উইন্ডিজের ভাবনা র‌্যাংকিং

৯৭৫ ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ১৯৭৯ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বিশ্বকাপের সময় গ্যালারির দেয়ালে লাগানো আইসিসির বোর্ডগুলোয় বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে ছিলেন ডেসমন্ড হেইন্স। দলের ব্যাটিং উপদেষ্টাকে এভাবে দেখে কাছে এলেন ড্যারেন স্যামি। গতকাল চট্টলার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ক্যারিবীয় ক্রিকেটের দুই প্রজন্মের কথোপকথন দূর থেকে দাঁড়িয়ে শোনা সম্ভব ছিল না; কিন্তু আন্দাজ করা গিয়েছিল, টানা দু'বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের কথাই বলছিলেন তারা। হেইন্স ছিলেন ক্যারিবীয় ক্রিকেটের সেই প্রজন্ম, যারা একদা বিশ্বশাসন করেছে। হেইন্স নিজেও ১৯৭৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন। অথচ সেই ক্যারিবীয় ক্রিকেট এখন আইসিসির ওয়ানডে তালিকায় ৮ নম্বর দল।


বাংলাদেশ থেকে এক ধাপ ওপরে। দু'দলের ব্যবধান মাত্র ২০ রেটিং পয়েন্ট। এই সিরিজে সে ব্যবধানটাই আর কমাতে চায় ক্যারিবীয়রা। দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত করার পর তাই ক্যারিবীয়দের মুখে 'হোয়াইটওয়াশ' শব্দটি উচ্চারিত হয়নি। যেটা হয়েছে সেটা রেটিং পয়েন্ট বাড়ানো কমানো নিয়ে। 'আমরা এ সিরিজটা প্রতিশোধ হিসেবে নিচ্ছি না। আমরা ম্যাচে আমাদের পেশাদারিত্ব প্রদর্শন করব মাত্র। এখনও পর্যন্ত আমরা টি২০ ম্যাচ হেরেছি। ওয়ানডেতে পেশাদারিত্ব দেখিয়েই আবার ফিরে এসেছি। আমরা এই সিরিজ থেকে ৪ পয়েন্ট নিতে চাই। আমরা যদি সিরিজটা ২-১ জিতে নেই তাহলে কোনো রেটিং পয়েন্টই পাব না। সেখানে ৩-০ জিতলে পাক্কা চারটি পয়েন্ট মিলে যাবে।' ২০০৯ সালে নিজেদের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর গতকাল অন্য কেউ হলে হয়তো দাঁত চিবিয়ে বলে দিত, হ্যাঁ, হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্যেই নামছি আমরা। কিন্তু ব্যক্তির নাম যেহেতু ড্যারেন স্যামি। যার মুখে সবসময় হাসি লেগেই থাকে, তার পক্ষে প্রতিশোধ শব্দটি উচ্চারণ করাটা কঠিনই ছিল।
তবে মুখে উচ্চারিত না হলেও যে প্রতিশোধ নেওয়া যায় না, ব্যাপারটি তো আর তেমন না। 'আমরা একটা জয়ের ধারায় রয়েছি। এ অবস্থায় ড্রেসিংরুমের পরিবেশ ভালো রাখতে হলে শেষ ম্যাচটিতেও জয়ের বিকল্প নেই। জয় সবসময় প্রত্যেককে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। এ সিরিজে এখনও পর্যন্ত আমাদের বোলাররা ভালো করেছেন, ব্যাটসম্যানরাও রান পাচ্ছেন। তবে আমাদের ফিল্ডিং সে মানের হচ্ছে না। আগের ম্যাচে ৫৮ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশকে ১২০ রানে অলআউট করার সুযোগ ছিল; কিন্তু আমরা তা পারিনি। তাছাড়া সামনেই টেস্ট ম্যাচ, এর আগে এই সিরিজটা ৩-০ জিতলে নিশ্চিত পরের সিরিজে মানসিকভাবে এগিয়ে থাকা যাবে।' ক্যারিবীয় শিবিরে যে এরই মধ্যে টেস্ট আবহাওয়া ঢুকে পড়েছে, তা এদিনের অনুশীলনে দেবেন্দ্র বিশুর হাতে লাল বল দেখেই টের পাওয়া যায়। শুধু বিশু নয়, টেস্ট খেলতে আসা নতুন ছয় সদস্যের দু'জনও কাল অনুশীলনে লাল বলের প্রস্তুতি সেরেছেন। তবে ভ্রমণক্লান্তিতে এদিন আর হোটেল রুম থেকে বের হননি টেস্ট দলের অন্যতম সদস্য শিবনারায়ণ চন্দরপল।

No comments

Powered by Blogger.