যারা প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করছে সেখানেও প্রতিবন্ধীদের কাজের সুযোগ এখনও অনেক কম।
উপবৃত্তি ও বাজেট : প্রতিবন্ধী সংস্থাগুলোর বারবার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালে বাংলাদেশ সরকার বিদ্যালয়গুলোতে প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য উপবৃত্তি চালু করে। এ ছাড়া ২০০৫-০৬ অর্থবছরে প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রথম বাজেট বরাদ্দ করা হয়। এ বছর বাজেটে ২ লাখ ৮৬ হাজার প্রতিবন্ধীর জন্য মাসিক ৩০০ টাকা হারে বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রতিবন্ধী সংস্থাগুলোর মতে, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির তুলনায় এ বরাদ্দ খুবই কম। তাদের দাবি, সমাজের এ বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জন্য বাজেটের অন্তত ১০ ভাগ বরাদ্দ থাকা প্রয়োজন।
যাতায়াত সুবিধা : উন্নত দেশগুলোয় প্রতিবন্ধীদের জন্য বাস, ট্রেন ও অন্য যানবাহনে বিশেষ সুবিধা রয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে প্রতিবন্ধীদের জন্য বাসের সিট বরাদ্দ থাকলেও তাদের ওঠানামা করার আলাদা কোনো ব্যবস্থা নেই। অনেক ভুক্তভোগী শারীরিক এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধী অভিযোগ করেন, তাদের জন্য বাসে সিট বরাদ্দ থাকলেও অনেক সময় তাদের উঠতে দেওয়া হয় না। প্রতিবন্ধী কল্যাণ আইনের ২ ধারার ছ অংশে সব ধরনের যানবাহনে প্রতিবন্ধীদের চলাচলের সুবিধা নিশ্চিতকরণের কথা বলা আছে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের চলাচলের সুবিধার্থে শহরের প্রধান প্রধান রাস্তা পারাপারের স্থানে শব্দ-সংকেতের ব্যবস্থা করা, হুইল চেয়ার ব্যবহারকারী প্রতিবন্ধীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে প্রযোজ্য স্থানে ঢালু ও বাঁকানো রাস্তা, সিঁড়ি ও র্যাম্প নির্মাণের সুযোগ সৃষ্টি করার উল্লেখ আছে । কিন্তু এখনও এসব বিষয়ে যথেষ্ট উদ্যোগের অভাব আছে।
প্রতিবন্ধীরা এ সমাজেরই অংশ। অথচ এখনও তাদের অনেকের জীবন কাটছে করুণা আর বঞ্চনায়। আমেরিকান অ্যাকটিভিস্ট হেনরি ভিসকার্ডির (জুনিয়র) ভাষায়, 'আমাদের কেউ সীমাবদ্ধতার ঊধর্ে্ব নয়; কিন্তু পূর্ণ শারীরিক শক্তি ধারণ করা মানেই সক্ষমতা নয়। প্রতিবন্ধী মানুষ বলতে কিছু নেই, আছে কেবল মানুষ।' ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মাসুদা এম রশিদ চৌধুরী বলেন, পরিবারের যে শিশুটি প্রতিবন্ধী তার প্রতি পরিবারের সদস্যদের অন্য সন্তানের চাইতে একটু বেশি যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন। করুণা নয়, সহানুভূতিশীল চোখে তাদের দেখতে হবে। সরকারের তাদের ব্যাপারে আরও বেশি উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন। '
ষতাসলিমা তামান্না
প্রতিবন্ধী কল্যাণ আইন : প্রতিবন্ধীদের অধিকার ও মর্যাদা সুরক্ষা, রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে তাদের অংশগ্রহণ ও সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিতকরণ এবং আনুষঙ্গিক বিষয়াদি বিধানকল্পে ২০০১ সালে বাংলাদেশ সরকার একটি আইন প্রণয়ন করে, যা প্রতিবন্ধী কল্যাণ আইন নামেই পরিচিত। এ আইনে প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, পুনর্বাসন, কর্মসংস্থান, যাতায়াত সুবিধা, সংস্কৃতি, সামাজিক নিরাপত্তসহ নানা ধরনের কথা বলা হলেও এখন পর্যন্ত অনেক কিছু কাগজ-কলমেই সীমাবদ্ধ।
শিক্ষার অবস্থা : সিএডসি পরিচালিত এসটিমের গবেষণা অনুযায়ী দেশে প্রতিবন্ধী শিশুর মাত্র ১১ শতাংশ শিক্ষার সুযোগ পায়। যেসব প্রতিবন্ধী শিশু বিদ্যালয়ে ভর্তি হয় তাদের মধ্যে বেশিরভাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা পর্যায়ে মাত্র ১৫ শতাংশ। প্রতিবন্ধী শিশুদের মধ্যে স্বল্প সংখ্যকেরই উচ্চশিক্ষার সুযোগ ঘটে। বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষার অবস্থা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গড়ে ৩৫ শতাংশ সহপাঠী ও ১৩ শতাংশ শিক্ষকের দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের প্রতি বন্ধুসুলভ নয়। এখনও সংশয়বাদী দৃষ্টিভঙ্গি বিদ্যমান এবং বেশিরভাগ বিদ্যালয়ে প্রতিবন্ধী ভর্তি না করার প্রবণতা এখনও রয়েছে। এদেশে এখনও প্রতিবন্ধী শিশুদের সাধারণ স্কুলে লেখাপড়ার বিষয়ে সরকারি কোনো নীতিমালা তৈরি হয়নি। নীতিমালা না থাকায় প্রতিবন্ধী শিশুদের স্কুলে ভর্তিরও কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। এ বিষয়ে বেসরকারি সংস্থা অ্যাকশন অন ডিজঅ্যাবিলিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের ডেপুটি প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর ফেরদৌসী বেগম রুবী বলেন, প্রতিবন্ধী শিশুদের মূলধারার শিক্ষার সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করতে আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, সরকার থেকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নের কথা বলা হলেও তার বাস্তবায়ন এখনও কম। তবে এ কথা ঠিক, গত ১০ থেকে ১৫ বছরে বিভিন্ন দিক দিয়ে প্রতিবন্ধীদের অবস্থা অনেকটা পাল্টেছে। কিন্তু আরও বেশি পরিবর্তন হওয়া উচিত ছিল। এ জন্য সরকারের আরও তৎপরতা প্রয়োজন।
চাকরি : অনেক প্রতিকূলতা পেরিয়ে পড়াশোনা শেষ করলেও কার্যক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীদের সুযোগ এখনও অনেক সীমিত। বিভিন্ন প্রতিবন্ধী সংগঠন এবং বেসরকারি সংস্থাগুলোর দীর্ঘদিনের দাবির কারণে সরকারি চাকরিতে দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণীর আওতায় নির্দিষ্ট কোটায় প্রতিবন্ধীদের এখন কাজের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রতিবন্ধীদের সরকারি পর্যায়ে প্রথম শ্রেণীর চাকরির সুযোগ দেওয়া হয়নি। অন্যান্য চাকরির ক্ষেত্রে তারা এখনও বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। প্রতিবন্ধীদের কাজ করছে এমন কিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেসরকারি অন্যান্য সংস্থা তো আছেই, এমনকি যারা প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করছে সেখানেও প্রতিবন্ধীদের কাজের সুযোগ এখনও অনেক কম।
উপবৃত্তি ও বাজেট : প্রতিবন্ধী সংস্থাগুলোর বারবার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালে বাংলাদেশ সরকার বিদ্যালয়গুলোতে প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য উপবৃত্তি চালু করে। এ ছাড়া ২০০৫-০৬ অর্থবছরে প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রথম বাজেট বরাদ্দ করা হয়। এ বছর বাজেটে ২ লাখ ৮৬ হাজার প্রতিবন্ধীর জন্য মাসিক ৩০০ টাকা হারে বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রতিবন্ধী সংস্থাগুলোর মতে, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির তুলনায় এ বরাদ্দ খুবই কম। তাদের দাবি, সমাজের এ বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জন্য বাজেটের অন্তত ১০ ভাগ বরাদ্দ থাকা প্রয়োজন।
যাতায়াত সুবিধা : উন্নত দেশগুলোয় প্রতিবন্ধীদের জন্য বাস, ট্রেন ও অন্য যানবাহনে বিশেষ সুবিধা রয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে প্রতিবন্ধীদের জন্য বাসের সিট বরাদ্দ থাকলেও তাদের ওঠানামা করার আলাদা কোনো ব্যবস্থা নেই। অনেক ভুক্তভোগী শারীরিক এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধী অভিযোগ করেন, তাদের জন্য বাসে সিট বরাদ্দ থাকলেও অনেক সময় তাদের উঠতে দেওয়া হয় না। প্রতিবন্ধী কল্যাণ আইনের ২ ধারার ছ অংশে সব ধরনের যানবাহনে প্রতিবন্ধীদের চলাচলের সুবিধা নিশ্চিতকরণের কথা বলা আছে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের চলাচলের সুবিধার্থে শহরের প্রধান প্রধান রাস্তা পারাপারের স্থানে শব্দ-সংকেতের ব্যবস্থা করা, হুইল চেয়ার ব্যবহারকারী প্রতিবন্ধীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে প্রযোজ্য স্থানে ঢালু ও বাঁকানো রাস্তা, সিঁড়ি ও র্যাম্প নির্মাণের সুযোগ সৃষ্টি করার উল্লেখ আছে । কিন্তু এখনও এসব বিষয়ে যথেষ্ট উদ্যোগের অভাব আছে।
প্রতিবন্ধীরা এ সমাজেরই অংশ। অথচ এখনও তাদের অনেকের জীবন কাটছে করুণা আর বঞ্চনায়। আমেরিকান অ্যাকটিভিস্ট হেনরি ভিসকার্ডির (জুনিয়র) ভাষায়, 'আমাদের কেউ সীমাবদ্ধতার ঊধর্ে্ব নয়; কিন্তু পূর্ণ শারীরিক শক্তি ধারণ করা মানেই সক্ষমতা নয়। প্রতিবন্ধী মানুষ বলতে কিছু নেই, আছে কেবল মানুষ।' ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মাসুদা এম রশিদ চৌধুরী বলেন, পরিবারের যে শিশুটি প্রতিবন্ধী তার প্রতি পরিবারের সদস্যদের অন্য সন্তানের চাইতে একটু বেশি যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন। করুণা নয়, সহানুভূতিশীল চোখে তাদের দেখতে হবে। সরকারের তাদের ব্যাপারে আরও বেশি উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন। '
ষতাসলিমা তামান্না
No comments