মিয়ানমার থেকে দেশে পণ্য আমদানি হয় সিঙ্গাপুর হয়ে by আসিফ সিদ্দিকী,
চট্টগ্রাম থেকে মিয়ানমার বন্দরের নৌপথের দূরত্ব মাত্র ৮৩১ নটিক্যাল মাইল। ১০ নটিক্যাল মাইল গতিতে চললে যেতে সময় লাগে সাড়ে তিন দিন। অথচ এই সামান্য পথের বদলে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পণ্য আমদানি করতে হচ্ছে সিঙ্গাপুর হয়ে এক হাজার ৮৬৬ নটিক্যাল মাইলের আট দিনের পথ পাড়ি দিয়ে। বাংলাদেশ-মিয়ানমার নৌ প্রটোকল চুক্তি স্বাক্ষর না হওয়ায় চট্টগ্রাম-মিয়ানমার রুটে সরাসরি জাহাজ চলাচল করতে পারছে না।
এতে ব্যবসায়ীদের সময় যেমন বেশি লাগছে, তেমনি পণ্য আমদানি ব্যয়ও বেড়ে যাচ্ছে।মিয়ানমারের আকিয়াব বন্দরের সঙ্গে চট্টগ্রাম ও টেকনাফ বন্দরের সরাসরি নৌ যোগাযোগ চালুর লক্ষ্যে উভয় দেশের মধ্যে একটি প্রটোকল স্বাক্ষরের প্রস্তুতি চলছে গত এক বছর ধরে। কিন্তু তার কোনো বাস্তবায়ন এখনো চোখে পড়েনি। অথচ আগামী ৫ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মিয়ানমার সফরে এই প্রটোকল স্বাক্ষরের কথা রয়েছে। এই প্রটোকল স্বাক্ষর হলে মিয়ানমার থেকে পণ্য আমদানির ব্যয় কমবে ৬৭ শতাংশ। আর বেসরকারি খাতের জাহাজ ব্যবসারও প্রসার ঘটবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ-মিয়ানমার বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিলের সভাপতি সৈয়দ মাহমুদুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, 'নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক বৈঠকে এই প্রটোকল স্বাক্ষরের বিষয়ে কোনো অগ্রগতির কথা জানানো হয়নি। আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, এখনো প্রটোকলের খসড়াই চূড়ান্ত হয়নি। ফলে প্রধানমন্ত্রীর সফরে এ ধরনের কোনো চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা কম।'
জানা গেছে, বাংলাদেশ ২০১০-১১ অর্থবছরে মিয়ানমার থেকে ১৭২ মিলিয়ন ইউএস ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে। এই বিপুল পণ্য সরাসরি টেকনাফ বা চট্টগ্রাম বন্দরে আসতে পারে না। তৃতীয় দেশ অর্থাৎ সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড হয়ে এসব পণ্য আসে। মিয়ানমার থেকে নিত্যপণ্য বিশেষ করে চাল, ডাল, পেঁয়াজ, আদা, রসুনের আমদানির যথেষ্ট সুযোগ থাকলেও সেই সুযোগ কাজে লাগানো হচ্ছে না। মিয়ানমার থেকে পণ্য আমদানিকারক চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারের পরিচালক ও মেরিনা ইন্টারন্যাশনালের কর্ণধার নুরুল আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি ব্যাংকিং ট্রানজেকশন না থাকায় এলসি বা ঋণপত্র খুলে পণ্য আমদানির সুযোগ নেই। ফলে তৃতীয় দেশ সিঙ্গাপুর থেকে পণ্য শিপমেন্ট করতে হয়। অথচ সেই পণ্য মিয়ানমার থেকে প্রথমে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। এতে পণ্যের পরিবহন খরচ অনেক বেড়ে যাচ্ছে।'
তবে দেশের ছোট আমদানিকারকরা মাত্র ৫০০ টনের ছোট জাহাজে করে সরাসরি পণ্য আমদানির সুযোগ পান। সোনালী ব্যাংক থেকে ১০ থেকে ২০ হাজার ডলারের ব্যাংক ড্রাফট দিয়ে পণ্য আমদানি করতে হয়। এই জাহাজে পণ্য পরিবহন খরচ অনেক কমে যাওয়ায় তেমন কেউ এই সুযোগ গ্রহণ করে না। সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কোস্টাল মেরিটাইম শিপিং এগ্রিমেন্ট অনুযায়ী দুই দেশের জাতীয় পতাকাবাহী জাহাজে পণ্য পরিবহনের সুযোগ আছে। কিন্তু উভয় দেশের মধ্যে জাহাজ ব্যবসার প্রসার ঘটাতে প্রটোকল স্বাক্ষরের প্রয়োজন আছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ ২০১০-১১ অর্থবছরে মিয়ানমার থেকে ১৭২ মিলিয়ন ইউএস ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে। এই বিপুল পণ্য সরাসরি টেকনাফ বা চট্টগ্রাম বন্দরে আসতে পারে না। তৃতীয় দেশ অর্থাৎ সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড হয়ে এসব পণ্য আসে। মিয়ানমার থেকে নিত্যপণ্য বিশেষ করে চাল, ডাল, পেঁয়াজ, আদা, রসুনের আমদানির যথেষ্ট সুযোগ থাকলেও সেই সুযোগ কাজে লাগানো হচ্ছে না। মিয়ানমার থেকে পণ্য আমদানিকারক চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারের পরিচালক ও মেরিনা ইন্টারন্যাশনালের কর্ণধার নুরুল আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি ব্যাংকিং ট্রানজেকশন না থাকায় এলসি বা ঋণপত্র খুলে পণ্য আমদানির সুযোগ নেই। ফলে তৃতীয় দেশ সিঙ্গাপুর থেকে পণ্য শিপমেন্ট করতে হয়। অথচ সেই পণ্য মিয়ানমার থেকে প্রথমে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। এতে পণ্যের পরিবহন খরচ অনেক বেড়ে যাচ্ছে।'
তবে দেশের ছোট আমদানিকারকরা মাত্র ৫০০ টনের ছোট জাহাজে করে সরাসরি পণ্য আমদানির সুযোগ পান। সোনালী ব্যাংক থেকে ১০ থেকে ২০ হাজার ডলারের ব্যাংক ড্রাফট দিয়ে পণ্য আমদানি করতে হয়। এই জাহাজে পণ্য পরিবহন খরচ অনেক কমে যাওয়ায় তেমন কেউ এই সুযোগ গ্রহণ করে না। সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কোস্টাল মেরিটাইম শিপিং এগ্রিমেন্ট অনুযায়ী দুই দেশের জাতীয় পতাকাবাহী জাহাজে পণ্য পরিবহনের সুযোগ আছে। কিন্তু উভয় দেশের মধ্যে জাহাজ ব্যবসার প্রসার ঘটাতে প্রটোকল স্বাক্ষরের প্রয়োজন আছে।
No comments