অনশন চলবে
আমরণ অনশনরত পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের গতকাল সোমবার পুলিশ বারবার স্থানচ্যুত করলেও তাঁরা অনশন কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। সকালে ডিএসই ভবনের সামনে থেকে এবং বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে তাঁদের তুলে দেওয়া হয়। তবে অনশনকারীরা এরপর কোথায় বসবেন, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তা জানা যায়নি।পুঁজিবাজার স্থিতিশীল করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপসহ ১৪ দফা দাবিতে গত রবিবার থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করে বিনিয়োগকারীদের প্রধান সংগঠন বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ।
মতিঝিলের ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জ (ডিএসই) ভবনের সামনে অনশন থেকে গতকাল পুলিশ বিনিয়োগকারীদের তুলে দেয়। বিনিয়োগকারীদের সভাপতি মিজান রশিদ চৌধুরীসহ ১২ জনকে আটক করে পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। ডিএসই ভবনের সামনে থেকে বিতাড়িত হয়ে বিনিয়োগকারীরা জাতীয় প্রেসক্লাবে গিয়ে অনশন শুরু করেন। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মিজান রশিদ চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'প্রেসক্লাবে আমাদের বসতে দিচ্ছে না পুলিশ। এর পরও আমরা অনশন চালিয়ে যাব। আমরা বসার জায়গা খুঁজছি।'
সকালের চিত্র
ভোরে ডিএসই ভবনের সামনের রাস্তাতেই কাতার বেঁধে ফজরের নামাজ পড়েন বিনিয়োগকারীরা। এরপর তাঁরা অপেক্ষায় ছিলেন, বেলা বাড়তে শুরু করলে লোকসমাগমও বাড়তে থাকবে। কিন্তু সকাল হতে না হতেই দেখা যায়, পুরো মতিঝিল এলাকা পুলিশ ও র্যাব ঘিরে ফেলেছে। সকাল ৮টার পর অনশনস্থলের চারপাশেও অবস্থান নেয় পুলিশ। একপর্যায়ে বিনিয়োগকারীদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। তাঁদের বাধ্য করে মতিঝিল এলাকা ছাড়তে। আটক করে নিয়ে যায় ১১ জন বিনিয়োগকারীকে। পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজান রশিদ চৌধুরীকে আটক করে পুলিশ। দুপুর আড়াইটার দিকে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'পুলিশ আমাকে আটক করে নিয়ে গিয়েছিল। প্রথমে মতিঝিল থানায় নিলেও পরে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। দুপুর ২টার দিকে ছেড়ে দিয়েছে।' তিনি বলেন, 'আমরা আন্দোলন করতে নেমেছি। বাজার স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত অন্দোলন চলবে।'
ডিএসই ভবনের সামনে থেকে বিতাড়িত হয়ে দুপুরের দিকে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ জাতীয় প্রেসক্লাবে অবস্থান নেয়। দুপুর আড়াইটায় সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদত ফিরোজ বলেন, 'পুলিশ আমাদের ডিএসই ভবনের সামনে থেকে সরিয়ে দিয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আমরণ অনশন চলবে।' তিনি আরো বলেন, 'প্রেসক্লাব থেকে তুলে দিলে শহীদ মিনারে যাব, শহীদ মিনার থেকে তুলে দিলে আদালতে যাব। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবেই।' সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক ও সহসভাপতি নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
প্রেসক্লাবে অনশনরত বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করতে আসেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর জেনালে (অব.) মাহবুবুর রহমান, বিরোধী দলের চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক ও সাংবাদিক-কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ।
আবুল মকসুদ বলেন, বল প্রয়োগ করে এই সমস্যার সমাধান হবে না। বাস্তবসম্মত পদক্ষেপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে। তিন কোটি লোক শেয়ারবাজারের সঙ্গে জড়িত উল্লেখ করে তিনি বলেন, এত বড় জনগোষ্ঠীর ডাকে সাড়া না দিয়ে সরকার নিষ্ঠুরতম আচরণ করছে।
সন্ধ্যার পর নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে পুলিশ বিনিয়োগকারীদের জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে বের করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সংগঠনের সভাপতি মিজান রশিদ চৌধুরী। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'পুলিশ আমাদের অনশনে নানাভাবে বাধা দিচ্ছে। প্রেসক্লাব থেকেও আমাদের বের করে দিয়েছে। এর পরও প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা না আসা পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাব। আমরা অনশন করেই যাব।'
রবিবার রাতের চিত্র
কখনো গান গেয়ে, কখনো নেচে, আবার কখনো পুঁজি হারানোর কথা বলতে গিয়ে কান্নাকাটি করে রবিবার রাত পার করেন বিনিয়োগকারীরা। মতিঝিলের ডিএসই ভবনের সামনের রাস্তা এক পাশ বন্ধ করে দিয়ে চলে বিনিয়োগকারীদের অনশন। বাজার স্বাভাবিক করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান তাঁরা। সন্ধ্যার পর সেখানে লোকসমাগম বাড়তে থাকে। অনেকেই আসেন সান্ত্বনা দিতে, কেউ আসেন সাহস জোগাতে। রাত পৌনে ১২টার দিকে সাবি্বর হোসেন নামের এক বিনিয়োগকারী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'যেভাবে দরপতন হয়েছে, তাতে আমরা আর কী করতে পারি। অনেক কথা বলা হলেও, অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও বাজার তো ঠিক হচ্ছে না। বরং কয়েক মাস আগে মৌল ভিত্তি দেখে শেয়ার কেনার পরমার্শ দেওয়া হয়েছে। এখন ভালো-মন্দ সব কম্পানির শেয়ারের অবস্থাই তো খারাপ।'
সকালের চিত্র
ভোরে ডিএসই ভবনের সামনের রাস্তাতেই কাতার বেঁধে ফজরের নামাজ পড়েন বিনিয়োগকারীরা। এরপর তাঁরা অপেক্ষায় ছিলেন, বেলা বাড়তে শুরু করলে লোকসমাগমও বাড়তে থাকবে। কিন্তু সকাল হতে না হতেই দেখা যায়, পুরো মতিঝিল এলাকা পুলিশ ও র্যাব ঘিরে ফেলেছে। সকাল ৮টার পর অনশনস্থলের চারপাশেও অবস্থান নেয় পুলিশ। একপর্যায়ে বিনিয়োগকারীদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। তাঁদের বাধ্য করে মতিঝিল এলাকা ছাড়তে। আটক করে নিয়ে যায় ১১ জন বিনিয়োগকারীকে। পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজান রশিদ চৌধুরীকে আটক করে পুলিশ। দুপুর আড়াইটার দিকে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'পুলিশ আমাকে আটক করে নিয়ে গিয়েছিল। প্রথমে মতিঝিল থানায় নিলেও পরে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। দুপুর ২টার দিকে ছেড়ে দিয়েছে।' তিনি বলেন, 'আমরা আন্দোলন করতে নেমেছি। বাজার স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত অন্দোলন চলবে।'
ডিএসই ভবনের সামনে থেকে বিতাড়িত হয়ে দুপুরের দিকে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ জাতীয় প্রেসক্লাবে অবস্থান নেয়। দুপুর আড়াইটায় সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদত ফিরোজ বলেন, 'পুলিশ আমাদের ডিএসই ভবনের সামনে থেকে সরিয়ে দিয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আমরণ অনশন চলবে।' তিনি আরো বলেন, 'প্রেসক্লাব থেকে তুলে দিলে শহীদ মিনারে যাব, শহীদ মিনার থেকে তুলে দিলে আদালতে যাব। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবেই।' সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক ও সহসভাপতি নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
প্রেসক্লাবে অনশনরত বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করতে আসেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর জেনালে (অব.) মাহবুবুর রহমান, বিরোধী দলের চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক ও সাংবাদিক-কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ।
আবুল মকসুদ বলেন, বল প্রয়োগ করে এই সমস্যার সমাধান হবে না। বাস্তবসম্মত পদক্ষেপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে। তিন কোটি লোক শেয়ারবাজারের সঙ্গে জড়িত উল্লেখ করে তিনি বলেন, এত বড় জনগোষ্ঠীর ডাকে সাড়া না দিয়ে সরকার নিষ্ঠুরতম আচরণ করছে।
সন্ধ্যার পর নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে পুলিশ বিনিয়োগকারীদের জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে বের করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সংগঠনের সভাপতি মিজান রশিদ চৌধুরী। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'পুলিশ আমাদের অনশনে নানাভাবে বাধা দিচ্ছে। প্রেসক্লাব থেকেও আমাদের বের করে দিয়েছে। এর পরও প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা না আসা পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাব। আমরা অনশন করেই যাব।'
রবিবার রাতের চিত্র
কখনো গান গেয়ে, কখনো নেচে, আবার কখনো পুঁজি হারানোর কথা বলতে গিয়ে কান্নাকাটি করে রবিবার রাত পার করেন বিনিয়োগকারীরা। মতিঝিলের ডিএসই ভবনের সামনের রাস্তা এক পাশ বন্ধ করে দিয়ে চলে বিনিয়োগকারীদের অনশন। বাজার স্বাভাবিক করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান তাঁরা। সন্ধ্যার পর সেখানে লোকসমাগম বাড়তে থাকে। অনেকেই আসেন সান্ত্বনা দিতে, কেউ আসেন সাহস জোগাতে। রাত পৌনে ১২টার দিকে সাবি্বর হোসেন নামের এক বিনিয়োগকারী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'যেভাবে দরপতন হয়েছে, তাতে আমরা আর কী করতে পারি। অনেক কথা বলা হলেও, অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও বাজার তো ঠিক হচ্ছে না। বরং কয়েক মাস আগে মৌল ভিত্তি দেখে শেয়ার কেনার পরমার্শ দেওয়া হয়েছে। এখন ভালো-মন্দ সব কম্পানির শেয়ারের অবস্থাই তো খারাপ।'
No comments