'ফুটপাত' প্রযুক্তি
পা রাখার পর থেকে উন্নত বিশ্বের বড় বড় শপিংমল বা মার্কেট কর্তৃপক্ষ ক্রেতাকে অনুসরণ করতে থাকে। ক্রেতার গতিবিধি আর মোবাইল নম্বর এবং কথা বললে তা রেকর্ড হয়ে যায়। অর্থাৎ শুধু সিসিটিভি ক্যামেরাই (ক্লোজসার্কিট টিভি ক্যামেরা) নয়, অত্যন্ত সন্তর্পণে, গোপনীয়তার সঙ্গে সব ক্রেতার গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে একটি যন্ত্র। যন্ত্রটির নাম 'ফুটপাত'। ফুটপাত যন্ত্রটি উদ্ভাবিত হওয়ার পর এর প্রযুক্তিগত ক্ষমতা নিয়ে তেমন
একটা হৈচৈ ছিল না। কিন্তু সম্প্রতি ব্রিটেনের বহুল প্রচারিত দ্য মেইল সংবাদপত্রে এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের নেতারা কিছুটা নড়েচড়ে বসেন। তাদের বক্তব্য, সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যক্তিগত গোপনীয়তার জন্য যথেষ্ট হুমকি। অর্থাৎ মার্কেটিং করতে যাওয়া কোনো ক্রেতাই শপিংমল বা দোকানির গোপন নজরদারির বাইরে নন। এর আগে আবিষ্কৃত 'টমটম' যন্ত্রটিও মোবাইল ফোনের সিগন্যাল অনুসরণ করতে সক্ষম ছিল। কিন্তু তা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রাতিষ্ঠানিক ও পেশাগত কাজে বেশি ব্যবহার করা হতো। ফুটপাত যন্ত্রটি দিয়ে দোকান, ব্যাংক, রেলস্টেশন, বিমানবন্দর, শিক্ষা বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাউকে সতর্ক না করে অত্যন্ত গোপনে তার ওপর নজর রাখা সম্ভব। এটা ব্যক্তিগত গোপনীয় আইনের চরম লঙ্ঘন বলে মানবাধিকার সংস্থাগুলো মনে করে। ফাঁস হওয়া তথ্য থেকে কোনো ব্যক্তি চরম বিপদের মুখে পড়তে পারেন বলে তারা মনে করেন। ফুটপাত প্রযুক্তি যারা ব্যবহার করছেন তাদের যুক্তি হলো, নিরাপত্তার স্বার্থে এটা তারা করছেন। কারও ক্ষতি হোক তেমন কোনো কাজ তারা করবেন না। যন্ত্রটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বলছে, সেলফোন বন্ধ রেখে মার্কেট বা দোকানে ঢোকা উচিত। তাহলে আপনার মোবাইল ফোনের ওপর গোয়েন্দা তৎপরতা চালানো কারও পক্ষে সম্ভব নয়। দ্য মেইল।
No comments