ঘৃণা by আল-আমিন পলাশ
আজ যে মানুষটিকে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করি, এই মাত্র কয়েকদিন আগেও তাকে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতাম। একদিন যার হাত ধরে পৃথিবী ছেড়ে যেতে পারতাম, আজ বিন্দুমাত্র বিশ্বাস নেই তাকে। কি অবলীলায় সে বলে গেল, 'তোমার কাছ থেকে চলে যেতে চাই।' মানুষ এমনও হয়! যে মুখে প্রেমের অমৃত মন্ত্র পাঠ করে, আবার সেই মুখেই নিম তেতো মন্ত্র শুনায়। কি অদ্ভুত এই মানুষের জাত! লিভ টুগেদার এদের আধুনিক সভ্যতা।
ঘর বাঁধ, ভালো লাগলে থাক, ভালো না লাগলে ভেঙে ফেল। আবার কাঠখড় কুড়িয়ে জড়ো কর নতুন কোনো ঘর বাঁধতে। ঘর বাঁধতে এদের যেমন কোনো কষ্ট নেই, বোধকরি ঘর ভাঙতেও এদের কোনো কষ্ট হয় না। অথচ এই সেদিনও সংসারের কত খুঁটিনাটি বিষয়ে দু'জনার কথা হলো। তাকে নিজের হাতে গোসল করিয়ে দেব, নিজের হাতে ভাত খাইয়ে দেব, আদর করে ঘুম পাড়িয়ে দেব, অসুখ হলে নিজের হাতে সেবা করব, হাঁটতে না পারলে কোলে নিয়ে হাঁটব ইত্যাকার হাজারো প্রতিশ্রুতি দিয়েছি তাকে। আজ কে বিশ্বাস করবে এসব কথা!
আজ এই গভীর রাতে খুব মনে পড়ছে তাকে। কিন্তু ভালো না বেসে ঘৃণা করতে ইচ্ছে করছে কেন? কথা দিয়ে কথা রাখেনি তাই? তাই বলে কি ভালোবাসতেও ভুলে যেতে হবে? নাকি ভালোবাসা আর ঘৃণা এক জায়গায় বসবাস করতে পারে না। আমি তাকে যতই ঘৃণা করতে চেষ্টা করছি, ততই ভালোবাসা আমায় চেপে ধরছে কেন? নাকি ভালোবাসা আর ঘৃণা আজ দু'জন দু'জনার মধ্যে একাকার হয়ে মিশে গেছে। তাও তো হওয়ার নয়। যাকে ঘৃণা করি, তাকে আবার ভালোবাসি কী করে? আসলে ঘৃণা তো মানুষ তাকেই করে, যাকে অনেক ভালোবাসে।
যতই ভুলতে চেষ্টা করি ততই মনের দুয়ারে এসে করাঘাত করে, 'তুমি আর কোনোদিন আমায় ফোন কর না প্লিজ।' আমি অদ্ভুত বিস্ময়ে শুনি অধরার বিষবাষ্প মিশ্রিত সেই অদ্ভুত আর দৃঢ় কণ্ঠস্বর। আমার ভেতরে লুকিয়ে থাকা হৃদয়টা কেটে কেটে ফালি ফালি হয়। তারই কষ্টে চোখের কোণ বেয়ে নোনাজল ঝরে। তাকে আর কোনোদিন ফোন করতে পারব না এই ভেবে না, তাকে আর কোনোদিন ভালোবাসতে পারব না এই ভেবে কে যেন লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁদে আমার ভেতরে। তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষাও জানা নেই আমার।
যাকে হারিয়েছি, জানি তাকে আর ফিরে পাওয়ার নয়। কিন্তু অতীত স্মৃতির পথ ধরে সে কেন বারবার ফিরে আসে? রাত গভীর হলে এখনও কেন ফোনের অপেক্ষা করি। কেন সেই মিষ্টি কণ্ঠে শুনতে চাই, 'তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি।' যে একদিন নিজে বলেছিল, তোমাকে ছাড়া বাঁচব না, তুমি আমার সুখের ঠিকানা, আমার অহঙ্কার, আমার আঁধার ঘরের বাতি।' সেই মিষ্টি মেয়েটিকে অনন্তকাল ভুলে থাকব কী করে আমি। শুধু মনে পড়ে এই মেয়েটিই একদিন মা-বাবা সবাইকে ছেড়ে আমার কাছে চলে আসতে চেয়েছিল। ঈদের খুশি আমার সঙ্গে ভাগাভাগি করবে বলে যে মেয়েটি পৃথিবীর সব বন্ধন ছিন্ন করতে চেয়েছিল, সেই মেয়েই কি-না ভালোবাসার বন্ধন ছিন্ন করে। ভালোবাসা, সংসারের মূল্য কি এতই কম?
আজ মুঠোফোনে একটি মেসেজ এসেছে, 'আই অ্যাম ভেরি সরি, আমাকে পারলে ক্ষমা করে দাও।' সেই থেকে একটি কথাই শুধু ভেবে আসছি, চলে গেলে কি আবার ফিরে আসা যায়? ভালোবাসার মূল্য কি এতই কম যে মন চাইলে চলে যাব, আবার মন চাইলে ফিরে আসব। জানি, তার জন্য আমার দুয়ার চিরকালের তরেই বন্ধ হয়ে গেছে। এখন আর চাইলেও সে ফিরে আসতে পারবে না। তার পথ চলার রাস্তা অদৃশ্যের পথে হারিয়ে গেছে। এখন আর পুরনো পথ চিনে ফিরে আসতে পারবে না সে। চিরকালের জন্যই বন্ধ হয়ে গেছে তার চিরচেনা ঘরের দুয়ার। তবুও নিজেকে কেন যেন ধরে রাখতে পারছি না। আজ ভীষণ কাঁদতে মন চাইছে, সে চলে গেছে এই ভেবে। আজ ভীষণ কাঁদতে মন চাইছে, সে ফিরে আসতে চাইছে এই ভেবে...।
হসহ-সভাপতি, নাজিপুর সুহৃদ সমাবেশ
আজ এই গভীর রাতে খুব মনে পড়ছে তাকে। কিন্তু ভালো না বেসে ঘৃণা করতে ইচ্ছে করছে কেন? কথা দিয়ে কথা রাখেনি তাই? তাই বলে কি ভালোবাসতেও ভুলে যেতে হবে? নাকি ভালোবাসা আর ঘৃণা এক জায়গায় বসবাস করতে পারে না। আমি তাকে যতই ঘৃণা করতে চেষ্টা করছি, ততই ভালোবাসা আমায় চেপে ধরছে কেন? নাকি ভালোবাসা আর ঘৃণা আজ দু'জন দু'জনার মধ্যে একাকার হয়ে মিশে গেছে। তাও তো হওয়ার নয়। যাকে ঘৃণা করি, তাকে আবার ভালোবাসি কী করে? আসলে ঘৃণা তো মানুষ তাকেই করে, যাকে অনেক ভালোবাসে।
যতই ভুলতে চেষ্টা করি ততই মনের দুয়ারে এসে করাঘাত করে, 'তুমি আর কোনোদিন আমায় ফোন কর না প্লিজ।' আমি অদ্ভুত বিস্ময়ে শুনি অধরার বিষবাষ্প মিশ্রিত সেই অদ্ভুত আর দৃঢ় কণ্ঠস্বর। আমার ভেতরে লুকিয়ে থাকা হৃদয়টা কেটে কেটে ফালি ফালি হয়। তারই কষ্টে চোখের কোণ বেয়ে নোনাজল ঝরে। তাকে আর কোনোদিন ফোন করতে পারব না এই ভেবে না, তাকে আর কোনোদিন ভালোবাসতে পারব না এই ভেবে কে যেন লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁদে আমার ভেতরে। তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষাও জানা নেই আমার।
যাকে হারিয়েছি, জানি তাকে আর ফিরে পাওয়ার নয়। কিন্তু অতীত স্মৃতির পথ ধরে সে কেন বারবার ফিরে আসে? রাত গভীর হলে এখনও কেন ফোনের অপেক্ষা করি। কেন সেই মিষ্টি কণ্ঠে শুনতে চাই, 'তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি।' যে একদিন নিজে বলেছিল, তোমাকে ছাড়া বাঁচব না, তুমি আমার সুখের ঠিকানা, আমার অহঙ্কার, আমার আঁধার ঘরের বাতি।' সেই মিষ্টি মেয়েটিকে অনন্তকাল ভুলে থাকব কী করে আমি। শুধু মনে পড়ে এই মেয়েটিই একদিন মা-বাবা সবাইকে ছেড়ে আমার কাছে চলে আসতে চেয়েছিল। ঈদের খুশি আমার সঙ্গে ভাগাভাগি করবে বলে যে মেয়েটি পৃথিবীর সব বন্ধন ছিন্ন করতে চেয়েছিল, সেই মেয়েই কি-না ভালোবাসার বন্ধন ছিন্ন করে। ভালোবাসা, সংসারের মূল্য কি এতই কম?
আজ মুঠোফোনে একটি মেসেজ এসেছে, 'আই অ্যাম ভেরি সরি, আমাকে পারলে ক্ষমা করে দাও।' সেই থেকে একটি কথাই শুধু ভেবে আসছি, চলে গেলে কি আবার ফিরে আসা যায়? ভালোবাসার মূল্য কি এতই কম যে মন চাইলে চলে যাব, আবার মন চাইলে ফিরে আসব। জানি, তার জন্য আমার দুয়ার চিরকালের তরেই বন্ধ হয়ে গেছে। এখন আর চাইলেও সে ফিরে আসতে পারবে না। তার পথ চলার রাস্তা অদৃশ্যের পথে হারিয়ে গেছে। এখন আর পুরনো পথ চিনে ফিরে আসতে পারবে না সে। চিরকালের জন্যই বন্ধ হয়ে গেছে তার চিরচেনা ঘরের দুয়ার। তবুও নিজেকে কেন যেন ধরে রাখতে পারছি না। আজ ভীষণ কাঁদতে মন চাইছে, সে চলে গেছে এই ভেবে। আজ ভীষণ কাঁদতে মন চাইছে, সে ফিরে আসতে চাইছে এই ভেবে...।
হসহ-সভাপতি, নাজিপুর সুহৃদ সমাবেশ
No comments