আন্দোলনের আগুনে সরকার ছারখার হবেঃ খালেদা জিয়া
বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আন্দোলনের আগুনে এ সরকার জ্বলে-পুড়ে ছারখার হয়ে যাবে। প্রতিটি ঘরে আন্দোলন গড়ে উঠবে। খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমরা ভারতের কাছ থেকে পানি পাই না, অথচ ভারতকে ট্রানজিটের নামে করিডর দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশের জন্য কিছু করেনি। শুধু লুটপাট করেছে। তাদের লুটপাটের কারণেই বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর বরাদ্দ বন্ধ করেছে।
উত্তরাঞ্চল অভিমুখে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের রোডমার্চে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে এক পথসভায় খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন। পথসভায় বিএনপির নেত্রী অভিযোগ করে বলেন, সরকার কলকারখানাসহ সবকিছু ভারতের হাতে তুলে দিয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম দেশকে পরাধীন দেশে পরিণত করছে। তিনি বলেন, যোগাযোগমন্ত্রী রাস্তাঘাটের টাকা খেয়ে ফেলেছেন। সরকার সুযোগ্য মন্ত্রীদের সামাল দিতে পারছে না। তাঁরা লুটপাট করছেন। ছাত্রলীগ-যুবলীগ এখন লুটপাটে ব্যস্ত বলে অভিযোগ করেন খালেদা।
এর আগে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে পথসভায় খালেদা জিয়া বলেন, জাতীয় পার্টিকে (জাপা) সঙ্গে নিয়ে ভবিষ্যতে নির্বাচন করার যে স্বপ্ন আওয়ামী লীগ দেখছে, তা পূরণ হবে না। নিজেদের সরকারি দল এবং এরশাদকে বিরোধী দল করার যে স্বপ্ন তারা দেখছে, সে আশাও বৃথা যাবে। এ সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পুলিশ ছাড়া তাদের আর কোনো গতি নেই। কিন্তু পুলিশ দিয়ে ক্ষমতায় থাকা যাবে না।
ওই পথসভায় খালেদা বলেন, ‘এ সরকার ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল। বস্তায় বস্তায় টাকার বিনিময়ে তথাকথিত মইনউদ্দিন-ফখরুদ্দীন সরকারের মাধ্যমে ক্ষমতায় বসেছিল। কিন্তু ক্ষমতায় বসে জনগণকে দেওয়া কোনো ওয়াদা তারা পূরণ করেনি। তারা তাদের ওয়াদা পালন করলে আমরা আন্দোলনে যেতাম না।’
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় থাকে তখনই শেয়ারবাজারে লুটপাট হয়। ইতিপূর্বে কখনো সরকারি লোকেরা এভাবে শেয়ারবাজারের টাকা লুট করেনি। এবারও তারা ক্ষমতায় এসে শেয়ারবাজারে জড়িত ৩৩ লাখ লোককে পথে বসিয়েছে। বিরোধীদলীয় নেতা আরও বলেন, সরকার পুলিশ দিয়ে দেশ চালাচ্ছে। এভাবে বেশি দিন ক্ষমতায় থাকা যায় না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘পুলিশ আপনাকে রক্ষা করতে পারবে না।’
আজ বেলা পৌনে ১১টার দিকে উত্তরা থেকে এ রোডমার্চ শুরু হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন ও বর্তমান সরকারের পদত্যাগের দাবিতে দলটির এটি দ্বিতীয় রোডমার্চ। বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা যায়, রোডমার্চটি ঢাকা থেকে রওনা হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে গিয়ে শেষ হবে। গাড়িবহরে রয়েছে অন্তত তিন হাজার গাড়ি।
একই দাবিতে চারদলীয় জোট ১০ অক্টোবর সিলেট অভিমুখে প্রথম রোডমার্চ করে। ঈদের পর চট্টগ্রাম, খুলনা ও রংপুরে একই কর্মসূচি পালনের কথা।
বিএনপি জানায়, কালিয়াকৈর, টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর ছাড়াও সিরাজগঞ্জে পথসভা হবে। এরপর বিকেলে বগুড়ায় জনসভায় ভাষণ দেবেন খালেদা জিয়া। সেখানে রাতে রোডমার্চ বহর অবস্থান করবে। পরের দিন বুধবার বগুড়া থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হবে। ওই দিন নওগাঁয় পথসভা এবং বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জে জনসভার মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ হবে।
রোডমার্চে যোগ দিতে আজ সকাল সোয়া ১০টার দিকে খালেদা জিয়া গুলশান থেকে উত্তরার উদ্দেশে রওনা হন। পরে সেখান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও নেতা-কর্মীদের নিয়ে গাড়িবহর যাত্রা করে। এ সময় উত্তরা, টঙ্গী থেকে গাজীপুরের চৌরাস্তা হয়ে কালিয়াকৈর পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে চার দলের সমর্থকেরা ফুল ছিটিয়ে এবং স্লোগান দিয়ে তাঁদের স্বাগত জানায়। সমর্থকদের হাতে এ সময় ছিল জিয়া, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবিসংবলিত পোস্টার, ফেস্টুন ও ব্যানার।
এর আগে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে পথসভায় খালেদা জিয়া বলেন, জাতীয় পার্টিকে (জাপা) সঙ্গে নিয়ে ভবিষ্যতে নির্বাচন করার যে স্বপ্ন আওয়ামী লীগ দেখছে, তা পূরণ হবে না। নিজেদের সরকারি দল এবং এরশাদকে বিরোধী দল করার যে স্বপ্ন তারা দেখছে, সে আশাও বৃথা যাবে। এ সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পুলিশ ছাড়া তাদের আর কোনো গতি নেই। কিন্তু পুলিশ দিয়ে ক্ষমতায় থাকা যাবে না।
ওই পথসভায় খালেদা বলেন, ‘এ সরকার ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল। বস্তায় বস্তায় টাকার বিনিময়ে তথাকথিত মইনউদ্দিন-ফখরুদ্দীন সরকারের মাধ্যমে ক্ষমতায় বসেছিল। কিন্তু ক্ষমতায় বসে জনগণকে দেওয়া কোনো ওয়াদা তারা পূরণ করেনি। তারা তাদের ওয়াদা পালন করলে আমরা আন্দোলনে যেতাম না।’
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় থাকে তখনই শেয়ারবাজারে লুটপাট হয়। ইতিপূর্বে কখনো সরকারি লোকেরা এভাবে শেয়ারবাজারের টাকা লুট করেনি। এবারও তারা ক্ষমতায় এসে শেয়ারবাজারে জড়িত ৩৩ লাখ লোককে পথে বসিয়েছে। বিরোধীদলীয় নেতা আরও বলেন, সরকার পুলিশ দিয়ে দেশ চালাচ্ছে। এভাবে বেশি দিন ক্ষমতায় থাকা যায় না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘পুলিশ আপনাকে রক্ষা করতে পারবে না।’
আজ বেলা পৌনে ১১টার দিকে উত্তরা থেকে এ রোডমার্চ শুরু হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন ও বর্তমান সরকারের পদত্যাগের দাবিতে দলটির এটি দ্বিতীয় রোডমার্চ। বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা যায়, রোডমার্চটি ঢাকা থেকে রওনা হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে গিয়ে শেষ হবে। গাড়িবহরে রয়েছে অন্তত তিন হাজার গাড়ি।
একই দাবিতে চারদলীয় জোট ১০ অক্টোবর সিলেট অভিমুখে প্রথম রোডমার্চ করে। ঈদের পর চট্টগ্রাম, খুলনা ও রংপুরে একই কর্মসূচি পালনের কথা।
বিএনপি জানায়, কালিয়াকৈর, টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর ছাড়াও সিরাজগঞ্জে পথসভা হবে। এরপর বিকেলে বগুড়ায় জনসভায় ভাষণ দেবেন খালেদা জিয়া। সেখানে রাতে রোডমার্চ বহর অবস্থান করবে। পরের দিন বুধবার বগুড়া থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হবে। ওই দিন নওগাঁয় পথসভা এবং বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জে জনসভার মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ হবে।
রোডমার্চে যোগ দিতে আজ সকাল সোয়া ১০টার দিকে খালেদা জিয়া গুলশান থেকে উত্তরার উদ্দেশে রওনা হন। পরে সেখান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও নেতা-কর্মীদের নিয়ে গাড়িবহর যাত্রা করে। এ সময় উত্তরা, টঙ্গী থেকে গাজীপুরের চৌরাস্তা হয়ে কালিয়াকৈর পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে চার দলের সমর্থকেরা ফুল ছিটিয়ে এবং স্লোগান দিয়ে তাঁদের স্বাগত জানায়। সমর্থকদের হাতে এ সময় ছিল জিয়া, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবিসংবলিত পোস্টার, ফেস্টুন ও ব্যানার।
No comments