জাহাজভাঙা শিল্পের আধুনিকায়নে অর্থায়ন করবে দাতা সংস্থা
জাহাজভাঙা শিল্পের উন্নয়নে সাত মিলিয়ন ডলার আর্থিক সহযোগিতা করবে ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) এবং নরওয়েজিয়ান এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন (নোরাড)। গতকাল শিল্প মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা চূড়ান্ত হয়। দাতা সংস্থাগুলোর দেওয়া অর্থায়নে জাহাজভাঙা শিল্পকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করতে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। শিল্প মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, গৃহীত প্রকল্পে শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এ ছাড়া জাহাজ ভাঙার সঙ্গে সম্পৃক্ত শ্রমিক, কর্মচারী, মালিকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে। জাহাজ ভাঙা শিল্পে দক্ষ জনশক্তির যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। মন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জাহাজ ভাঙা শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই কর্মকাণ্ড সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পাবে। জাহাজ ভাঙা বিধিমালা প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ বি এম খোরশেদ আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, আইএমও এবং নোরাডের আর্থিক সহযোগিতায় জাহাজ ভাঙা শিল্পে বিরাজমান অনেক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে। তিনি আরো জানান, সম্প্রতি সীতাকুণ্ডের সাতটি মৌজাকে জাহাজ ভাঙা শিল্পের জন্য জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এই জোনকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করতে অর্থের প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে বর্জ্য নিষ্কাশনসহ সব বিষয়কে নিয়মের মধ্যে আনতেও দাতা সংস্থার দেওয়া অর্থ কাজে লাগবে।
প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে জাহাজ ভাঙা শিল্পের প্রভাব মূল্যায়ন, ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান ও পরিবেশের ওপর এ শিল্পের প্রভাব বিষয়ে সমীক্ষা পরিচালনা করা হবে। এ ছাড়া পরিবেশবান্ধব জাহাজ ভাঙার জন্য অত্যাধুনিক গবেষণাগার স্থাপন, সম্মিলিত বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি) নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দাতা সংস্থার অর্থে শিপ বিল্ডিং অ্যান্ড শিপ রিসাইক্লিং বোর্ড (এসবিএসআরবি) গঠনে আইনি সহায়তা প্রদান এবং বোর্ডের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করা হবে। প্রকল্পের আওতায় স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত নিরাপত্তার বিষয়েও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রকল্পে অর্থ সংকট হলে ভবিষ্যতে বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি মাসের ১৩ তারিখ জাহাজ ভাঙা শিল্পের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করতে আইএমও, নোরাড এবং শিল্প মন্ত্রণালয় একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা ক্যাপ্টেন সালাহউদ্দিন আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রকল্পের অর্থের পরিমাণ আরো বেশি হলে ভালো হতো।
প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে জাহাজ ভাঙা শিল্পের প্রভাব মূল্যায়ন, ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান ও পরিবেশের ওপর এ শিল্পের প্রভাব বিষয়ে সমীক্ষা পরিচালনা করা হবে। এ ছাড়া পরিবেশবান্ধব জাহাজ ভাঙার জন্য অত্যাধুনিক গবেষণাগার স্থাপন, সম্মিলিত বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি) নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দাতা সংস্থার অর্থে শিপ বিল্ডিং অ্যান্ড শিপ রিসাইক্লিং বোর্ড (এসবিএসআরবি) গঠনে আইনি সহায়তা প্রদান এবং বোর্ডের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করা হবে। প্রকল্পের আওতায় স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত নিরাপত্তার বিষয়েও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রকল্পে অর্থ সংকট হলে ভবিষ্যতে বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি মাসের ১৩ তারিখ জাহাজ ভাঙা শিল্পের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করতে আইএমও, নোরাড এবং শিল্প মন্ত্রণালয় একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা ক্যাপ্টেন সালাহউদ্দিন আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রকল্পের অর্থের পরিমাণ আরো বেশি হলে ভালো হতো।
No comments