জানুয়ারিতে আসছে বাংলাদেশ সাবমেরিন কম্পানির শেয়ার
আগামী জানুয়ারিতে শেয়ারবাজারে আসছে সরকারি মালিকানাধীন বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্ল্ কম্পানি (বিএসসিসিএল)। কম্পানিটি 'ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন সার্ভিস' (ক্রিসল) নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মূল্যায়নে সরকারি সহযোগিতা ও স্বনির্ভরতার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ক্রেডিট রেটিং 'ট্রিপল এ' অর্জন করেছে। এ অর্জনের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেওয়ার সময় গতকাল মঙ্গলবার বিএসসিসিএলের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান, ডাক ও
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব সুনীল কান্তি বোস কম্পানিটির শেয়ার বাজারে আসার ঘোষণা দেন।
সুনীল কান্তি বোস বলেন, ডিসেম্বরেই সিকিউরিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশনে (এসইসি) কম্পানির নিবন্ধন সম্পন্ন হবে এবং জানুয়ারিতে বাজারে শেয়ার ছাড়া হবে। শেয়ারবাজারের বর্তমান অবস্থার দ্রুত উন্নতি ঘটবে বলেও তিনি আশা ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ক্রিসলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাফফর আহমেদ জানান, তাঁদের প্রতিষ্ঠান ১৯৯৬ সাল থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে আন্তর্জাতিক মান অনুসারে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ক্রেডিট রেটিংয়ের কাজ করে যাচ্ছে। তাঁরা ২২টি স্কেলে ক্রেডিট মূল্যায়ন করে থাকেন। 'ট্রিপল এ' সর্বোচ্চ রেটিং। গত ১৬ বছরে শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন কম্পানির মধ্যে একমাত্র বিএসসিসিএলই এ রেটিং পেয়েছে। কম্পানিটি লাভজনক এবং যথার্থভাবেই পরিচালিত হচ্ছে। ব্যবস্থাপনা ও দক্ষতাও উন্নতমানের।'
মোজাফফর আহমেদ বিএসসিসিএল কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে বলেন, 'এই কম্পানির দীর্ঘমেয়াদি ৬০ মিলিয়ন ইউএস ডলারের ঋণ রয়েছে। এ ঋণের শর্ত অনুসারে, তা ডলারেই পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু টাকার অবমূল্যায়ণের কারণে ওই ঋণ পরিশোধের জন্য কম্পানিকে বেশি টাকা গুণতে হবে। তবে যদি ঋণ দাতাদের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে কম্পানি এ বিষয়ে পরিশোধযোগ্য টাকার অঙ্কটা নির্দিষ্ট করে নিতে পারে, তাহলে ভালো হয়।'
এ প্রস্তাবে সচিব বলেন, 'বিষয়টি নিয়ে তেমন সমস্যা হবে না। ওই ঋণের ৩২ শতাংশ পরিশোধের অপেক্ষায় রয়েছে। আগামী তিন বছরে ছয় কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে। এতে ৭০ কোটি টাকার মতো লাগবে।'
সচিব সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জানান, বিএসসিসিএল আরো একটি সাবমেরিন কেব্ল্ 'এসইএ-এমই-ডাবি্লউই-৫'-এর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। অর্থমন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বেসরকারি সাবমেরিন কেব্ল্ সম্পর্কে তিনি জানান, এ বিষয়ে দরপত্র আহ্বান করলে মাত্র একটি কম্পানি তাদের দরপত্র জমা দেয়। এ অবস্থায় ওই দরপত্র মূল্যায়ন সম্ভব হয়নি।
'আপনারা বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে ইন্টারন্যাশনাল টেরিস্ট্রিয়াল কেব্ল্ লাইসেন্স দিতে যাচ্ছেন। এর মাধ্যমে ওইসব প্রতিষ্ঠান প্রতিবেশি দেশগুলো থেকে ব্যান্ডউইডথ আমদানি করতে পারবে। এতে কি বিএসসিসিএলের ব্যান্ডউইডথের চাহিদা কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকছে না?' এ প্রশ্নের জবাবে সচিব সুনীল কান্তি বোস বলেন, কিছুটা প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টি হতে পারে, তবে বিএসসিসিএলের সাবমেরিন কেব্ল্-এর ব্যান্ডউইডথের চাহিদা কমবে না।
সচিব আরো বলেন, সরকারি মালিকানাধিন যে পাঁচটি টেলিযোগাযোগ কম্পানি রয়েছে, তার মধ্যে বিএসসিসিএলই হচ্ছে ছোট, স্বচ্ছ ও সুন্দর।
বিএসসিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. মনোয়ার হোসেন জানান, তাঁদের কম্পানি ২০০৮-০৯ অর্থবছরে সাড়ে ১১ কোটি টাকা, ২০০৯-১০ অর্থবছরে সাড়ে ৩৪ কোটি টাকা এবং গত অর্থবছরে সাড়ে ৫৪ কোটি টাকা লাভ করেছে।
সুনীল কান্তি বোস বলেন, ডিসেম্বরেই সিকিউরিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশনে (এসইসি) কম্পানির নিবন্ধন সম্পন্ন হবে এবং জানুয়ারিতে বাজারে শেয়ার ছাড়া হবে। শেয়ারবাজারের বর্তমান অবস্থার দ্রুত উন্নতি ঘটবে বলেও তিনি আশা ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ক্রিসলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাফফর আহমেদ জানান, তাঁদের প্রতিষ্ঠান ১৯৯৬ সাল থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে আন্তর্জাতিক মান অনুসারে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ক্রেডিট রেটিংয়ের কাজ করে যাচ্ছে। তাঁরা ২২টি স্কেলে ক্রেডিট মূল্যায়ন করে থাকেন। 'ট্রিপল এ' সর্বোচ্চ রেটিং। গত ১৬ বছরে শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন কম্পানির মধ্যে একমাত্র বিএসসিসিএলই এ রেটিং পেয়েছে। কম্পানিটি লাভজনক এবং যথার্থভাবেই পরিচালিত হচ্ছে। ব্যবস্থাপনা ও দক্ষতাও উন্নতমানের।'
মোজাফফর আহমেদ বিএসসিসিএল কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে বলেন, 'এই কম্পানির দীর্ঘমেয়াদি ৬০ মিলিয়ন ইউএস ডলারের ঋণ রয়েছে। এ ঋণের শর্ত অনুসারে, তা ডলারেই পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু টাকার অবমূল্যায়ণের কারণে ওই ঋণ পরিশোধের জন্য কম্পানিকে বেশি টাকা গুণতে হবে। তবে যদি ঋণ দাতাদের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে কম্পানি এ বিষয়ে পরিশোধযোগ্য টাকার অঙ্কটা নির্দিষ্ট করে নিতে পারে, তাহলে ভালো হয়।'
এ প্রস্তাবে সচিব বলেন, 'বিষয়টি নিয়ে তেমন সমস্যা হবে না। ওই ঋণের ৩২ শতাংশ পরিশোধের অপেক্ষায় রয়েছে। আগামী তিন বছরে ছয় কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে। এতে ৭০ কোটি টাকার মতো লাগবে।'
সচিব সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জানান, বিএসসিসিএল আরো একটি সাবমেরিন কেব্ল্ 'এসইএ-এমই-ডাবি্লউই-৫'-এর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। অর্থমন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বেসরকারি সাবমেরিন কেব্ল্ সম্পর্কে তিনি জানান, এ বিষয়ে দরপত্র আহ্বান করলে মাত্র একটি কম্পানি তাদের দরপত্র জমা দেয়। এ অবস্থায় ওই দরপত্র মূল্যায়ন সম্ভব হয়নি।
'আপনারা বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে ইন্টারন্যাশনাল টেরিস্ট্রিয়াল কেব্ল্ লাইসেন্স দিতে যাচ্ছেন। এর মাধ্যমে ওইসব প্রতিষ্ঠান প্রতিবেশি দেশগুলো থেকে ব্যান্ডউইডথ আমদানি করতে পারবে। এতে কি বিএসসিসিএলের ব্যান্ডউইডথের চাহিদা কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকছে না?' এ প্রশ্নের জবাবে সচিব সুনীল কান্তি বোস বলেন, কিছুটা প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টি হতে পারে, তবে বিএসসিসিএলের সাবমেরিন কেব্ল্-এর ব্যান্ডউইডথের চাহিদা কমবে না।
সচিব আরো বলেন, সরকারি মালিকানাধিন যে পাঁচটি টেলিযোগাযোগ কম্পানি রয়েছে, তার মধ্যে বিএসসিসিএলই হচ্ছে ছোট, স্বচ্ছ ও সুন্দর।
বিএসসিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. মনোয়ার হোসেন জানান, তাঁদের কম্পানি ২০০৮-০৯ অর্থবছরে সাড়ে ১১ কোটি টাকা, ২০০৯-১০ অর্থবছরে সাড়ে ৩৪ কোটি টাকা এবং গত অর্থবছরে সাড়ে ৫৪ কোটি টাকা লাভ করেছে।
No comments