চাকরির সুযোগ সীমিত
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফলে সারাবিশ্বে প্রতিবন্ধীদের অবস্থা এখন কিছুটা হলেও পাল্টেছে। বাংলাদেশও এক্ষেত্রে কিছুটা এগিয়েছে। তবে সরকারি বা বেসরকারি ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীদের চাকরির সুযোগ এখনও সীমিত। অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে প্রতিবন্ধীরা শিক্ষিত হলেও চাকরি ক্ষেত্রে রয়েছে নানা বাধা ও বৈষম্য। সরকারি চাকরিতে এখন দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য শতকরা ১০ ভাগ কোটা রয়েছে।
যদিও তা এককভাবে নয়। এর সঙ্গে এতিমরাও সম্পৃক্ত। তবে সরকারের প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা হওয়ার সুযোগ এখনও প্রতিবন্ধীরা পায়নি। এ নিয়ে অনেক প্রতিবন্ধী সংগঠন এখনও আন্দোলন করে যাচ্ছে। এ তো গেল সরকারি চাকরির কথা। বেসরকারি সংস্থাগুলোতে প্রতিবন্ধীদের চাকরির সুযোগ আরও কম। কিছু প্রতিবন্ধী সংস্থা উদ্যোগী হয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট কোটায় প্রতিবন্ধীদের চাকরির সুযোগ দিচ্ছে। যদিও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। শারীরিক প্রতিবন্ধী অনিমেশ তযু অনেক প্রতিকূলতা পেরিয়ে বিএ পাস করেন। তিনি জানান, বিভিন্ন চাকরিতে টিকলেও শুধু প্রতিবন্ধী বলে বারবার বাদ পড়েন। তিনি বলেন, ' বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং সমাজকল্যাণ সংস্থাগুলো চাকরির আশ্বাস দিলেও বাস্তবে চিত্র ভিন্ন।' অনেক চেষ্টা করে চাকরি না পেয়ে এখন তিনি এক প্রতিবন্ধী প্রতিষ্ঠানেই কর্মরত আছেন। অনিমেশের মতো এরকম সমস্যায় পড়েন আরও অনেকেই। এ প্রসঙ্গে বেসরকারি সংস্থা অ্যাকশন অন ডিজঅ্যাবিলিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এডিডি) এক কর্মী বলেন, সরকারি সংস্থার পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোতে প্রতিবন্ধীদের চাকরির জন্য নির্দিষ্ট নীতিমালা করা প্রয়োজন।
আখতার হোসেন রকি
আখতার হোসেন রকি
No comments