সাবেক যুগ্ম সচিবের কেরামতি!-জালিয়াতি করে বেতন-বোনাস উত্তোলন
সরকারি প্রজ্ঞাপন জালিয়াতি করে সচিবসহ দুটি পদে পদোন্নতি দেখিয়ে প্রতারণা ও অবসর গ্রহণের পরও সরকারি বেতন-বোনাস উত্তোলনের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এ কে এম সালেহ উদ্দিন (৫৮) নামের একজন অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিবকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের হিসাবকোষের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোহা. আফসার আলী বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (এপিডি) সোহরাব হোসাইনের কার্যালয়ে ওই সাবেক যুগ্ম সচিব বিদেশ ভ্রমণের জন্য শ্রান্তি-বিনোদন ছুটি মঞ্জুরের জন্য একটি আবেদন নিয়ে গেলে তাঁর কাগজপত্র দেখে সন্দেহ হয়। তাঁকে আটক করে পুলিশে খবর দেন এপিডি। পরে তাঁকে সচিবালয় পুলিশ আটক করে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সোহরাব হোসাইন জানান, সচিব পরিচয়ে সালেহ উদ্দিন সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ের হিসাবরক্ষণ কার্যালয়ে বিদেশ ভ্রমণের জন্য শ্রান্তি-বিনোদন ছুটি মঞ্জুরের একটি আবেদন করেন। কিন্তু এ নামে কোনো সচিবের অস্তিত্ব তাঁদের দপ্তরে না থাকায় তাঁরা বিষয়টি পরীক্ষার জন্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন নিয়োগ শাখা-১-এ যোগাযোগ করেন। মন্ত্রণালয়ের এই শাখা এবং তথ্য ভাণ্ডারের (পিএসিসি) নথি পরীক্ষায় দেখা যায়, ২০১০ সালের ২৩ জুলাই বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি-যুগ্ম সচিব) হিসেবে তিনি অবসর-উত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যান। এ হিসাব অনুযায়ী গত ২২ জুলাই তাঁর পিআরএলের মেয়াদও শেষ হয়েছে।
মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, অবসরে যাওয়ার পরও ওই কর্মকর্তা ভুয়া কাগজপত্র ও স্বাক্ষর জালিয়াতি করে অতিরিক্ত সচিব এবং সচিব পদে পদোন্নতির ভুয়া আদেশ তৈরি করেন। এ আদেশ সরকারি দপ্তরে জমা দিয়ে তিনি 'কর্মরত' হিসেবে স্বাভাবিক বেতন ও উৎসব ভাতা উত্তোলন করে আসছেন।
সর্বশেষ দুই মাসের বেতনের বিলও মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে বলে এতে বলা হয়। এ বিল অনুমোদন না করার জন্য ইতিমধ্যে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার দপ্তরকে জানানো হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে দুই লাখ ৬১ হাজার ৭৭২ টাকা সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ও সরকারি প্রজ্ঞাপন জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে জারি করার কারণে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে মামলার এজাহারে।
পুলিশের কাছে সোপর্দ করার সময় সালেহ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, 'আমি আমার কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত ও দুঃখিত। এর মাধ্যমে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কার্যক্রমকে কলংকিত করেছি। কেন এ কাজ করলেন জবাবে তিনি বলেন, 'আমি মানসিক রোগী। মোহাম্মদপুরের একটি ক্লিনিকে ১১ মাস চিকিৎসাধীন ছিলাম। আমি অসহায় ও বঞ্চিত। এ প্রক্রিয়ায় উত্তোলিত যাবতীয় অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফিরিয়ে দেব।'
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ কে এম সালেহ উদ্দিন ১৯৮১ সালে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে চাকরিতে যোগ দেন। এরপর তিনি রাষ্ট্রপতির ১০ শতাংশ কোটায় উপসচিব এবং যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি লাভ করেন। যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি হয় গত চারদলীয় জোট সরকারের সময়। অবসরের পর তিনি তাঁর যাবতীয় পেনশনের অর্থও তুলে নিয়েছেন।
তাঁর বাড়ি নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি থাকার সোনাপুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম আল্লামা সুলতান আহমেদ। তিনি বর্তমানে একাই মিরপুর কাজিপাড়ার একটি বাসায় থাকেন। তাঁর স্ত্রী, এক ছেলে ও মেয়ে থাকেন ধানমণ্ডি এলাকায়। বর্তমানে তাঁর স্ত্রীসহ পরিবারের সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানান ওই কর্মকর্তার সাবেক গাড়িচালক নূরুল ইসলাম।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সোহরাব হোসাইন জানান, সচিব পরিচয়ে সালেহ উদ্দিন সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ের হিসাবরক্ষণ কার্যালয়ে বিদেশ ভ্রমণের জন্য শ্রান্তি-বিনোদন ছুটি মঞ্জুরের একটি আবেদন করেন। কিন্তু এ নামে কোনো সচিবের অস্তিত্ব তাঁদের দপ্তরে না থাকায় তাঁরা বিষয়টি পরীক্ষার জন্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন নিয়োগ শাখা-১-এ যোগাযোগ করেন। মন্ত্রণালয়ের এই শাখা এবং তথ্য ভাণ্ডারের (পিএসিসি) নথি পরীক্ষায় দেখা যায়, ২০১০ সালের ২৩ জুলাই বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি-যুগ্ম সচিব) হিসেবে তিনি অবসর-উত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যান। এ হিসাব অনুযায়ী গত ২২ জুলাই তাঁর পিআরএলের মেয়াদও শেষ হয়েছে।
মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, অবসরে যাওয়ার পরও ওই কর্মকর্তা ভুয়া কাগজপত্র ও স্বাক্ষর জালিয়াতি করে অতিরিক্ত সচিব এবং সচিব পদে পদোন্নতির ভুয়া আদেশ তৈরি করেন। এ আদেশ সরকারি দপ্তরে জমা দিয়ে তিনি 'কর্মরত' হিসেবে স্বাভাবিক বেতন ও উৎসব ভাতা উত্তোলন করে আসছেন।
সর্বশেষ দুই মাসের বেতনের বিলও মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে বলে এতে বলা হয়। এ বিল অনুমোদন না করার জন্য ইতিমধ্যে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার দপ্তরকে জানানো হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে দুই লাখ ৬১ হাজার ৭৭২ টাকা সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ও সরকারি প্রজ্ঞাপন জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে জারি করার কারণে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে মামলার এজাহারে।
পুলিশের কাছে সোপর্দ করার সময় সালেহ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, 'আমি আমার কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত ও দুঃখিত। এর মাধ্যমে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কার্যক্রমকে কলংকিত করেছি। কেন এ কাজ করলেন জবাবে তিনি বলেন, 'আমি মানসিক রোগী। মোহাম্মদপুরের একটি ক্লিনিকে ১১ মাস চিকিৎসাধীন ছিলাম। আমি অসহায় ও বঞ্চিত। এ প্রক্রিয়ায় উত্তোলিত যাবতীয় অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফিরিয়ে দেব।'
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ কে এম সালেহ উদ্দিন ১৯৮১ সালে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে চাকরিতে যোগ দেন। এরপর তিনি রাষ্ট্রপতির ১০ শতাংশ কোটায় উপসচিব এবং যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি লাভ করেন। যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি হয় গত চারদলীয় জোট সরকারের সময়। অবসরের পর তিনি তাঁর যাবতীয় পেনশনের অর্থও তুলে নিয়েছেন।
তাঁর বাড়ি নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি থাকার সোনাপুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম আল্লামা সুলতান আহমেদ। তিনি বর্তমানে একাই মিরপুর কাজিপাড়ার একটি বাসায় থাকেন। তাঁর স্ত্রী, এক ছেলে ও মেয়ে থাকেন ধানমণ্ডি এলাকায়। বর্তমানে তাঁর স্ত্রীসহ পরিবারের সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানান ওই কর্মকর্তার সাবেক গাড়িচালক নূরুল ইসলাম।
No comments