যেমন চলছে প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা
প্রতিবন্ধীরা এখনও নানা দিক থেকে পিছিয়ে আছে আছে। বিশেষ করে শিক্ষাক্ষেত্রে তাদের অংশগ্রহণ এখনও আশানুরূপ নয়। দেশি ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা দীর্ঘদিন কাজ করছে প্রতিবন্ধীদের অধিকার আদায় নিয়ে। গত দুই দশক ধরে কাজ করে প্রতিবন্ধীদের জন্য বিভিন্ন সাফল্য নিয়ে এলেও শিক্ষারক্ষেত্রে এখনও সুযোগ সেই হারে বাড়েনি। প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য সর্বক্ষেত্রে শিক্ষার উপযুক্ত সুযোগ নেই, নেই অনুকূল পরিবেশ। এখনও শিক্ষা ক্ষেত্রে অনেক
প্রতিবন্ধী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে স্বাভাবিকদের সঙ্গে। শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার হলেও বাংলাদেশে প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা এখনও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশে আনুমানিক প্রায় ২৬ লাখ প্রতিবন্ধী রয়েছে যারা স্কুলে যাওয়ার উপযুক্ত। এদের মধ্যে কম সংখ্যকই শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে। ২০০৫ সালে প্রকাশিত 'বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়' গ্রন্থের তথ্যানুসারে এ দেশে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য পাঁচটি (মোট সিট ২৪০), বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য একটি (মোট সিট ১০০), শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য সাতটি (মোট সিট ২৭০), শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ তিনটি প্রতিবন্ধী মডেল স্কুল (মোট সিট ১৯০) রয়েছে। সমন্বিত কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিটি জেলায় একটি স্কুলে ১০টি করে আসন হিসেবে ৬৪০ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশুর শিক্ষার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য ২০টি, দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য ২-৩টি, অটিস্টিকদের জন্য ৪টি এবং বুদ্ধি প্রতিবন্ধীদের জন্য ৫০টি স্কুল ও সংগঠন বা সংস্থা কাজ করছে। কিন্তু এসব বেসরকারি স্কুলে শিক্ষা ব্যয়বহুল। তাই নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের প্রতিবন্ধী শিশুরা বেশির ভাগই শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত। তবুও বিভিন্ন প্রতিকূলতা পেরিয়ে অনেক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিষয়ে অধ্যয়ন করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৫০ প্রতিবন্ধী ছাত্রছাত্রী রয়েছে। প্রতিবন্ধিতার লিঙ্গমাত্রার ওপর পরিচালিত সিএসআইভির গবেষণায় প্রতিবন্ধী নারী ও শিশুদের সর্বোচ্চ ভর্তির হার দেখা যায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পর্যায়ক্রমে ২১.২৫ শতাংশ ও ৩০.৬৭ শতাংশ। আর প্রতিবন্ধীদের মধ্যে মাত্র ৪ শতাংশ উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে।
ষআহমেদ শুভ
ষআহমেদ শুভ
No comments