চট্টগ্রামের উইকেটটা বিশ্বাসঘাতকতা করবে না!
সকালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল অনুশীলনে আসে ঠা ঠা রোদ্দুর সঙ্গী করে। প্রচণ্ড গরমে মাঠে তিষ্টানো তখন দায়। অথচ মধ্যাহ্নে বাংলাদেশের সহচর হয়ে আসে সজল মেঘের দল। গা গরমের পর ফুটবল নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে করতেই ঝুম বৃষ্টিতে ভেসে যায় জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম। আধ ঘণ্টা পর বৃষ্টি থেমেছে বটে, তবে আকাশের মেঘলা রূপ বদলায়নি রাত পর্যন্ত। কিউরেটর জাহিদ রেজা বাবুর কপালের ভাঁজ তাই ক্রমে বাড়ছিলই।কারণটা সংগত। মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ড্রেনেজ সিস্টেম তো আর এখানে নেই। কিউরেটর তাই অসহায়ের মতো কেবল বলছেন, 'ভাই, আমি এখন আকাশের দিকে তাকিয়ে আছি।
আরেক দফা বৃষ্টি হলে সময়মতো খেলা শুরু করা খুব মুশকিল হয়ে যাবে।' তা খেলা শুরু হলেও কি মুশকিলের আসান আছে? মাঠের ২২ গজি চৌকো আয়তক্ষেত্রের দিকে এখন যে সবার শ্যেনদৃষ্টি। বিশেষত সিরিজের প্রথম দুটো ওয়ানডেতে উইকেট 'বিশ্বাসঘাতকতা' করার পর আরো বেশি করে।
বাংলাদেশের উইকেট মানেই স্পিনারদের সঙ্গে বন্ধুতা। নতুন বল পুরনো হওয়ার জন্যও অপেক্ষা করেন না অধিনায়ক। মায়াবী জাদুকরদের নিয়ে আসা হয় ইনিংসের প্রায় শুরু থেকেই। সে আস্থার প্রতিদান বরাবরই দিয়ে এসেছেন স্পিনাররা। পারছেন না কেবল এই সিরিজে এসে। বল যে একেবারেই ঘুরছে না। 'একজন স্পিনারের সবচেয়ে বড় শক্তি তো টার্ন। সেটি না থাকলে ভালো করা খুব কঠিন হয়ে যায়'_প্রথম ওয়ানডের পর উইকেটকে এভাবে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে খানিকটা বেশি সুবিধা স্পিনাররা পেয়েছেন বটে। তবে সেটিও উল্লেখযোগ্য কিছু না। তবে এই ম্যাচে নিজেদের ব্যাটিং ব্যর্থতা এতটাই পোড়াচ্ছিল বাংলাদেশ অধিনায়ককে, উইকেটকে দোষারোপ করতে আর রাজি হননি।
তবে তৃতীয় ওয়ানডের আগে উইকেটের চাহিদা বুঝিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ম্যানেজমেন্ট। আর কিউরেটর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহের। খেলা হবে পাঁচ নম্বর উইকেটে, যেখানে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের সঙ্গে ম্যাচটি হয়েছিল। 'আশা করি, উইকেটের আচরণও ওই ম্যাচের মতো হবে। স্পিনাররা ভালোই সাহায্য পাবে'_বলেছেন কিউরেটর জাহিদ রেজা বাবু। একই প্রত্যাশা অফস্পিনার নাঈম ইসলামের, 'আমরা যেমন উইকেট চাই, সাধারণত চট্টগ্রামের উইকেট তেমনই থাকে। আমরা তো স্পিননির্ভর দল। মিরপুরের উইকেট আমাদের স্পিনারদের সেভাবে সহায়তা করেনি। আশা করি চট্টগ্রামে করবে।' দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা নাসির হোসেনও শুনিয়ে গেলেন অভিন্ন আশাবাদ, 'আমি এখনো উইকেট দেখিনি। তবে ঢাকার চেয়ে স্পিনসহায়ক উইকেটই হবে বলে মনে হয়।'
ভদ্রতার পরাকাষ্ঠা হয়ে ড্যারেন সামি বলেননি যে, এমন উইকেট পেয়ে তাঁরা অবাক হয়েছেন। তবে ঢাকার পর চট্টগ্রামের উইকেটেও যদি বল না ঘোরে, তাহলে সত্যি সত্যি সেটি হবে অবাক করার মতো ব্যাপার। ঘরের মাঠের পুরো ওয়ানডে সিরিজটি যে তাহলে বাংলাদেশ খেলবে বিদেশ-ভূমের উইকেটে!
বাংলাদেশের উইকেট মানেই স্পিনারদের সঙ্গে বন্ধুতা। নতুন বল পুরনো হওয়ার জন্যও অপেক্ষা করেন না অধিনায়ক। মায়াবী জাদুকরদের নিয়ে আসা হয় ইনিংসের প্রায় শুরু থেকেই। সে আস্থার প্রতিদান বরাবরই দিয়ে এসেছেন স্পিনাররা। পারছেন না কেবল এই সিরিজে এসে। বল যে একেবারেই ঘুরছে না। 'একজন স্পিনারের সবচেয়ে বড় শক্তি তো টার্ন। সেটি না থাকলে ভালো করা খুব কঠিন হয়ে যায়'_প্রথম ওয়ানডের পর উইকেটকে এভাবে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে খানিকটা বেশি সুবিধা স্পিনাররা পেয়েছেন বটে। তবে সেটিও উল্লেখযোগ্য কিছু না। তবে এই ম্যাচে নিজেদের ব্যাটিং ব্যর্থতা এতটাই পোড়াচ্ছিল বাংলাদেশ অধিনায়ককে, উইকেটকে দোষারোপ করতে আর রাজি হননি।
তবে তৃতীয় ওয়ানডের আগে উইকেটের চাহিদা বুঝিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ম্যানেজমেন্ট। আর কিউরেটর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহের। খেলা হবে পাঁচ নম্বর উইকেটে, যেখানে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের সঙ্গে ম্যাচটি হয়েছিল। 'আশা করি, উইকেটের আচরণও ওই ম্যাচের মতো হবে। স্পিনাররা ভালোই সাহায্য পাবে'_বলেছেন কিউরেটর জাহিদ রেজা বাবু। একই প্রত্যাশা অফস্পিনার নাঈম ইসলামের, 'আমরা যেমন উইকেট চাই, সাধারণত চট্টগ্রামের উইকেট তেমনই থাকে। আমরা তো স্পিননির্ভর দল। মিরপুরের উইকেট আমাদের স্পিনারদের সেভাবে সহায়তা করেনি। আশা করি চট্টগ্রামে করবে।' দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা নাসির হোসেনও শুনিয়ে গেলেন অভিন্ন আশাবাদ, 'আমি এখনো উইকেট দেখিনি। তবে ঢাকার চেয়ে স্পিনসহায়ক উইকেটই হবে বলে মনে হয়।'
ভদ্রতার পরাকাষ্ঠা হয়ে ড্যারেন সামি বলেননি যে, এমন উইকেট পেয়ে তাঁরা অবাক হয়েছেন। তবে ঢাকার পর চট্টগ্রামের উইকেটেও যদি বল না ঘোরে, তাহলে সত্যি সত্যি সেটি হবে অবাক করার মতো ব্যাপার। ঘরের মাঠের পুরো ওয়ানডে সিরিজটি যে তাহলে বাংলাদেশ খেলবে বিদেশ-ভূমের উইকেটে!
No comments