চিঠি by তপু রায়হান
এ চিঠি যখন লিখতে বসেছি, আমার ঘরে খুব গোপনে তখন শীতকাল। অথচ তোমাকে বুঝতে দেব না বলে চিঠির ভাঁজে কোনো কুয়াশা মেঘের পাঁপড়ি পাঠাচ্ছি না। অবশ্য চিঠিতে সযত্নে জড়িয়ে দেওয়া কলমের কালি যদি জমে গিয়ে থাকে, বুঝে নিও, কতটা শীত নিয়ে থাকি। কিংবা সারি সারি বাক্যের অক্ষরেরা যদি দক্ষিণ মেরুর মতো সুবিশাল বরফ আকারে রূপ ধারণ করে, ধরে নিও তবে এতদিনে আমিও হয়ে গেছি সেই শীতল জগতেরই কোনো চেনাজানা প্রাণী।
হয়তো বুকে হেঁটে চলা কোনো সিল কিংবা মানুষ নয়, অথচ মানুষেরই মতো সদৃশ্য এক দো-পেয়ে পেঙ্গুইন।প্রত্যুত্তরে তোমার চিঠিতে তুমি দু'দণ্ড আগুন লিখে পাঠিও। শুধু খেয়াল রেখো, সে আগুন যেন খেয়ে না ফেলে চিঠির উষ্ণ অক্ষরগুলো, না পুড়িয়ে মারে স্বয়ং নিরীহ চিঠির শরীর। আমার এই ছোট্ট আবাস ঘরের সুবিশাল দক্ষিণ মেরুতে তোমার চিঠি যদি পেঁৗছোয়, জেনে নিও, আবারও হয়ত মানুষের বেশে বেঁচে ফিরে আসতে পারি।
আজ এই চিঠি আমার খুব দ্রুতই লিখতে হচ্ছে। অসার হৃদয় জমে হয়ে যাচ্ছে পিরামিডের পাথরের মতো। খুব দ্রুতই বোধহয় আমাকে নিয়ে মাইকেল অ্যাঞ্জেলা তার নতুন কোনো মূর্তি খোদাই করতে পারবেন। যদি চাও বেঁচে থাকি, আমার এ স্যাঁতসেতে হৃদয় ভালো থাকুক, তবে আমার এ শীতকাল জীবনে তুমি উষ্ণময় ঋতুকে সঙ্গে করে এসো।
আমি কিন্তু তোমার দ্রুত আগমনের অপেক্ষায় বসে আছি। হ ঝিনাইদহ
No comments