আমায় ক্ষমো হে-পশু কোরবানি ও রাজনৈতিক অর্থনীতি by মামুন রশীদ
বাংলাদেশের একটি ভালো দিক হচ্ছে, এখানকার শিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত প্রায় সব মানুষই রাজনীতি, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন চুক্তি, পুঁজিবাজারের উত্থান-পতন, রবীন্দ্রসংগীত ও ধর্মীয় বিষয়ে প্রায় সমানভাবে আগ্রহী। আর দুঃখের বিষয়টি হচ্ছে, এসব বিষয়ে জ্ঞান আহরণের জন্য তাঁদের বেশির ভাগই ইদানীংকালে টেলিভিশনের জনপ্রিয় টক শো'র ওপর নির্ভরশীল। কোনো গবেষণাপত্র, এমনকি সংবাদপত্রে প্রকাশিত বিশেষজ্ঞদের লেখাগুলোও খুব একটা পড়েন না।
ঈদের বন্ধে আমার ছেলেকে নিয়ে অ্যাপোলো হাসপাতালে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে বেরিয়ে আসার সময় এক ভদ্রলোক লিফটের মধ্যে আমাকে ধরে বসলেন। বললেন, তিনি আমাকে টক শোতে দেখেছেন এবং আমি সাধারণত যা বলি কিংবা বলেছি, তা তাঁর কাছে বেশ যুক্তিগ্রাহ্য মনে হয়। যা-ই হোক, ভুল জায়গা হওয়া সত্ত্বেও তিনি আমাকে কিছু প্রশ্ন করলেন। যেমন ঈদের সময় ব্যাংকে নগদ অর্থের সংকট, আমাদের শেয়ারবাজারের ভবিষ্যৎ এবং দ্রব্যমূল্য কমিয়ে আনার সম্ভাব্য উপায় ইত্যাদি। তিনি বাণিজ্যিক ব্যাংকে নগদ অর্থের সংকটের কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার ওপর যথেষ্ট গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি যেমন নিত্যপণ্যের দাম কমানোর সম্ভাব্য উপায় জানতে আগ্রহী, তেমনি ব্যাংকের নগদ অর্থসংকট সম্পর্কে আমার মতামত জানতেও সমানভাবে আগ্রহী ছিলেন। এদিকে আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে। আমার ছেলে তার হোমওয়ার্ক করার জন্য তাড়াতাড়ি আমাকে বাসায় যেতে বারবার তাড়া দিচ্ছে। যা-ই হোক, সে যাত্রায় ভদ্রলোকের হাত থেকে কোনোরকমে রক্ষা পাওয়া গেল। কিন্তু একজন সাবেক ব্যাংকার এবং বর্তমানে ব্যবসায় প্রশাসনের একজন শিক্ষক হিসেবে আমি ব্যাংকে নগদ অর্থের সংকট এবং ঈদুল আজহার রাজনৈতিক অর্থনীতি নিয়ে বেশ জোরেশোরেই ভাবতে লাগলাম।
একটি সরকারি সংস্থায় কর্মরত আমার এক পরিসংখ্যানবিদ বন্ধুকে জিজ্ঞেস করলাম, ঈদুল আজহায় কতসংখ্যক গবাদিপশু কোরবানি বা জবাই হয়? তাঁর ধারণা, এই সংখ্যা ৬০ থেকে ৭০ লাখের কাছাকাছি হবে, আজকাল যেহেতু অনেকেই গরুর পাশাপাশি ছাগল বা ভেড়া কোরবানি দিয়ে থাকেন, সেহেতু তার মধ্যে ৩০ শতাংশ হবে ছাগল বা ভেড়া। আমরা যদি গড়ে একটি পশুর মূল্য ধরি ১৫ হাজার টাকা, তাহলে ৭০ লাখ পশুর মোট মূল্য দাঁড়ায় ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা অথবা ১৪০ কোটি মার্কিন ডলার। পাঠক নিশ্চয় জানেন যে পশুর বাজারে কোনো ক্রেডিট কার্ড বা চেকে মূল্য পরিশোধের ব্যবস্থা নেই। তার অর্থ, ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকার পুরোটাই নগদে বিনিময় হয়। কেউ যদি এর সঙ্গে আনুষঙ্গিক খরচগুলো ধরেন, যেমন কাঠের টুকরো, বাঁশের চাটাই, ছুরি, জবাইকারী বা কসাইয়ের খরচ, পোলাউর চাল, মসলাপাতিসহ সংশ্লিষ্ট খাদ্য উপাদান, যাতায়াত ইত্যাদি মিলিয়ে ঈদুল আজহার সময় মোট খরচ ১৪-১৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি হতে পারে। আনুষঙ্গিক খরচগুলোরও অধিকাংশ নগদ অর্থেই হয়ে থাকে। ডিজিটাল বাংলাদেশ কিংবা ব্যাংকিং অটোমেশনের যুগে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে প্রায় দুই হাজারের বেশি এটিএম মেশিন বা বুথ রয়েছে। ব্যাংকের গণ্যমান্য গ্রাহকদের ঈদের ছুটিতে বা অব্যবহিত পর উত্তোলনের জন্য যদি এটিএম বুথগুলোর প্রতিটিতে গড়ে পাঁচ-সাত লাখ টাকা করে রাখতে হয়, তাহলে আবারও ১০০-১৫০ কোটি টাকার প্রয়োজন হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর যদি আমার বন্ধুদের খুশি রাখতে চান, তাহলে ১৪-১৫ হাজার কোটি টাকা সঞ্চালনে বা মানুষের হাতে রাখার পাশাপাশি তাঁকে আরো নগদ অর্থ ছাপাতে হবে, যা আবার মুদ্রাস্ফীতিতেও বিরাট ভূমিকা রাখবে।
এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্নটির উত্তর খোঁজা যাক_বাজারে এত পশু কোথা থেকে এল? এবং কিভাবে এর মূল্য নির্ধারণ করা হলো? পাঠকদের কেউ কি কখনো শুনেছেন যে প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে গবাদিপশু আমদানির জন্য কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংকে লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) বা ঋণপত্র খোলা হয়? তাহলে কী ঘটে দেখা যাক। আমাকে বলা হয়েছে যে ঈদুল আজহায় যত পশু কোরবানি হয়, তার প্রায় ৪০-৫০ শতাংশ আসে ভারত থেকে। এর সবগুলোরই মূল্য পরিশোধ করা হয় 'হাওয়ালা' বাজার বা সাধারণভাবে পরিচিত হুণ্ডির মাধ্যমে। এই পদ্ধতিতে আবার প্রায় ৬০-৭০ কোটি ডলার তথা প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা ভারতে চলে যায়। সরকার বঞ্চিত হয় মোটা অঙ্কের রাজস্ব আয় থেকে। সদাশয় সরকার হুণ্ডি বা অবৈধভাবে মুদ্রা পাচারের ব্যাপারে বিরাট শাস্তিসহ উচ্চকণ্ঠ হলেও এ ক্ষেত্রে ধর্মীয় অনুভূতির কথা বিবেচনা করে তেমন কিছু বলতে পারেন না। আমার সচেতন বন্ধুরা প্রায়ই আমাকে বলে থাকেন যে ভারত থেকে গবাদিপশু না এলে আমাদের এক কেজি গরুর মাংস পাঁচ শ টাকারও বেশি দাম দিয়ে কিনতে হতো।
এবার চামড়াকে কেন্দ্র করে পরিচালিত সব ব্যবসা প্রসঙ্গে আসা যাক। আমাদের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও চামড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে দীর্ঘকালীন সমস্যা বিদ্যমান। এই খাতে বিশাল পরিমাণের অনাদায়ী ঋণ রয়েছে। এর পরও ঈদুল আজহার বাজার এবং বহুল পরিচিত 'সাধারণ জনগণ'-এর স্বার্থে ঋণখেলাপি চামড়া ব্যবসায়ীদের আবার ঋণ দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ওপর রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করা হয়। তার সঙ্গে ইদানীং শোনা যাচ্ছে, ঋণগ্রহীতাদের অনেকেই আবার নির্ধারিত কাজে তথা চামড়া ক্রয়ে টাকাগুলো ব্যবহার করছেন না। ফলে চামড়া বিক্রেতারা ভালো দামও পাচ্ছেন না। ২০১০-১১ অর্থবছরে এ খাতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো ৩৭১ কোটি টাকা এবং ২০১১-১২ অর্থবছরে অর্থাৎ এই মৌসুমে ৩৩০ কোটি টাকা বিতরণ করেছে।
এই পুরো খেলাটিতে কে ক্ষতিগ্রস্ত হয়? অবশ্যই দরিদ্র সরকার। কেন? সাধারণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে মূল্য দেওয়ার জন্য। বিনিময়ে তারা কী পেতে পারে? সামগ্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় এর কী অভিঘাত হতে পারে, তা বিবেচনায় না নিয়েই সরকারের পর সরকার বহু পুরনো সেই রীতিকেই ধরে রেখেছে।
আমি মনে করি, আমাদের নিয়ন্ত্রকদের তথা নীতি-বিশ্লেষকদের পুরো বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখার সময় এসেছে। এ ক্ষেত্রে বিদ্যমান প্রধান অসাধু চর্চাগুলো খুঁজে বের করা দরকার এবং একে যতটা সম্ভব স্বচ্ছ করা প্রয়োজন। আমরা চাই না, কোনো পবিত্র উৎসবকে কোনো ধরনের লোভ বা অপবিত্র চর্চা কলুষিত করুক। একই সঙ্গে আমরা অন্য সব ছুটি কমিয়ে দুটি ঈদের সময় ছুটির পরিমাণ বাড়ানো এবং উন্নত যানবাহনব্যবস্থা সুনিশ্চিত করার বিষয়টি ভেবে দেখতে পারি।
লেখক : ব্যাংকার ও অর্থনীতি বিশ্লেষক।
একটি সরকারি সংস্থায় কর্মরত আমার এক পরিসংখ্যানবিদ বন্ধুকে জিজ্ঞেস করলাম, ঈদুল আজহায় কতসংখ্যক গবাদিপশু কোরবানি বা জবাই হয়? তাঁর ধারণা, এই সংখ্যা ৬০ থেকে ৭০ লাখের কাছাকাছি হবে, আজকাল যেহেতু অনেকেই গরুর পাশাপাশি ছাগল বা ভেড়া কোরবানি দিয়ে থাকেন, সেহেতু তার মধ্যে ৩০ শতাংশ হবে ছাগল বা ভেড়া। আমরা যদি গড়ে একটি পশুর মূল্য ধরি ১৫ হাজার টাকা, তাহলে ৭০ লাখ পশুর মোট মূল্য দাঁড়ায় ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা অথবা ১৪০ কোটি মার্কিন ডলার। পাঠক নিশ্চয় জানেন যে পশুর বাজারে কোনো ক্রেডিট কার্ড বা চেকে মূল্য পরিশোধের ব্যবস্থা নেই। তার অর্থ, ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকার পুরোটাই নগদে বিনিময় হয়। কেউ যদি এর সঙ্গে আনুষঙ্গিক খরচগুলো ধরেন, যেমন কাঠের টুকরো, বাঁশের চাটাই, ছুরি, জবাইকারী বা কসাইয়ের খরচ, পোলাউর চাল, মসলাপাতিসহ সংশ্লিষ্ট খাদ্য উপাদান, যাতায়াত ইত্যাদি মিলিয়ে ঈদুল আজহার সময় মোট খরচ ১৪-১৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি হতে পারে। আনুষঙ্গিক খরচগুলোরও অধিকাংশ নগদ অর্থেই হয়ে থাকে। ডিজিটাল বাংলাদেশ কিংবা ব্যাংকিং অটোমেশনের যুগে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে প্রায় দুই হাজারের বেশি এটিএম মেশিন বা বুথ রয়েছে। ব্যাংকের গণ্যমান্য গ্রাহকদের ঈদের ছুটিতে বা অব্যবহিত পর উত্তোলনের জন্য যদি এটিএম বুথগুলোর প্রতিটিতে গড়ে পাঁচ-সাত লাখ টাকা করে রাখতে হয়, তাহলে আবারও ১০০-১৫০ কোটি টাকার প্রয়োজন হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর যদি আমার বন্ধুদের খুশি রাখতে চান, তাহলে ১৪-১৫ হাজার কোটি টাকা সঞ্চালনে বা মানুষের হাতে রাখার পাশাপাশি তাঁকে আরো নগদ অর্থ ছাপাতে হবে, যা আবার মুদ্রাস্ফীতিতেও বিরাট ভূমিকা রাখবে।
এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্নটির উত্তর খোঁজা যাক_বাজারে এত পশু কোথা থেকে এল? এবং কিভাবে এর মূল্য নির্ধারণ করা হলো? পাঠকদের কেউ কি কখনো শুনেছেন যে প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে গবাদিপশু আমদানির জন্য কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংকে লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) বা ঋণপত্র খোলা হয়? তাহলে কী ঘটে দেখা যাক। আমাকে বলা হয়েছে যে ঈদুল আজহায় যত পশু কোরবানি হয়, তার প্রায় ৪০-৫০ শতাংশ আসে ভারত থেকে। এর সবগুলোরই মূল্য পরিশোধ করা হয় 'হাওয়ালা' বাজার বা সাধারণভাবে পরিচিত হুণ্ডির মাধ্যমে। এই পদ্ধতিতে আবার প্রায় ৬০-৭০ কোটি ডলার তথা প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা ভারতে চলে যায়। সরকার বঞ্চিত হয় মোটা অঙ্কের রাজস্ব আয় থেকে। সদাশয় সরকার হুণ্ডি বা অবৈধভাবে মুদ্রা পাচারের ব্যাপারে বিরাট শাস্তিসহ উচ্চকণ্ঠ হলেও এ ক্ষেত্রে ধর্মীয় অনুভূতির কথা বিবেচনা করে তেমন কিছু বলতে পারেন না। আমার সচেতন বন্ধুরা প্রায়ই আমাকে বলে থাকেন যে ভারত থেকে গবাদিপশু না এলে আমাদের এক কেজি গরুর মাংস পাঁচ শ টাকারও বেশি দাম দিয়ে কিনতে হতো।
এবার চামড়াকে কেন্দ্র করে পরিচালিত সব ব্যবসা প্রসঙ্গে আসা যাক। আমাদের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও চামড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে দীর্ঘকালীন সমস্যা বিদ্যমান। এই খাতে বিশাল পরিমাণের অনাদায়ী ঋণ রয়েছে। এর পরও ঈদুল আজহার বাজার এবং বহুল পরিচিত 'সাধারণ জনগণ'-এর স্বার্থে ঋণখেলাপি চামড়া ব্যবসায়ীদের আবার ঋণ দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ওপর রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করা হয়। তার সঙ্গে ইদানীং শোনা যাচ্ছে, ঋণগ্রহীতাদের অনেকেই আবার নির্ধারিত কাজে তথা চামড়া ক্রয়ে টাকাগুলো ব্যবহার করছেন না। ফলে চামড়া বিক্রেতারা ভালো দামও পাচ্ছেন না। ২০১০-১১ অর্থবছরে এ খাতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো ৩৭১ কোটি টাকা এবং ২০১১-১২ অর্থবছরে অর্থাৎ এই মৌসুমে ৩৩০ কোটি টাকা বিতরণ করেছে।
এই পুরো খেলাটিতে কে ক্ষতিগ্রস্ত হয়? অবশ্যই দরিদ্র সরকার। কেন? সাধারণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে মূল্য দেওয়ার জন্য। বিনিময়ে তারা কী পেতে পারে? সামগ্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় এর কী অভিঘাত হতে পারে, তা বিবেচনায় না নিয়েই সরকারের পর সরকার বহু পুরনো সেই রীতিকেই ধরে রেখেছে।
আমি মনে করি, আমাদের নিয়ন্ত্রকদের তথা নীতি-বিশ্লেষকদের পুরো বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখার সময় এসেছে। এ ক্ষেত্রে বিদ্যমান প্রধান অসাধু চর্চাগুলো খুঁজে বের করা দরকার এবং একে যতটা সম্ভব স্বচ্ছ করা প্রয়োজন। আমরা চাই না, কোনো পবিত্র উৎসবকে কোনো ধরনের লোভ বা অপবিত্র চর্চা কলুষিত করুক। একই সঙ্গে আমরা অন্য সব ছুটি কমিয়ে দুটি ঈদের সময় ছুটির পরিমাণ বাড়ানো এবং উন্নত যানবাহনব্যবস্থা সুনিশ্চিত করার বিষয়টি ভেবে দেখতে পারি।
লেখক : ব্যাংকার ও অর্থনীতি বিশ্লেষক।
No comments