প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, তবুও পাকিস্তানই একটু এগিয়ে
গত ১১টি টেস্টের একটিতেও জেতেনি শ্রীলঙ্কা। অন্যদিকে পাকিস্তান কিছুদিন আগেই জিম্বাবুয়েকে হোয়াইট ওয়াশ করে ফিরেছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজে সিরিজ ড্র করেছে, তার আগে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছে এবং গত বছর এই আবুধাবিতেই সমানে সমানে লড়েছে তারা দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে। আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন টেস্টের সিরিজ শুরুর আগে হারের চিন্তাটা তাই মাথা থেকে একরকম ঝেড়েই ফেলতে পারে মিসবাহ-উল হকের দল। মুত্তিয়া মুরলিধরনের অবসরের পরের ম্যাচ থেকেই যে সাফল-খরা চলছে সেখান থেকে বেরিয়ে আসাই এখন তিলকরত্নে দিলশানের দলের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
মিসবাহ-উল হক অবশ্য 'কন্ডিশন' বিবেচনায় জয়-পরাজয়ের যাবতীয় রেকর্ড মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলছেন, 'এই কন্ডিশনে তো বটেই, শ্রীলঙ্কা যে এর বাইরেও বিশ্বসেরা দলগুলোর একটি সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। উপমহাদেশে তারা যে সত্যিকার অর্থেই একটা শক্তিশালী দল এই ভাবনাটা আমাদের মাথায় আছে। সে কারণে ভালো কিছু পাওয়ার জন্য আমাদের অবশ্যই ভালো চেষ্টাও করতে হবে।' আবুধাবি রওনা হওয়ার আগে লঙ্কানরা অবশ্য দেশের মাটিতেই সিরিজ হেরেছে অস্ট্রেলিয়ার কাছে, তার আগে হেরেছে ইংল্যান্ডে। আগের বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানোর সুযোগ ছিল হোম সিরিজে, কিন্তু বৃষ্টির বাগড়ায় সেটিও সম্ভব হয়নি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের আগে অবশ্য কোচ বদলের একটা ঝক্কি গেছে দলের ওপর দিয়ে। জিওফ মার্শ স্রেফ দর্শক হয়েই দলটাকে বোঝার সুযোগ পেয়েছেন। তারপরের তিন সপ্তাহে আমূল কিছু বদলে দিয়েছেন এমন আশা করা অযৌক্তিক। আজ প্রথম টেস্টে মাঠে নামার আগে যদিও সেই চ্যালেঞ্জই তাঁর সামনে, নিদেনপক্ষে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা করতেই পারে লঙ্কানরা। কাগজে-কলমে স্কোয়াডের শক্তি বিচারেও অবশ্য ভারী মনে হবে পাকিস্তানকেই। বোলিং আক্রমণে তো বটেই। জিম্বাবুয়ে সফরের সময় বিশ্রামে থাকা উমর গুল এবং ওয়াহাব রিয়াজ ফিরছেন সতেজ হয়ে। তৃতীয় পেসারের কোটায় সুযোগ পাওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকার কথা আইজাজ চিমার, জিম্বাবুয়েতে অভিষেক সফরেই যিনি ৮ উইকেট নিয়েছেন। স্পিনে সাঈদ আজমল থাকছেন নিশ্চিত, বাঁহাতি আবদুর রেহমানও তৈরি আর মোহাম্মদ হাফিজের ব্যাটে-বলে সাম্প্রতিক ফর্ম পাকিস্তানের জন্য যেন বাড়তি পাওয়া। ক্রিকইনফো
No comments