বৃষ্টিশঙ্কায় শেষ ওয়ানডে
গত দুই সপ্তাহ চট্টগ্রামের আকাশে কোনো মেঘ ছিল না। তাই বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ চট্টগ্রামে আয়োজন নিয়ে কোনো টেনশন ছিল না বিসিবির কর্মকর্তাদের মধ্যে। কিন্তু গতকাল দুপুর আড়াইটায় হঠাত্ করেই বৃষ্টি এসে বিসিবির কর্মকর্তাদের ঘুম হারাম করে দিয়েছে।মঘলা আকাশ দেখেই গ্রাউন্ডসম্যানরা তড়িঘড়ি করে ত্রিপল দিয়ে পিচ ঢাকার ব্যবস্থা করলেন। আউট ফিল্ডের বড় একটা অংশও ঢেকে ফেলা হলো ত্রিপল দিয়ে। কিন্তু তার পরও বৃষ্টির হাত থেকে পুরোপুরি রক্ষা করা গেল না সাগরিকার উইকেটকে। কারণ জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা নেই। আউট ফিল্ডে পানি জমাট বেঁধে ছিল।
এক ঘণ্টার ভারী বর্ষণের পরও আকাশে মেঘ ছিল স্পষ্ট। যে কোনো সময় আবারও বৃষ্টি হতে পারে। হঠাত্ করে এমন বৃষ্টি হওয়ায় সিরিজের শেষ ও তৃতীয় ওয়ানডে আয়োজন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। শুধু ওয়ানডে নয়, টেস্ট আয়োজন নিয়েও ভাবতে হচ্ছে আয়োজকদের। কারণ আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, ‘আগামী কয়েকদিন চট্টগ্রামে ভারী বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা অনেক।’
এদিকে বৃষ্টি হলেই জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের নির্ধারিত ম্যাচ পরিত্যক্ত করতে হয় আয়োজকদের। এর আগেও দুটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ বাতিল করা হয়েছিল। ২০০৭ সালে ভারতের বিপক্ষে ও গত বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত করা হয়। এ স্টেডিয়ামে পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় মাঠ শুকানোর জন্য রোদের ওপরই ভরসা করতে হয় কিউরেটরকে। যদি আবহাওয়ার পূর্বাভাস সত্যি হয়ে থাকে তাহলে সিরিজের শেষ ম্যাচটি যে বাতিল করা হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচের আগ পর্যন্ত যদি আর বৃষ্টি না হয় তবেই ম্যাচ আয়োজন সম্ভব হবে। শুধু বৃষ্টিই নয়, পরিচর্যার অভাবে মাঠ এখনও পুরোপুরি খেলার উপযোগী হয়ে ওঠেনি। মাঠের আউট ফিল্ডের ঘাস মরে গেছে। সেখানে নতুন করে ঘাস লাগানো হয়নি। এমনকি দুই সপ্তাহ আগে যে বৃষ্টি হয়েছিল, সে বৃষ্টির পানি শুকিয়েছে এক সপ্তাহ হলো। পানি জমে থাকায় উইকেট স্যাঁতসেঁতে হয়ে গেছে। এমন উইকেটে খেলাটাও কষ্টসাধ্য। মাঠের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে এভাবেই বর্ণনা দিলেন বিসিবির কিউরেটর জাহিদ রেজা বাবু। তিনি আরও বললেন, এ স্টেডিয়ামে অনেকদিন ধরেই কোনো খেলা নেই। তার পরও উইকেট পরিচর্যা করতে পারিনি। উইকেট পরিচর্যার জন্য তো সময় লাগবে। খুব বেশি সময় আমাদের দেয়া হয়নি। মাত্র এক সপ্তাহ আগ থেকে কাজ শুরু করেছি। এক সপ্তাহের মধ্যে যতটুকু করার ঠিক ততটুকুই হয়েছে। ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়াম ও বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা থাকার পরও বছরের পর বছর ধরে দ্বিতীয় ভেন্যু হিসেবে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামকে বাছাই করে নিচ্ছে বিসিবি। ফতুল্লা কিংবা বগুড়ায় ম্যাচ হলে স্টেডিয়ামের আউট ফিল্ড শুকানো নিয়ে এত চিন্তা করতে হতো না কাউকে। দ্বিতীয় ভেন্যু হিসেবে চট্টগ্রামকে বাছাই করার কারণ সম্পর্কে বিসিবির গ্রাউন্ডস এবং ফ্যাসিলিটি বিভাগের চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান মুন্না বলেন, এখানে সুযোগ-সুবিধা একটু বেশি। তাই আন্তর্জাতিক সিরিজগুলো এখানে দেয়া হয়। বগুড়া স্টেডিয়ামে খেলতে হলে বাসে যেতে হবে। ভালো হোটেলও নেই। আর আমরা আমাদের দায়িত্ব অনুযায়ী আন্তর্জাতিক সব ভেন্যু প্রস্তুত রাখি।
খেলা দেয়ার দায়িত্ব তো আমাদের নয়। বিসিবি থেকে যে সিদ্ধান্ত দেয় আমরা সেভাবে খেলা আয়োজন করে দেই। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়েছিল চলতি বছরই ১৪ মার্চ। বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে স্বাগতিক বাংলাদেশ লড়েছিল ওই ম্যাচে। জয়ও তুলে নিয়েছিল টাইগাররা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যে উইকেটে খেলেছিল বাংলাদেশ সেই উইকেটই প্রস্তুত করা হয়েছে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচ খেলার জন্য।
এদিকে বৃষ্টি হলেই জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের নির্ধারিত ম্যাচ পরিত্যক্ত করতে হয় আয়োজকদের। এর আগেও দুটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ বাতিল করা হয়েছিল। ২০০৭ সালে ভারতের বিপক্ষে ও গত বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত করা হয়। এ স্টেডিয়ামে পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় মাঠ শুকানোর জন্য রোদের ওপরই ভরসা করতে হয় কিউরেটরকে। যদি আবহাওয়ার পূর্বাভাস সত্যি হয়ে থাকে তাহলে সিরিজের শেষ ম্যাচটি যে বাতিল করা হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচের আগ পর্যন্ত যদি আর বৃষ্টি না হয় তবেই ম্যাচ আয়োজন সম্ভব হবে। শুধু বৃষ্টিই নয়, পরিচর্যার অভাবে মাঠ এখনও পুরোপুরি খেলার উপযোগী হয়ে ওঠেনি। মাঠের আউট ফিল্ডের ঘাস মরে গেছে। সেখানে নতুন করে ঘাস লাগানো হয়নি। এমনকি দুই সপ্তাহ আগে যে বৃষ্টি হয়েছিল, সে বৃষ্টির পানি শুকিয়েছে এক সপ্তাহ হলো। পানি জমে থাকায় উইকেট স্যাঁতসেঁতে হয়ে গেছে। এমন উইকেটে খেলাটাও কষ্টসাধ্য। মাঠের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে এভাবেই বর্ণনা দিলেন বিসিবির কিউরেটর জাহিদ রেজা বাবু। তিনি আরও বললেন, এ স্টেডিয়ামে অনেকদিন ধরেই কোনো খেলা নেই। তার পরও উইকেট পরিচর্যা করতে পারিনি। উইকেট পরিচর্যার জন্য তো সময় লাগবে। খুব বেশি সময় আমাদের দেয়া হয়নি। মাত্র এক সপ্তাহ আগ থেকে কাজ শুরু করেছি। এক সপ্তাহের মধ্যে যতটুকু করার ঠিক ততটুকুই হয়েছে। ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়াম ও বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা থাকার পরও বছরের পর বছর ধরে দ্বিতীয় ভেন্যু হিসেবে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামকে বাছাই করে নিচ্ছে বিসিবি। ফতুল্লা কিংবা বগুড়ায় ম্যাচ হলে স্টেডিয়ামের আউট ফিল্ড শুকানো নিয়ে এত চিন্তা করতে হতো না কাউকে। দ্বিতীয় ভেন্যু হিসেবে চট্টগ্রামকে বাছাই করার কারণ সম্পর্কে বিসিবির গ্রাউন্ডস এবং ফ্যাসিলিটি বিভাগের চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান মুন্না বলেন, এখানে সুযোগ-সুবিধা একটু বেশি। তাই আন্তর্জাতিক সিরিজগুলো এখানে দেয়া হয়। বগুড়া স্টেডিয়ামে খেলতে হলে বাসে যেতে হবে। ভালো হোটেলও নেই। আর আমরা আমাদের দায়িত্ব অনুযায়ী আন্তর্জাতিক সব ভেন্যু প্রস্তুত রাখি।
খেলা দেয়ার দায়িত্ব তো আমাদের নয়। বিসিবি থেকে যে সিদ্ধান্ত দেয় আমরা সেভাবে খেলা আয়োজন করে দেই। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়েছিল চলতি বছরই ১৪ মার্চ। বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে স্বাগতিক বাংলাদেশ লড়েছিল ওই ম্যাচে। জয়ও তুলে নিয়েছিল টাইগাররা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যে উইকেটে খেলেছিল বাংলাদেশ সেই উইকেটই প্রস্তুত করা হয়েছে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচ খেলার জন্য।
No comments