অবশেষে মিলাদ পড়িয়ে চালু হচ্ছে এনজিটিএস by রাশেদুল তুষার,
মন্ত্রীর শিডিউল পাওয়া যায়নি বলে সব প্রস্তুতি সত্ত্বেও অন্তত পাঁচবার পিছিয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এঙ্চেঞ্জের (সিএসই) নতুন ট্রেডিং সফটওয়্যারের উদ্বোধন। তাই এবার তেমন কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই কেবল মিলাদ পড়িয়ে ২০ অক্টোবর চালু হচ্ছে ৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন সংযোজিত সফটওয়্যার এনজিটিএস (নেঙ্ট জেনারেশন ট্রেডিং সফটওয়্যার)।তবে মন্ত্রীর শিডিউল না পাওয়ার কথা অস্বীকার করে সিএসই সভাপতি ফখর উদ্দিন আলী আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এমনিতেই দেরি হয়ে যাচ্ছে। তার ওপর সাম্প্রতিক বাজার পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে বিনিয়োগকারীদের অনুভূতির প্রতি সম্মান জানিয়ে আমরা অনাড়ম্বরে এনজিটিএস উদ্বোধন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
পরবর্তী কোনো একসময় জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান করার ইচ্ছা আছে।'তব সিএসইর একটি সূত্র জানিয়েছে, আরো প্রায় দেড় মাস আগে প্রস্তুতি সম্পন্ন হলেও মূলত সরকারের শীর্ষপর্যায়ের কারো হাতে এনজিটিএস সফটওয়্যারটি উদ্বোধনের জন্য অপেক্ষা করছিল সিএসই কর্তৃপক্ষ। এ জন্য বিশেষ করে অর্থমন্ত্রী কিংবা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরই ছিলেন তাদের পছন্দের তালিকায়; কিন্তু তাঁদের শিডিউল না পাওয়ায় বারবার পেছানো হয়েছে উদ্বোধনের তারিখ। সেই জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত অন্তত পাঁচবার উদ্বোধনের শিডিউল দিয়ে পেছানো হয়েছে। সর্বশেষ গত ১৩ অক্টোবর নতুন এই ট্রেডিং সফটওয়্যার আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করার কথা ছিল। কিন্তু মন্ত্রীর শিডিউল না পাওয়ায় এবার সাদামাটাভাবেই উদ্বোধন করা হবে বলে জানা গেছে।
তবে নতুন এই সফটওয়্যারটি চালু হলে সিএসই ট্রেডিং সফটওয়্যারের দীর্ঘদিনের সমস্যা দূর হবে বলে সিএসই সূত্রে জানা গেছে। এনজিটিএসের কার্যকারিতা সম্পর্কে সিএসইর এজিএম (মার্কেট রেগুলেশন) মোহাম্মদ মর্তুজা আলম বলেন, 'এনজিটিএস ট্রেডিং সফটওয়্যার সেকেন্ডে ২২৫০টি অর্ডার নিতে পারবে, যেখানে বর্তমান ভেক্টর সিস্টেমে নেয় মাত্র ৫০টি। একই সাথে এনজিটিএস সেকেন্ডে ৭৫০টি কন্ট্রাক্ট নিতে পারবে, যা বর্তমান সিস্টেম মাত্র চারটি নিতে পারে। এখানে রয়েছে মাল্টি চ্যানেল অর্ডার সাবমিশন সিস্টেম এবং রিয়েল টাইম রিস্ক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, যা ব্রোকারের ক্লায়েন্টদের ট্রেডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সেবা দেবে। ফলে বর্তমান ভেক্টর সফটওয়্যারে বিদ্যমান সমস্যাগুলো এনজিটিএস চালু হলে আর থাকবে না।'
জানা যায়, ১৯৯৮ সালে ভেক্টর সফটওয়্যার চালুর সময় সিএসইতে সর্বোচ্চ এক কোটি টাকার লেনদেন হতো; কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে লেনদেন শতকোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ায় এই সফটওয়্যারের পক্ষে তা সামাল দেওয়া সম্ভব হয়ে উঠছে না। ফলে লেনদেনের সময় প্রায়ই সফটওয়্যার হ্যাং হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। ব্রোকারেজ হাউসগুলোর পক্ষ থেকে এ জন্য প্রায় অভিযোগ করা হতো সিএসইতে।
সিএসইর পক্ষ থেকে এই জন্য শ্রীলঙ্কান মিলেনিয়াম আইটি সফটওয়্যার কম্পানি থেকে প্রায় ৩২ লাখ ডলারে (সাড়ে ২৩ কোটি টাকা) ট্রেডিং সফটওয়্যারটি কেনা হয়েছে। লন্ডন স্টক মার্কেটের ট্রেডিং সফটওয়্যারটিও এই মিলেনিয়াম কম্পানির করা। এ ছাড়া হার্ডওয়্যার স্থাপনসহ অন্যান্য সহযোগিতা দিচ্ছে পোলারাইজ সফটওয়্যার ল্যাব লিমিটেড। হার্ডওয়্যার স্থাপনে ব্যয় হচ্ছে প্রায় আট কোটি টাকা। এ ছাড়া অন্যান্য খাতে আরো তিন-চার কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে। তবে এই টাকার পুরোটাই আসবে সিএসইর নিজস্ব তহবিল থেকে।
তবে নতুন এই সফটওয়্যারটি চালু হলে সিএসই ট্রেডিং সফটওয়্যারের দীর্ঘদিনের সমস্যা দূর হবে বলে সিএসই সূত্রে জানা গেছে। এনজিটিএসের কার্যকারিতা সম্পর্কে সিএসইর এজিএম (মার্কেট রেগুলেশন) মোহাম্মদ মর্তুজা আলম বলেন, 'এনজিটিএস ট্রেডিং সফটওয়্যার সেকেন্ডে ২২৫০টি অর্ডার নিতে পারবে, যেখানে বর্তমান ভেক্টর সিস্টেমে নেয় মাত্র ৫০টি। একই সাথে এনজিটিএস সেকেন্ডে ৭৫০টি কন্ট্রাক্ট নিতে পারবে, যা বর্তমান সিস্টেম মাত্র চারটি নিতে পারে। এখানে রয়েছে মাল্টি চ্যানেল অর্ডার সাবমিশন সিস্টেম এবং রিয়েল টাইম রিস্ক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, যা ব্রোকারের ক্লায়েন্টদের ট্রেডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সেবা দেবে। ফলে বর্তমান ভেক্টর সফটওয়্যারে বিদ্যমান সমস্যাগুলো এনজিটিএস চালু হলে আর থাকবে না।'
জানা যায়, ১৯৯৮ সালে ভেক্টর সফটওয়্যার চালুর সময় সিএসইতে সর্বোচ্চ এক কোটি টাকার লেনদেন হতো; কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে লেনদেন শতকোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ায় এই সফটওয়্যারের পক্ষে তা সামাল দেওয়া সম্ভব হয়ে উঠছে না। ফলে লেনদেনের সময় প্রায়ই সফটওয়্যার হ্যাং হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। ব্রোকারেজ হাউসগুলোর পক্ষ থেকে এ জন্য প্রায় অভিযোগ করা হতো সিএসইতে।
সিএসইর পক্ষ থেকে এই জন্য শ্রীলঙ্কান মিলেনিয়াম আইটি সফটওয়্যার কম্পানি থেকে প্রায় ৩২ লাখ ডলারে (সাড়ে ২৩ কোটি টাকা) ট্রেডিং সফটওয়্যারটি কেনা হয়েছে। লন্ডন স্টক মার্কেটের ট্রেডিং সফটওয়্যারটিও এই মিলেনিয়াম কম্পানির করা। এ ছাড়া হার্ডওয়্যার স্থাপনসহ অন্যান্য সহযোগিতা দিচ্ছে পোলারাইজ সফটওয়্যার ল্যাব লিমিটেড। হার্ডওয়্যার স্থাপনে ব্যয় হচ্ছে প্রায় আট কোটি টাকা। এ ছাড়া অন্যান্য খাতে আরো তিন-চার কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে। তবে এই টাকার পুরোটাই আসবে সিএসইর নিজস্ব তহবিল থেকে।
No comments