প্রোফাইল : রোরি ম্যাকলরয় by সুমন হক
বাবা জেরিও গলফার ছিলেন। তাই গলফ ক্লাবের সঙ্গে তাঁর পরিচয়টা হয়েছে খুবই কম বয়সে। দেড় বছর বয়সে অন্য শিশুরা যখন পুতুল কিংবা বল নিয়ে খেলে তখনই বাবার গলফ ক্লাবটা ছিল তাঁর প্রিয় খেলনা। পরিবারের সবাই তাই যেকোনো অনুষ্ঠানে উপহার হিসেবে নিয়ে আসতেন গলফ খেলারই সামগ্রী। বাবার কাছে শেখা গলফ ক্লাব ধরার সঠিক কৌশল অনুশীলন করতে করতে প্রায়ই ঘুমিয়ে পড়তেন সেটা হাতে নিয়েই! এই ছেলে বড় হয়ে গলফার হবে, তাতে আর আশ্চর্য কী!
রোরি ম্যাকলরয় যে গলফার হিসেবে বিশ্বজোড়া নাম কামাবেন, এটাই তো স্বাভাবিক! তবে প্রায় এক শতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সে ইউএস ওপেন জয়ের রেকর্ড গড়ার পরও ২১ বছর বয়সী এ তরুণের সেই পরিচয়টা প্রায়ই হারিয়ে যায় ইদানীং। কারণ তাঁর প্রেমিকার তুলনামূলক বেশি খ্যাতি! মেয়েদের টেনিসের ওয়ার্ল্ড নাম্বার ওয়ান ক্যারোলিন ওজনিয়াকির সঙ্গে রোমান্স চলছে রোরির। কোনো লুকোছাপা নয়, রীতিমতো ঘোষণা দিয়েই জোড়বেঁধে গলফ-টেনিসের জগৎ মাতিয়ে বেড়াচ্ছেন তাঁরা।
গলফে নিজে যা অর্জন করতে পারেননি, ছেলের মধ্যে সেটা অর্জনের সম্ভাবনা জেরি দেখতে পেয়েছিলেন রোরির দুই বছর বয়সেই। ওই বয়সেই যে ৪০ ফুট দূরে বল পাঠাতে পারত রোরি! ছোট্ট রোরির প্রথম 'কোচ' ছিলেন তাঁর বাবা-ই, তবে ছেলের প্রশিক্ষণে যেন কোনো ঘাটতি না থাকে সেটা পুরোপুরি নিশ্চিত করেছিলেন জেরি। এটা করতে গিয়ে তাঁর নিজের যেমন একাধিক চাকরি করতে হয়েছে, তেমনি দিনের পর দিন কর্মস্থলে একাধিক শিফটে ওভারটাইম করেছেন রোরির মা রোজি। তাঁদের এ আত্মত্যাগ বিফলে যায়নি, সেই ছোটবেলা থেকেই মা-বাবার স্বপ্নপূরণ করে চলেছেন রোরি, কিংবা বলা ভালো বাড়িয়ে চলেছেন তাঁদের স্বপ্নের পরিধি।
উত্তর আয়ারল্যান্ডের কাউন্টি ডাউনের ছোট্ট শহর হলিউডে জন্ম নেওয়া রোরি মাত্র সাত বছর বয়সেই নির্বাচিত হয়েছেন হলিউড গলফ ক্লাবের ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য। বয়স যখন ৯, তখনই একবার 'বিশ্বসেরা'র খেতাব জিতেছেন, মিয়ামির ডোরাল গলফ রিসোর্ট এবং স্পা সেন্টারে অনুষ্ঠিত জুনিয়র বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে ৯-১০ বছর গ্রুপের শিরোপা জিতে। সেটা তো ছিল বয়সের সীমারেখায় বাঁধা, কিন্তু বয়স যখন ১৭, তখন সারা বিশ্বের সব অপেশাদার গলফারের মধ্যেই র্যাংকিংয়ে বিশ্বসেরা হয়ে যান তিনি। ২০০৭ সালের ওই অর্জনের পর পরই শৌখিনতার পাট চুকিয়ে পেশাদার গলফের জগতে ঢুকে পড়েন রোরি, আর তার তিন বছরের মাথায় ২০১১ সালে জিতেছেন নিজের প্রথম 'মেজর', ইউএস ওপেনের শিরোপা। তাও আবার রীতিমতো রেকর্ড গড়ে! ইতিহাসের সেরা স্কোর ১৬ আন্ডার পার নিয়ে এ শিরোপাটা যখন জেতেন, তখন তাঁর বয়স ২১ বছর ১৫ দিন। সেই ১৯২৩ সালে শিরোপাজয়ী ববি জোন্সের পর তিনিই ইউএস ওপেনের সবচেয়ে কম বয়সী চ্যাম্পিয়ন। শুধু তা-ই নয়, ওই টুর্নামেন্টে তাঁর স্কোর ছিল ২৬৮_যা দিয়ে টাইগার উডস, জ্যাক নিকলসদের মতো তারকাদের নাম ইতিহাসের একটা অধ্যায় থেকে মুছে দিয়েছেন তিনি। সবচেয়ে কম ১২ আন্ডার পার নিয়ে ইউএস ওপেন শিরোপা জয়ের রেকর্ডে গলফের এ দুই কিংবদন্তির পাশাপাশি নাম ছিল লি জ্যানজেন ও লি ফিউরিকের। তাঁদের চেয়ে চার শট কম খেলে ৭২ হোলের এ টুর্নামেন্ট জিতেছেন রোরি।
এমন একটা কীর্তির পর রোরির নাম যে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে, তাতে আর অবাক হওয়ার কী আছে? কিন্তু এক মাস ঘুরতে না ঘুরতেই অন্য কারণে আলোচনার শিরোনামে এসেছেন 'ব্রিটিশ' পরিচয়ে গর্ব বোধ করা এ আইরিশ। টেনিসের ইউএস ওপেন শুরুর আগেই টুইটারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন তিনি ডেনিশ সুন্দরী ওজনিয়াকির সঙ্গে রোমান্সে জড়ানোর!
নানা কারণেই ওজনিয়াকি রোরির চেয়ে এগিয়ে। গলফের চেয়ে টেনিসের জনপ্রিয়তা বিশ্বে অনেক বেশি। ওজনিয়াকি আবার সেখানে বিশ্বর্যাংকিংয়ের এক নম্বর তারকা। তুলনায় রোরি নিজে এখনো একটু পিছিয়ে, র্যাংকিংয়ে আছেন চার নম্বরে। কিন্তু একটা জায়গায় তিনি এগিয়ে। ওজনিয়াকি যে এখনো কোনো গ্র্যান্ড স্লাম জিততে পারেননি, চাইলে এখানটায় রোরি হতে পারেন তাঁর বান্ধবীর উপদেষ্টাও!
গলফে নিজে যা অর্জন করতে পারেননি, ছেলের মধ্যে সেটা অর্জনের সম্ভাবনা জেরি দেখতে পেয়েছিলেন রোরির দুই বছর বয়সেই। ওই বয়সেই যে ৪০ ফুট দূরে বল পাঠাতে পারত রোরি! ছোট্ট রোরির প্রথম 'কোচ' ছিলেন তাঁর বাবা-ই, তবে ছেলের প্রশিক্ষণে যেন কোনো ঘাটতি না থাকে সেটা পুরোপুরি নিশ্চিত করেছিলেন জেরি। এটা করতে গিয়ে তাঁর নিজের যেমন একাধিক চাকরি করতে হয়েছে, তেমনি দিনের পর দিন কর্মস্থলে একাধিক শিফটে ওভারটাইম করেছেন রোরির মা রোজি। তাঁদের এ আত্মত্যাগ বিফলে যায়নি, সেই ছোটবেলা থেকেই মা-বাবার স্বপ্নপূরণ করে চলেছেন রোরি, কিংবা বলা ভালো বাড়িয়ে চলেছেন তাঁদের স্বপ্নের পরিধি।
উত্তর আয়ারল্যান্ডের কাউন্টি ডাউনের ছোট্ট শহর হলিউডে জন্ম নেওয়া রোরি মাত্র সাত বছর বয়সেই নির্বাচিত হয়েছেন হলিউড গলফ ক্লাবের ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য। বয়স যখন ৯, তখনই একবার 'বিশ্বসেরা'র খেতাব জিতেছেন, মিয়ামির ডোরাল গলফ রিসোর্ট এবং স্পা সেন্টারে অনুষ্ঠিত জুনিয়র বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে ৯-১০ বছর গ্রুপের শিরোপা জিতে। সেটা তো ছিল বয়সের সীমারেখায় বাঁধা, কিন্তু বয়স যখন ১৭, তখন সারা বিশ্বের সব অপেশাদার গলফারের মধ্যেই র্যাংকিংয়ে বিশ্বসেরা হয়ে যান তিনি। ২০০৭ সালের ওই অর্জনের পর পরই শৌখিনতার পাট চুকিয়ে পেশাদার গলফের জগতে ঢুকে পড়েন রোরি, আর তার তিন বছরের মাথায় ২০১১ সালে জিতেছেন নিজের প্রথম 'মেজর', ইউএস ওপেনের শিরোপা। তাও আবার রীতিমতো রেকর্ড গড়ে! ইতিহাসের সেরা স্কোর ১৬ আন্ডার পার নিয়ে এ শিরোপাটা যখন জেতেন, তখন তাঁর বয়স ২১ বছর ১৫ দিন। সেই ১৯২৩ সালে শিরোপাজয়ী ববি জোন্সের পর তিনিই ইউএস ওপেনের সবচেয়ে কম বয়সী চ্যাম্পিয়ন। শুধু তা-ই নয়, ওই টুর্নামেন্টে তাঁর স্কোর ছিল ২৬৮_যা দিয়ে টাইগার উডস, জ্যাক নিকলসদের মতো তারকাদের নাম ইতিহাসের একটা অধ্যায় থেকে মুছে দিয়েছেন তিনি। সবচেয়ে কম ১২ আন্ডার পার নিয়ে ইউএস ওপেন শিরোপা জয়ের রেকর্ডে গলফের এ দুই কিংবদন্তির পাশাপাশি নাম ছিল লি জ্যানজেন ও লি ফিউরিকের। তাঁদের চেয়ে চার শট কম খেলে ৭২ হোলের এ টুর্নামেন্ট জিতেছেন রোরি।
এমন একটা কীর্তির পর রোরির নাম যে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে, তাতে আর অবাক হওয়ার কী আছে? কিন্তু এক মাস ঘুরতে না ঘুরতেই অন্য কারণে আলোচনার শিরোনামে এসেছেন 'ব্রিটিশ' পরিচয়ে গর্ব বোধ করা এ আইরিশ। টেনিসের ইউএস ওপেন শুরুর আগেই টুইটারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন তিনি ডেনিশ সুন্দরী ওজনিয়াকির সঙ্গে রোমান্সে জড়ানোর!
নানা কারণেই ওজনিয়াকি রোরির চেয়ে এগিয়ে। গলফের চেয়ে টেনিসের জনপ্রিয়তা বিশ্বে অনেক বেশি। ওজনিয়াকি আবার সেখানে বিশ্বর্যাংকিংয়ের এক নম্বর তারকা। তুলনায় রোরি নিজে এখনো একটু পিছিয়ে, র্যাংকিংয়ে আছেন চার নম্বরে। কিন্তু একটা জায়গায় তিনি এগিয়ে। ওজনিয়াকি যে এখনো কোনো গ্র্যান্ড স্লাম জিততে পারেননি, চাইলে এখানটায় রোরি হতে পারেন তাঁর বান্ধবীর উপদেষ্টাও!
No comments