সেপ্টেম্বরে ১১.৯৭ শতাংশ-গ্রাম ও শহরে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে সমান তালে

মাসওয়ারি মূল্যস্ফীতির হার অন্তত গত এক দশকের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যানুযায়ী, বিদায়ী সেপ্টেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১১.৯৭ শতাংশ। ওই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে বেড়ে ১৩.৭৫ শতাংশ হয়েছে। আগস্টে এ হার ছিল ১২.৭০ শতাংশ। তবে গ্রাম ও শহরে মূল্যস্ফীতি প্রায় একই ধারায় বেড়েছে।বিবিএসর তথ্যানুযায়ী, সেপ্টেম্বরে দেশে গড় মূল্যস্ফীতি (পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে) আগের মাসের চেয়ে .৬৮ শতাংশ বেড়েছে। আগস্টে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১১.২৯ শতাংশ। আর জুলাইতে এর হার ছিল ১০.৯৬ শতাংশ।


এর আগে ২০০৮ সালে জানুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ ১১.৪৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছিল।পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবমতে, একই সঙ্গে গ্রাম ও শহরের মধ্যে মূল্যস্ফীতি সমান তালে বাড়ছে। সেপ্টেম্বরে গ্রামে মূল্যস্ফীতি ১১.৮৫ শতাংশ। আর শহরে এই হার ১১.২৯ শতাংশ। আগস্টে গ্রামে মূল্যস্ফীতির হার ১১.৩৪ শতাংশ। আর শহরে ১১.৩৪ শতাংশ।
পর্যালোচনায় দেখা যায়, বিগত এক দশকের মধ্যে ২০০৭ সালের ডিসেম্বর মাসেই মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ ১১.৫৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছিল। খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বাড়ায় গড় মূল্যস্ফীতিও ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। সেপ্টেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি আগের মাসের চেয়ে ১.০৫ শতাংশ বেড়েছে। এ সময়ে শহর এলাকায় এর হার ১.৭৩ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৪.৬৭ শতাংশ। আগস্টে এ হার ছিল ১২.৯৪ শতাংশ। আর গ্রামাঞ্চলে এ হার .৭৫ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৩.৩৫ শতাংশ। আগের মাসে এ হার ছিল ১২.৫৯ শতাংশ। বিআইডিএস মহাপরিচালক মোস্তফা কে মুজেরি বলেন, 'আমাদের অর্থনীতিতে সাম্প্রতিক সময়ে এমন কোনো পরিবর্তন ঘটেনি, যাতে মূল্যস্ফীতি কমতে পারে।' তা ছাড়া এখনো আমন ধান কাটা না হওয়ায় এবং বাজারে নতুন কোনো ফসল ও খাদ্যশস্যের সরবরাহ না থাকার কারণে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বাড়ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

No comments

Powered by Blogger.