মুক্তিযোদ্ধা জিন্নাত আলী হত্যাকাণ্ড-রূপমের স্বীকারোক্তি, পুরস্কৃত হলেন ১৩ পুলিশ সদস্য

রিশালে মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষক জিন্নাত আলী হত্যা মামলার প্রধান আসামি রূপম চন্দ্র ঘোষ ওরফে রূপা গতকাল মঙ্গলবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবুল বাশার মিঞার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এ ঘটনায় আটক অন্য ছয়জনের মধ্যে রিফাত ছাড়া বাকি পাঁচজনকে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। রিফাতকে কোতোয়ালি থানা হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এদিকে রূপমকে গ্রেপ্তারের জন্য


অভিযান পরিচালনাকারী ১৩ পুলিশ সদস্যকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. শহিদুজ্জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, ১৬৪-ধারায় দেওয়া রূপমের স্বীকারোক্তি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সহযোগীদের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য দেয়নি। তবে চারজনের নাম উল্লেখ করেছে সে। তার দেওয়া তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আটক ছয়জনের মধ্যে রূপমের বোন বুলবুলিসহ পাঁচজনের কাছ থেকে মুচলেকা রেখে তাদের সোমবার রাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আটক মোটরসাইকেলের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য রূপমের সহযোগী রিফাতকে থানা হাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
অন্যদিকে শিক্ষক জিন্নাত আলী হত্যার প্রতিবাদে গতকাল সকালে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি বরিশাল আঞ্চলিক শাখার উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। নগরীর সদর রোডে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষক সমিতির বরিশাল শাখার সভাপতি আশীষ কুমার দাস গুপ্ত। এতে একাত্মতা ঘোষণা করে বক্তব্য দেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র অ্যাডভোকেট শওকত হোসেন হিরণ, বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি মানবেন্দ্র বটব্যাল, মুক্তিযোদ্ধা এনায়েত হোসেন চৌধুরী, এ কে আজাদ, নিগার সুলতানা হনুফা প্রমুখ। এ ছাড়া জিন্নাত আলী হত্যার প্রধান আসামি রূপমকে গ্রেপ্তারের জন্য বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ১৩ সদস্যকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়রের পক্ষ থেকে ওই পুরস্কার দেওয়া হয়। আইজিপির পক্ষ থেকে ১৩ জন ও মেয়রের পক্ষ থেকে পাঁচজনকে পুরস্কার দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে আইজিপির পক্ষ থেকে দেওয়া আর্থিক পুরস্কারের জন্য একটি ব্যাংক চেক গতকাল মঙ্গলবার মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার বরাবর পাঠানো হয়েছে।
গতকাল দুপুরে সিটি করপোরেশনের মেয়র অ্যাডভোকেট শওকত হোসেন হিরণ নগর ভবনে তাঁর কার্যালয়ে ৫০ হাজার টাকার পুরস্কার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার মো. জিল্লুর রহমানের হাতে তুলে দেন। পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. শহিদুজ্জামান, মেট্রো ডিবি পুলিশের পরিদর্শক শেখ জিয়াউল ইসলাম, কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. দেলোয়ার হোসেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাইদুল ইসলাম সাইদ, ডিবি সহকারী পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম, সহকারী উপপরিদর্শক শেখ মহিউদ্দিন প্রমুখ।

No comments

Powered by Blogger.