নমুনা পরীক্ষার উদ্যোগ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের-সয়াবিন নামে বিক্রি হচ্ছে পাম তেল
বেশি মুনাফার জন্য কম দামের পাম তেলকে সয়াবিন নামে বিভিন্ন ব্র্যান্ড হিসেবে বাজারে ছাড়া হচ্ছে_এমন সন্দেহ থেকে বোতলজাত ভোজ্য তেলের নমুনা পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে বাজার থেকে সব ব্র্যান্ডের বোতলজাত ভোজ্য তেলের নমুনা সংগ্রহ করে বিএসটিআইয়ের গবেষণাগারে পাঠাতে বলা হয়েছে। গত বুধবার এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান।
বাণিজ্য কর্মকর্তাদের মতে, দেশে যে পরিমাণ সয়াবিন তেল আমদানি হয়, পাম তেলের আমদানি তার প্রায় তিনগুণ। অথচ বাজারে সয়াবিন তেলের ছড়াছড়ি। আর পাম তেল তেমন চোখেই পড়ে না।
বাণিজ্য কর্মকর্তাদের মতে, দেশে যে পরিমাণ সয়াবিন তেল আমদানি হয়, পাম তেলের আমদানি তার প্রায় তিনগুণ। অথচ বাজারে সয়াবিন তেলের ছড়াছড়ি। আর পাম তেল তেমন চোখেই পড়ে না।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মনে করে_ভোজ্য তেল পরিশোধনাগারগুলো (রিফাইনারি মিল) পাম তেলকে সয়াবিন নামে বিপণন করছে। পাম তেলের দাম সয়াবিনের চেয়ে কম হওয়ায় ব্যবসায়ীরা এমনটি করতে পারেন বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ধারণা।
এ ধারণা সন্দেহ থেকেই সম্প্রতি বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)কে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চিঠি দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সেখানে খোলা ভোজ্য তেলের পাশাপাশি সব ব্র্যান্ডের বোতলজাত সয়াবিন তেল পরীক্ষা করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সম্প্রতি বিএসটিআই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছে। তাতে সংস্থাটি বলেছে, খাতুনগঞ্জসহ মোট তিনটি পাইকারি বাজারে খোলা পাম ও সয়াবিন তেলের মিশ্রণ পেয়েছে তারা। তবে বোতলজাত সয়াবিন তেলে কোন ভেজাল নেই। কিন্তু বাণিজ্য মন্ত্রণালয় হিসাব কষে দেখছে, দেশে যে পরিমাণ বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে, সয়াবিন তেলের প্রকৃত আমদানি তার চেয়ে অনেক কম। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল হোসেন মিয়া গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে মৌখিকভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে এখনো লিখিত কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। তা ছাড়া নমুনা পরীক্ষা বেশ ব্যয়বহুল। সে বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে।
ক্যাব'র সভাপতি কাজী ফারুক বলেন, বিএসটিআইয়ের মান পরীক্ষা সঠিক নয়। ইতিপূর্বে ক্যাবের উদ্যোগে সরকারি ওই প্রতিষ্ঠানে নমুনা পাঠানো হলেও প্রতিবেদনে তেল কম্পানিগুলোকে রক্ষা করা হয়। তিনি আরো বলেন, এক প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষা করলে হবে না। এ জন্য সায়েন্স ল্যাবরেটরি, ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথের মতো একাধিক প্রতিষ্ঠানে নমুনা পাঠিয়ে মান পরীক্ষা করাতে হবে।
এ ধারণা সন্দেহ থেকেই সম্প্রতি বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)কে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চিঠি দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সেখানে খোলা ভোজ্য তেলের পাশাপাশি সব ব্র্যান্ডের বোতলজাত সয়াবিন তেল পরীক্ষা করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সম্প্রতি বিএসটিআই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছে। তাতে সংস্থাটি বলেছে, খাতুনগঞ্জসহ মোট তিনটি পাইকারি বাজারে খোলা পাম ও সয়াবিন তেলের মিশ্রণ পেয়েছে তারা। তবে বোতলজাত সয়াবিন তেলে কোন ভেজাল নেই। কিন্তু বাণিজ্য মন্ত্রণালয় হিসাব কষে দেখছে, দেশে যে পরিমাণ বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে, সয়াবিন তেলের প্রকৃত আমদানি তার চেয়ে অনেক কম। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল হোসেন মিয়া গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে মৌখিকভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে এখনো লিখিত কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। তা ছাড়া নমুনা পরীক্ষা বেশ ব্যয়বহুল। সে বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে।
ক্যাব'র সভাপতি কাজী ফারুক বলেন, বিএসটিআইয়ের মান পরীক্ষা সঠিক নয়। ইতিপূর্বে ক্যাবের উদ্যোগে সরকারি ওই প্রতিষ্ঠানে নমুনা পাঠানো হলেও প্রতিবেদনে তেল কম্পানিগুলোকে রক্ষা করা হয়। তিনি আরো বলেন, এক প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষা করলে হবে না। এ জন্য সায়েন্স ল্যাবরেটরি, ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথের মতো একাধিক প্রতিষ্ঠানে নমুনা পাঠিয়ে মান পরীক্ষা করাতে হবে।
No comments