ইসরায়েলের কারাগার থেকে কাল ৪৭৭ ফিলিস্তিনি বন্দী মুক্তি পাচ্ছে
বন্দীবিনিময় চুক্তির আওতায় ইসরায়েলের কারাগার থেকে ফিলিস্তিনের ৪৭৭ জন নাগরিককে আগামীকাল মঙ্গলবার মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। গতকাল রোববার তাদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। চুক্তি অনুসারে ইসরায়েলি সেনা গিলাদ শালিত মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরলে দুই মাসের মধ্যে আরও ৫৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে।
মুক্তি দেওয়ার ৪৮ ঘণ্টা আগে ওই ৪৭৭ বন্দীর বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হলো। তবে কীভাবে বন্দীবিনিময় চুক্তি বাস্তবায়ন করা হবে, তার বিস্তারিত এখনো প্রকাশ করা হয়নি। ইসরায়েলের প্রেসিডেন্টের দপ্তর বলেছে, প্রেসিডেন্ট শিমন পেরেজ বন্দীদের ক্ষমা করার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।
১৯ বছর বয়সী গিলাদ শালিত ফিলিস্তিনি হামাস যোদ্ধাদের হাতে ২০০৬ সালে বন্দী হন। এর পর থেকে পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি গাজায় বন্দী আছেন। বছরের পর বছর ধরে প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে দেন-দরবারের পর গত মঙ্গলবার তাঁকে মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। বিনিময়ে মোট এক হাজার ২৭ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিতে সম্মত হয় ইসরায়েলি কর্তৃৃপক্ষ।
পরিকল্পনা অনুসারে এ বন্দীবিনিময় চুক্তি বাস্তবায়িত হলে সেটা হবে এক যুগান্তকারী ঘটনা। ২৬ বছরের মধ্যে কোনো ইসরায়েলি সেনা ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হাতে বন্দী হওয়ার পর দেশে জীবিত দেশে ফেরেননি।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ যে ৪৭৭ জন ফিলিস্তিনি বন্দীর নাম প্রকাশ করেছে, তাদের মধ্যে ৪৫০ জন পুরুষ এবং ২৭ জন নারী। তাঁদের মধ্যে ২০০১ ও ২০০২ সালে ইসরায়েলে পৃথক দুটি বোমা হামলায় জড়িত ব্যক্তিরাও আছেন। তবে শীর্ষস্থানীয় তিন বন্দীকে মুক্তি দিতে অস্বীকার করেছে ইসরায়েল। তাঁরা হলেন বেশ কয়েকটি হামলায় জড়িত থাকার অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া জঙ্গিনেতা মারওয়ান বারগুতি, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া হামাসের বোমা প্রস্তুতকারক আবদুল্লাহ বাগুতি ও ইসরায়েলের পর্যটনমন্ত্রী রেহাভাম জেইভি হত্যাকাণ্ডের দায়ে দণ্ড পাওয়া আহমেদ সাদাত।
তালিকা প্রকাশের পরপরই ইসরায়েলের প্রধান রেডিও এবং টেলিভিশন চ্যানেল ওই ভয়ংকর দুটি বোমা হামলার ঘটনা নিয়ে প্রতিবেদন প্রচার করতে থাকে। ২০০১ সালে তেল আবিবের নৈশ ক্লাবে বোমা হামলায় ২১ ব্যক্তি মারা যায়। আর ২০০২ সালে উপকূলীয় শহর নেতানিয়ায় বোমা হামলায় মারা যায় ২৯ জন। উভয় হামলার দায়িত্ব স্বীকার করে হামাসের সশস্ত্র শাখা।
এদিকে, মুক্তি পেতে যাওয়া কোনো ফিলিস্তিনি বন্দীর ব্যাপারে আপত্তি থাকলে ৪৮ ঘণ্টা আগে ইসরায়েলের উচ্চ আদালতে আবেদন করার সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়া এ বন্দীবিনিময় চুক্তি বন্ধ না-ও করতে পারেন আদালত।
অবশ্য ইসরায়েলে বেশ কিছু গ্রুপ আছে যারা এ ধরনের চুক্তির বিরোধিতা করেছে। এ ধরনের একটি গ্রুপ হচ্ছে আলামগর টেরর ভিকটিমস অ্যাসোসিয়েশন। গ্রুপটি বলেছে, এ চুক্তির ফলে যারা হামলার শিকার হয়েছে, তাদের অসম্মান করা হয়েছে। এ চুক্তির ফলে অপহরণ এবং সহিংসতার ঘটনা আরও বাড়বে।
মুক্তি দেওয়ার ৪৮ ঘণ্টা আগে ওই ৪৭৭ বন্দীর বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হলো। তবে কীভাবে বন্দীবিনিময় চুক্তি বাস্তবায়ন করা হবে, তার বিস্তারিত এখনো প্রকাশ করা হয়নি। ইসরায়েলের প্রেসিডেন্টের দপ্তর বলেছে, প্রেসিডেন্ট শিমন পেরেজ বন্দীদের ক্ষমা করার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।
১৯ বছর বয়সী গিলাদ শালিত ফিলিস্তিনি হামাস যোদ্ধাদের হাতে ২০০৬ সালে বন্দী হন। এর পর থেকে পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি গাজায় বন্দী আছেন। বছরের পর বছর ধরে প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে দেন-দরবারের পর গত মঙ্গলবার তাঁকে মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। বিনিময়ে মোট এক হাজার ২৭ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিতে সম্মত হয় ইসরায়েলি কর্তৃৃপক্ষ।
পরিকল্পনা অনুসারে এ বন্দীবিনিময় চুক্তি বাস্তবায়িত হলে সেটা হবে এক যুগান্তকারী ঘটনা। ২৬ বছরের মধ্যে কোনো ইসরায়েলি সেনা ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হাতে বন্দী হওয়ার পর দেশে জীবিত দেশে ফেরেননি।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ যে ৪৭৭ জন ফিলিস্তিনি বন্দীর নাম প্রকাশ করেছে, তাদের মধ্যে ৪৫০ জন পুরুষ এবং ২৭ জন নারী। তাঁদের মধ্যে ২০০১ ও ২০০২ সালে ইসরায়েলে পৃথক দুটি বোমা হামলায় জড়িত ব্যক্তিরাও আছেন। তবে শীর্ষস্থানীয় তিন বন্দীকে মুক্তি দিতে অস্বীকার করেছে ইসরায়েল। তাঁরা হলেন বেশ কয়েকটি হামলায় জড়িত থাকার অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া জঙ্গিনেতা মারওয়ান বারগুতি, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া হামাসের বোমা প্রস্তুতকারক আবদুল্লাহ বাগুতি ও ইসরায়েলের পর্যটনমন্ত্রী রেহাভাম জেইভি হত্যাকাণ্ডের দায়ে দণ্ড পাওয়া আহমেদ সাদাত।
তালিকা প্রকাশের পরপরই ইসরায়েলের প্রধান রেডিও এবং টেলিভিশন চ্যানেল ওই ভয়ংকর দুটি বোমা হামলার ঘটনা নিয়ে প্রতিবেদন প্রচার করতে থাকে। ২০০১ সালে তেল আবিবের নৈশ ক্লাবে বোমা হামলায় ২১ ব্যক্তি মারা যায়। আর ২০০২ সালে উপকূলীয় শহর নেতানিয়ায় বোমা হামলায় মারা যায় ২৯ জন। উভয় হামলার দায়িত্ব স্বীকার করে হামাসের সশস্ত্র শাখা।
এদিকে, মুক্তি পেতে যাওয়া কোনো ফিলিস্তিনি বন্দীর ব্যাপারে আপত্তি থাকলে ৪৮ ঘণ্টা আগে ইসরায়েলের উচ্চ আদালতে আবেদন করার সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়া এ বন্দীবিনিময় চুক্তি বন্ধ না-ও করতে পারেন আদালত।
অবশ্য ইসরায়েলে বেশ কিছু গ্রুপ আছে যারা এ ধরনের চুক্তির বিরোধিতা করেছে। এ ধরনের একটি গ্রুপ হচ্ছে আলামগর টেরর ভিকটিমস অ্যাসোসিয়েশন। গ্রুপটি বলেছে, এ চুক্তির ফলে যারা হামলার শিকার হয়েছে, তাদের অসম্মান করা হয়েছে। এ চুক্তির ফলে অপহরণ এবং সহিংসতার ঘটনা আরও বাড়বে।
No comments