রাতারাতি জেলে বনছে প্রভাবশালীরা জাল না থাকায় প্রকৃতরা বঞ্চিত
উন্মুক্ত জলাশয় ইজারা নিতে জাল কিনে রাতারাতি জেলে বনে গেছেন বিভিন্ন এলাকার প্রভাবশালীরা। জাল না থাকায় প্রকৃত জেলেরা তাঁদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। নীতিমালায় সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়ে প্রকৃত জেলেদের কাছে উন্মুক্ত জলমহাল বরাদ্দ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সচেতন মহল।গতকাল সিরডাপ মিলনায়তনে 'সাধারণ সম্পদে দরিদ্র মানুষের প্রবেশাধিকার : রাষ্ট্র, প্রতিষ্ঠান এবং করণীয়' শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। গ্রামীণ জীবনযাত্রার স্থায়ীত্বশীল উন্নয়নের জন্য প্রচারাভিযান (সিএসআরএল) ও নাগরিক সংহতির উদ্যোগে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, 'জাল যার জলা তার' এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ২০০৯ সালে জলমহল বরাদ্দের নীতিমালা তৈরি করা হয়েছিল। তখন জাল থাকলেই জেলে (মৎস্যজীবী) হিসেবে বিবেচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এই সুযোগে টাকাওয়ালা ভিন্ন পেশাজীবীরাও জাল কিনে রাতারাতি জেলে বনে যান। অথচ জাল কেনার সামর্থ্য না থাকায় প্রকৃত জেলেরা তাঁদের ন্যায্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, দেশে গরিব মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের জন্য শক্তিশালী কোনো সংগঠন গড়ে উঠেনি। এই সুযোগ নিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালীরা গরিবের সম্পদ ভোগ করছেন। এর সঙ্গে জড়িত রয়েছেন স্থানীয় সরকারের কিছু কর্মকর্তা। তাঁরা বেশি মূল্যের সম্পদ কম দামে বিক্রি করে দিচ্ছেন এ সব দুর্নীতিবাজদের হাতে। এসব সমস্যা সমাধানে গরিব জেলেদের ক্ষমতায়ন ও ইজারার টাকা ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের নিকট প্রস্তাব করেন তিনি। একই সঙ্গে জলমহাল ও জেলের সংজ্ঞা স্পষ্ট করা, মাছ বিচরণের জন্য অভয়ারণ্য গড়ে তোলা, রাষ্ট্র ও জনগণের মধ্যে সমন্বয় ও সামাজিক কল্যাণে উদ্বুদ্ধ উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন কালে অঙ্ফাম বাংলাদেশ প্রোগ্রামের নীতিনির্ধারণী কর্মকর্তা ড. এ কে এম নজরুল ইসলাম বলেন, প্রকৃত জনসংগঠনের অনুপস্থিতি, রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব, দুর্নীতিবাজ আমলাতন্ত্রের কারণে সাধারণ কৃষক ও জেলে সম্প্রদায় তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তিনি বলেন, দেশের ২৬ হাজারের বেশি সরকারি জলাভূমি রয়েছে। এসব জলাভূমির পরিমাণ প্রায় ১২ লাখ একর। গরিব জেলেদের বরাদ্দ দেওয়ার কথা থাকলেও নীতিমালার অপব্যাখ্যা করে সমাজের বিত্তবানরা এসব খাস জমি দখল করে নিয়েছেন।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, সাধারণত সম্পদে গরিব মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার পথে আমলাতন্ত্র একটি বড় বাধা। এখানে রাষ্ট্র ও জনগণের যৌথ অংশীদারিত্ব ছাড়া প্রান্তিক মানুষের অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
উপসচিব জাফর সিদ্দিক বলেন, জলাভূমি ইজারা দিয়ে সরকার যে আয় করে, তা অত্যন্ত নগণ্য। সমবায়ের ভিত্তিতে এসব জলমহাল গরিব ও প্রকৃত জেলেদের সম্পৃক্ত করলে এর থেকে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
নাগরিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরিফের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হক। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. জাফর সিদ্দিক, সিএনআরএসের নির্বাহী পরিচালক এম মোখলেছুর রহমান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। এ ছাড়া মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন তাসমীন রানা, মুনীরুল ইসলাম, আমিনুর রসুল, জাভেদ ইকবাল, মান্নান ভাসানি প্রমুখ।
অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, দেশে গরিব মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের জন্য শক্তিশালী কোনো সংগঠন গড়ে উঠেনি। এই সুযোগ নিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালীরা গরিবের সম্পদ ভোগ করছেন। এর সঙ্গে জড়িত রয়েছেন স্থানীয় সরকারের কিছু কর্মকর্তা। তাঁরা বেশি মূল্যের সম্পদ কম দামে বিক্রি করে দিচ্ছেন এ সব দুর্নীতিবাজদের হাতে। এসব সমস্যা সমাধানে গরিব জেলেদের ক্ষমতায়ন ও ইজারার টাকা ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের নিকট প্রস্তাব করেন তিনি। একই সঙ্গে জলমহাল ও জেলের সংজ্ঞা স্পষ্ট করা, মাছ বিচরণের জন্য অভয়ারণ্য গড়ে তোলা, রাষ্ট্র ও জনগণের মধ্যে সমন্বয় ও সামাজিক কল্যাণে উদ্বুদ্ধ উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন কালে অঙ্ফাম বাংলাদেশ প্রোগ্রামের নীতিনির্ধারণী কর্মকর্তা ড. এ কে এম নজরুল ইসলাম বলেন, প্রকৃত জনসংগঠনের অনুপস্থিতি, রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব, দুর্নীতিবাজ আমলাতন্ত্রের কারণে সাধারণ কৃষক ও জেলে সম্প্রদায় তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তিনি বলেন, দেশের ২৬ হাজারের বেশি সরকারি জলাভূমি রয়েছে। এসব জলাভূমির পরিমাণ প্রায় ১২ লাখ একর। গরিব জেলেদের বরাদ্দ দেওয়ার কথা থাকলেও নীতিমালার অপব্যাখ্যা করে সমাজের বিত্তবানরা এসব খাস জমি দখল করে নিয়েছেন।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, সাধারণত সম্পদে গরিব মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার পথে আমলাতন্ত্র একটি বড় বাধা। এখানে রাষ্ট্র ও জনগণের যৌথ অংশীদারিত্ব ছাড়া প্রান্তিক মানুষের অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
উপসচিব জাফর সিদ্দিক বলেন, জলাভূমি ইজারা দিয়ে সরকার যে আয় করে, তা অত্যন্ত নগণ্য। সমবায়ের ভিত্তিতে এসব জলমহাল গরিব ও প্রকৃত জেলেদের সম্পৃক্ত করলে এর থেকে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
নাগরিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরিফের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হক। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. জাফর সিদ্দিক, সিএনআরএসের নির্বাহী পরিচালক এম মোখলেছুর রহমান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। এ ছাড়া মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন তাসমীন রানা, মুনীরুল ইসলাম, আমিনুর রসুল, জাভেদ ইকবাল, মান্নান ভাসানি প্রমুখ।
No comments