ইপিবি’র সঙ্গে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত : রফতানি কমে যাওয়ায় উদ্বেগ উদ্যোক্তাদের
রফতানি খাতে সামনে বড় বিপদ আসছে বলে সরকারকে জানিয়ে দিয়েছেন রফতানিকারক ও উদ্যোক্তারা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতেও আহ্বান জানানো হয়েছে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে।গতকাল রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরি বৈঠকে এ উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন সংশ্লিষ্টরা। হঠাত্ করেই রফতানি আয় অস্বাভাবিক কমে যাওয়ায় করণীয় ঠিক করতে গতকাল বৈঠক ডাকে ইপিবি।
বৈঠকে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) ও বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনসহ (বিকেএমইএ) রফতানি খাতের প্রায় সবক’টি সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।বৈঠক শেষে বিকেএমইএ’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সংগঠনের দ্বিতীয় সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম আমার দেশকে জানান, তার নিজের প্রতিষ্ঠান এমবি ফ্যাশনের রফতানি আয় গত তিন মাসে প্রায় ৫০ শতাংশ কমে গেছে। একই অবস্থা অন্যদেরও। এ কারণে রফতানি আয়ের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, অর্থবছরের শুরুতে প্রবৃদ্ধি যেখানে ৪০ শতাংশের কাছাকাছি ছিল, বর্তমানে (সেপ্টেম্বরে) এই খাতে প্রবৃদ্ধি নেমে ১ শতাংশে চলে এসেছে। তিনি বলেন, অক্টোবরের রফতানি পরিসংখ্যান বেরুলেই দেখা যাবে ঋণাত্মক হয়ে গেছে প্রবৃদ্ধি।
বৈঠকে রফতানিকারকরা জানিয়েছেন, ইউরোপজুড়ে মন্দার ধাক্কায় মূলত রফতানি কমছে। তার সঙ্গে স্থানীয়ভাবে গ্যাস ও বিদ্যুতের সমস্যাকে দায়ী করা হয় রফতানি আয় কমে যাওয়ার পেছনে। ইপিবি’র ডিজি রাখাল চন্দ্র বর্মণের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মনোজ কুমার রায় উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বলা হয়, অর্থবছরের দুই মাস যেতে না যেতেই রফতানি আয়ে দেখা দিয়েছে বড় ধরনের বিপর্যয়। অর্থবছরের প্রথম মাসের (জুলাই) তুলনায় সেপ্টেম্বরে আয় কমে গেছে ৩৮ শতাংশ। অন্যদিকে আগস্টের তুলনায় আয় কমেছে ৩৯ শতাংশ। প্রধান খাতগুলোর বেশিরভাগই সেপ্টেম্বরে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রফতানি আয় অর্জনে ব্যর্থ। সেপ্টেম্বরে টার্গেটের তুলনায় আয় ২৩ ভাগ কম হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আগামী মাসগুলোতে রফতানি খাতে আরও খারাপ অবস্থা দেখা দিতে পারে। অর্ডার কমে যাওয়া এবং আগের অর্ডার বাতিল হয়ে যাওয়ায় উদ্বেগ গোটা রফতানি খাতে।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো জানিয়েছে, চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বরে রফতানি আয় অনেক কমে গেছে। এ মাসে মোট রফতানি আয় হয়েছে ১৪৪৭ দশমিক ৪৭ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১০ হাজার ৮৫৬ কোটি টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ২৩ শতাংশ কম। চলতি ২০১১-১২ অর্থবছরের প্রথম মাসে (জুলাই) রফতানি আয় হয়েছিল ২৩৩৯ দশমিক ৫২ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১৭ হাজার ৫৪৬ কোটি টাকা। জুলাইয়ের তুলনায় সেপ্টেম্বরে আয় কমেছে প্রায় ৬ হাজার ৬৯০ কোটি টাকা বা ৩৮ দশমিক ১৩ শতাংশ। গত আগস্টেও রফতানি আয় ভালো ছিল বলে জানিয়েছে ইপিবি। আগস্টে মোট আয় ছিল ২৩৭৬ দশমিক ৭৪ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১৭ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা।
ইপিবি জানিয়েছে, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার পর চলতি অর্থবছরের শুরুতে রফতানি আয় কিছুটা বাড়ছিল।
এ ব্যাপারে রফতানিকারকদের সংগঠন এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইএবি) সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী আমার দেশকে বলেন, ইতিমধ্যেই ইউরোপে মন্দা শুরু হয়ে গেছে এবং তা দ্রুত আমাদের দেশের দিকে এগিয়ে আসছে। তার মতে, সবচেয়ে আশঙ্কার বিষয়, বাংলাদেশের পণ্য যে অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে রফতানি হয় সে অঞ্চলেই এ মন্দা শুরু হয়েছে। এ মন্দার ফলে বাংলাদেশের পোশাক ব্যবসায় ধস নামবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে ইএবি সভাপতি বলেন, আমাদের ব্যবসায়ীরা নিম্নমানের পণ্য রফতানি করে, এ ধারণা সঠিক নয়। বিশ্ববিখ্যাত ব্র্যান্ড গ্যাপ, কাফু, এইচএনএম, নেক্সট ও ডিজেলসহ নামকরা প্রতিষ্ঠানের শো-রুমে বাংলাদেশের পোশাক বিক্রয় করা হয়। মন্দার কারণে খুব কম সময়েই এসব দেশে বাংলাদেশের পণ্যের চাহিদা কমে যাবে।
বৈঠকে রফতানিকারকরা জানিয়েছেন, ইউরোপজুড়ে মন্দার ধাক্কায় মূলত রফতানি কমছে। তার সঙ্গে স্থানীয়ভাবে গ্যাস ও বিদ্যুতের সমস্যাকে দায়ী করা হয় রফতানি আয় কমে যাওয়ার পেছনে। ইপিবি’র ডিজি রাখাল চন্দ্র বর্মণের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মনোজ কুমার রায় উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বলা হয়, অর্থবছরের দুই মাস যেতে না যেতেই রফতানি আয়ে দেখা দিয়েছে বড় ধরনের বিপর্যয়। অর্থবছরের প্রথম মাসের (জুলাই) তুলনায় সেপ্টেম্বরে আয় কমে গেছে ৩৮ শতাংশ। অন্যদিকে আগস্টের তুলনায় আয় কমেছে ৩৯ শতাংশ। প্রধান খাতগুলোর বেশিরভাগই সেপ্টেম্বরে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রফতানি আয় অর্জনে ব্যর্থ। সেপ্টেম্বরে টার্গেটের তুলনায় আয় ২৩ ভাগ কম হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আগামী মাসগুলোতে রফতানি খাতে আরও খারাপ অবস্থা দেখা দিতে পারে। অর্ডার কমে যাওয়া এবং আগের অর্ডার বাতিল হয়ে যাওয়ায় উদ্বেগ গোটা রফতানি খাতে।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো জানিয়েছে, চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বরে রফতানি আয় অনেক কমে গেছে। এ মাসে মোট রফতানি আয় হয়েছে ১৪৪৭ দশমিক ৪৭ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১০ হাজার ৮৫৬ কোটি টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ২৩ শতাংশ কম। চলতি ২০১১-১২ অর্থবছরের প্রথম মাসে (জুলাই) রফতানি আয় হয়েছিল ২৩৩৯ দশমিক ৫২ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১৭ হাজার ৫৪৬ কোটি টাকা। জুলাইয়ের তুলনায় সেপ্টেম্বরে আয় কমেছে প্রায় ৬ হাজার ৬৯০ কোটি টাকা বা ৩৮ দশমিক ১৩ শতাংশ। গত আগস্টেও রফতানি আয় ভালো ছিল বলে জানিয়েছে ইপিবি। আগস্টে মোট আয় ছিল ২৩৭৬ দশমিক ৭৪ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১৭ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা।
ইপিবি জানিয়েছে, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার পর চলতি অর্থবছরের শুরুতে রফতানি আয় কিছুটা বাড়ছিল।
এ ব্যাপারে রফতানিকারকদের সংগঠন এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইএবি) সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী আমার দেশকে বলেন, ইতিমধ্যেই ইউরোপে মন্দা শুরু হয়ে গেছে এবং তা দ্রুত আমাদের দেশের দিকে এগিয়ে আসছে। তার মতে, সবচেয়ে আশঙ্কার বিষয়, বাংলাদেশের পণ্য যে অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে রফতানি হয় সে অঞ্চলেই এ মন্দা শুরু হয়েছে। এ মন্দার ফলে বাংলাদেশের পোশাক ব্যবসায় ধস নামবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে ইএবি সভাপতি বলেন, আমাদের ব্যবসায়ীরা নিম্নমানের পণ্য রফতানি করে, এ ধারণা সঠিক নয়। বিশ্ববিখ্যাত ব্র্যান্ড গ্যাপ, কাফু, এইচএনএম, নেক্সট ও ডিজেলসহ নামকরা প্রতিষ্ঠানের শো-রুমে বাংলাদেশের পোশাক বিক্রয় করা হয়। মন্দার কারণে খুব কম সময়েই এসব দেশে বাংলাদেশের পণ্যের চাহিদা কমে যাবে।
No comments