স্ট্যালিনের একমাত্র মেয়ের মৃত্যু
সাবেক সোভিয়েত শাসক জোসেফ স্ট্যালিনের একমাত্র মেয়ে সভেতলানা অ্যালিলুয়েভা মারা গেছেন। মলাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত সভেতলানা গত ২২ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের রিচল্যান্ড সেন্টারে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। নিউ ইয়র্ক টাইমস গত সোমবার এ কথা জানায়।সভেতলানার জন্ম ১৯২৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি। সাড়ে আট দশকের বর্ণাঢ্য জীবনের শেষ দিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের কট্টর সমালোচক
হয়ে উঠেছিলেন তিনি। ১৯৬৭ সালেই সোভিয়েত ইউনিয়ন ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। এর পরও পিতার ছায়া থেকে বেরোতে পারেননি বলে নিজেই স্বীকার করতেন। ২০১০ সালে উইসকনসিন স্টেট জার্নালে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'তিনি (স্ট্যালিন) আমার জীবন নষ্ট করে দিয়েছেন।'
একদা ক্রেমলিনের 'ছোট্ট রাজকন্যা' শেষ জীবনে অর্থকষ্টে কাটিয়েছেন । নিউ ইয়র্ক টাইমস জানায়, ছোট্ট সভেতলানাকে প্রচুর উপহার দিতেন স্ট্যালিন। তাঁকে 'খুদে চড়ুই' বলে ডাকতেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে স্ট্যালিনের ভূমিকা মেনে নিতে পারেননি কিশোরী সভেতলানা। তখন থেকেই বাবার সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয়।
১৯৫৩ সালে স্ট্যালিনের মৃত্যুর পর নামের শেষে মায়ের নাম 'অ্যালিলুয়েভা' যোগ করেন। ১৯৭০ সালে মার্কিন স্থপতি উইলিয়াম ওয়েসলে পিটারসকে বিয়ের পর 'লানা পিটারস' নাম ধারণ করেন সভেতলানা। এর আগে আরো তিনবার ঘর বাঁধার চেষ্টা করলেও কোনোটিই বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। প্রথম দুই সংসারে দুই সন্তানের মা হয়েছিলেন সভেতলানা।
১৯৬৭ সালে তৃতীয় স্বামী ভারতীয় নাগরিক ব্রিজেশ সিংয়ের মৃত্যুর পর তাঁর দেহাবশেষ নিয়ে ভারতে যান সভেতলানা। সেখানেই সোভিয়েত গোয়েন্দাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে দিলি্লর মার্কিন দূতাবাসে গিয়ে আশ্রয় চান তিনি। চারটি বইও লিখেছেন সভেতলানা। এর মধ্যে তাঁর দুটি আত্মজীবনীমূলক বই ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পায়। টাইমসের হিসাবে, 'টুয়েন্টি লেটারস টু এ ফ্রেন্ড' বইটি থেকে সভেতলানা আয় করেন ২৫ লাখ ডলার।
সভেতলানার দুই ভাই অনেক আগেই মারা গেছেন। দ্বিতীয় যুদ্ধের সময় জার্মানির নাৎসি বাহিনীর একটি ক্যাম্পে মারা যান জ্যাকব। এক জার্মান জেনারেলকে ছেড়ে দেওয়ার শর্তে জ্যাকবের মুক্তিতে রাজি হননি স্ট্যালিন। আরেক ভাই ভাসিলি মাত্র ৪০ বছর বয়সে মারা যান।
সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
একদা ক্রেমলিনের 'ছোট্ট রাজকন্যা' শেষ জীবনে অর্থকষ্টে কাটিয়েছেন । নিউ ইয়র্ক টাইমস জানায়, ছোট্ট সভেতলানাকে প্রচুর উপহার দিতেন স্ট্যালিন। তাঁকে 'খুদে চড়ুই' বলে ডাকতেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে স্ট্যালিনের ভূমিকা মেনে নিতে পারেননি কিশোরী সভেতলানা। তখন থেকেই বাবার সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয়।
১৯৫৩ সালে স্ট্যালিনের মৃত্যুর পর নামের শেষে মায়ের নাম 'অ্যালিলুয়েভা' যোগ করেন। ১৯৭০ সালে মার্কিন স্থপতি উইলিয়াম ওয়েসলে পিটারসকে বিয়ের পর 'লানা পিটারস' নাম ধারণ করেন সভেতলানা। এর আগে আরো তিনবার ঘর বাঁধার চেষ্টা করলেও কোনোটিই বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। প্রথম দুই সংসারে দুই সন্তানের মা হয়েছিলেন সভেতলানা।
১৯৬৭ সালে তৃতীয় স্বামী ভারতীয় নাগরিক ব্রিজেশ সিংয়ের মৃত্যুর পর তাঁর দেহাবশেষ নিয়ে ভারতে যান সভেতলানা। সেখানেই সোভিয়েত গোয়েন্দাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে দিলি্লর মার্কিন দূতাবাসে গিয়ে আশ্রয় চান তিনি। চারটি বইও লিখেছেন সভেতলানা। এর মধ্যে তাঁর দুটি আত্মজীবনীমূলক বই ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পায়। টাইমসের হিসাবে, 'টুয়েন্টি লেটারস টু এ ফ্রেন্ড' বইটি থেকে সভেতলানা আয় করেন ২৫ লাখ ডলার।
সভেতলানার দুই ভাই অনেক আগেই মারা গেছেন। দ্বিতীয় যুদ্ধের সময় জার্মানির নাৎসি বাহিনীর একটি ক্যাম্পে মারা যান জ্যাকব। এক জার্মান জেনারেলকে ছেড়ে দেওয়ার শর্তে জ্যাকবের মুক্তিতে রাজি হননি স্ট্যালিন। আরেক ভাই ভাসিলি মাত্র ৪০ বছর বয়সে মারা যান।
সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments