নওগাঁয় ধানের বাজার মন্দা, বিপাকে কৃষক by ফরিদুল করিম,
নওগাঁয় বোরো ধানের পর এবার আমন ধানের বাজারেও ধস নেমেছে। নওগাঁর হাটগুলোতে আমন ধান ৫০০ থেকে সাড়ে ৫০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। কৃষকের অভিযোগ, যে হারে কৃষি উপকরণের দাম বেড়েছে সেভাবে ধানের দাম না বেড়ে বরং কমেছে। মাঠের ধান পুরোপুরি ওঠার পর বাজার আরো কমে যাওয়ার আশঙ্কা তাদের।অন্যদিকে, ধানের বাজার মন্দা হলেও নওগাঁয় চালের বাজারে চাঙ্গা ভাব বিরাজ করছে। সরকারি কোনো নজরদারি না
থাকায় ধানের পাশাপাশি চালের দামও নিয়ন্ত্রণ করছে এক শ্রেণীর ফড়িয়া ও ব্যবসায়ী। বর্তমানে প্রতি কেজি জিরাশাইল চাল মোকামে পেঁৗছানো পর্যন্ত সর্বোচ্চ খরচ সাড়ে ২৫ টাকা পড়লেও খুচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৩৮ টাকা কেজিদরে।
দেশের বৃহত্তম ধান উৎপাদনকারী জেলা নওগাঁয় চলতি বছর এক লাখ ৯৮ হাজার ৬৩৬ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ধান চাষ হয়েছে দুই লাখ ৯ হাজার ৭২৫ হেক্টর জমিতে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার জেলায় বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে জেলায় এবার ৯ লাখ মেট্রিক টন ধান থেকে সাড়ে পাঁচ লাখ মেট্রিক টন চাল আকারে পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে মাঠে চলছে ধান কাটার ব্যস্ততা। ভালো ফলন হলেও কৃষকের উচ্ছ্বাসে ভাটা পড়েছে ধানের মূল্য কম হওয়ায়। চাষিরা দাবি করছেন, নতুন ধানের দাম ৮০০ টাকার বেশি পাওয়া গেলে কিছুটা পুষিয়ে যাবে।
চাতাল মালিকরা বলছেন, গত সেপ্টেম্বর থেকে নওগাঁর আড়ত থেকে মোকামের ক্রেতারা চাল কিনতে আসছেন না। ফলে ধান যেমন মজুদ রয়েছে, তেমনি গুদামগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ চালও রয়ে গেছে। ভরা মৌসুমেও বন্ধ রয়েছে অধিকাংশ চালকল, চাতাল। বেকার বসে রয়েছে বয়লার শ্রমিক।
নওগাঁর আড়তদার দীপক কুমার কুণ্ডু জানান, ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধ হলে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত চাল বাজারে বিক্রির সুযোগ সৃষ্টি হবে। এতে ব্যবসায়ীরা চাল বিক্রি করে ধান কিনতে শুরু করলে বাজারে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হবে। ফলে স্বাভাবিকভাবে ধানের দাম বৃদ্ধি পাবে। কৃষক লাভবান হবে। নওগাঁ ধান-চাল আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ আকবর আলী মোল্লা জানান, এবার ব্যবসায়ীদের মজুদ করা চালে লোকসান গুনতে হচ্ছে। ফলে ধান কিনতে মূলধন সংকটে পড়েছেন তাঁরা। তাই এখন ধানের বাজারে কোনো প্রতিযোগিতা নেই।
কথা হয় মহাদেবপুর হাটে ধান বিক্রি করতে আসা উত্তর গ্রামের সাইদুর রহমান, আক্কাস আলী ও মাহবুব আলমের সঙ্গে। তাঁরা জানান, এবার মৌসুমের মাঝামাঝি তীব্র খরা আর কারেন্ট পোকাসহ নানা প্রতিকূলতা মোকাবিলা করতে গিয়ে সার, ডিজেল, পানি, মজুর খরচসহ সব মিলে উৎপাদন খরচ বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। এক বিঘা পরিমাণ জমি চাষ করতে খরচ হয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা। বিঘাপ্রতি ধান হয়েছে গড়ে সাড়ে ১৩ মণ হারে। সে অনুপাতে বর্তমান বাজারদরে চাষ করা ধান বিক্রি করে কোনো মুনাফা আশা করতে পারছেন না কৃষক।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আব্বাস আলী জানান, চলতি ধানের বাজার কৃষকের জন্য অনুকূল নয়। ধানের বাজার না বাড়লে ভবিষ্যতে বোরো চাষে উৎসাহ হারাবেন কৃষক। চাষিরা দাবি করছেন, মৌসুমের শুরুতে সরকারিভাবে ধান সংগ্রহ করা না হলে গত বছরের মতো এবারও তারা ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রবিউল ইসলাম জানান, এখনো সরকারিভাবে ধান অথবা চাল কেনার সিদ্ধান্ত আসেনি।
দেশের বৃহত্তম ধান উৎপাদনকারী জেলা নওগাঁয় চলতি বছর এক লাখ ৯৮ হাজার ৬৩৬ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ধান চাষ হয়েছে দুই লাখ ৯ হাজার ৭২৫ হেক্টর জমিতে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার জেলায় বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে জেলায় এবার ৯ লাখ মেট্রিক টন ধান থেকে সাড়ে পাঁচ লাখ মেট্রিক টন চাল আকারে পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে মাঠে চলছে ধান কাটার ব্যস্ততা। ভালো ফলন হলেও কৃষকের উচ্ছ্বাসে ভাটা পড়েছে ধানের মূল্য কম হওয়ায়। চাষিরা দাবি করছেন, নতুন ধানের দাম ৮০০ টাকার বেশি পাওয়া গেলে কিছুটা পুষিয়ে যাবে।
চাতাল মালিকরা বলছেন, গত সেপ্টেম্বর থেকে নওগাঁর আড়ত থেকে মোকামের ক্রেতারা চাল কিনতে আসছেন না। ফলে ধান যেমন মজুদ রয়েছে, তেমনি গুদামগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ চালও রয়ে গেছে। ভরা মৌসুমেও বন্ধ রয়েছে অধিকাংশ চালকল, চাতাল। বেকার বসে রয়েছে বয়লার শ্রমিক।
নওগাঁর আড়তদার দীপক কুমার কুণ্ডু জানান, ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধ হলে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত চাল বাজারে বিক্রির সুযোগ সৃষ্টি হবে। এতে ব্যবসায়ীরা চাল বিক্রি করে ধান কিনতে শুরু করলে বাজারে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হবে। ফলে স্বাভাবিকভাবে ধানের দাম বৃদ্ধি পাবে। কৃষক লাভবান হবে। নওগাঁ ধান-চাল আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ আকবর আলী মোল্লা জানান, এবার ব্যবসায়ীদের মজুদ করা চালে লোকসান গুনতে হচ্ছে। ফলে ধান কিনতে মূলধন সংকটে পড়েছেন তাঁরা। তাই এখন ধানের বাজারে কোনো প্রতিযোগিতা নেই।
কথা হয় মহাদেবপুর হাটে ধান বিক্রি করতে আসা উত্তর গ্রামের সাইদুর রহমান, আক্কাস আলী ও মাহবুব আলমের সঙ্গে। তাঁরা জানান, এবার মৌসুমের মাঝামাঝি তীব্র খরা আর কারেন্ট পোকাসহ নানা প্রতিকূলতা মোকাবিলা করতে গিয়ে সার, ডিজেল, পানি, মজুর খরচসহ সব মিলে উৎপাদন খরচ বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। এক বিঘা পরিমাণ জমি চাষ করতে খরচ হয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা। বিঘাপ্রতি ধান হয়েছে গড়ে সাড়ে ১৩ মণ হারে। সে অনুপাতে বর্তমান বাজারদরে চাষ করা ধান বিক্রি করে কোনো মুনাফা আশা করতে পারছেন না কৃষক।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আব্বাস আলী জানান, চলতি ধানের বাজার কৃষকের জন্য অনুকূল নয়। ধানের বাজার না বাড়লে ভবিষ্যতে বোরো চাষে উৎসাহ হারাবেন কৃষক। চাষিরা দাবি করছেন, মৌসুমের শুরুতে সরকারিভাবে ধান সংগ্রহ করা না হলে গত বছরের মতো এবারও তারা ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রবিউল ইসলাম জানান, এখনো সরকারিভাবে ধান অথবা চাল কেনার সিদ্ধান্ত আসেনি।
No comments