ব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়ছে by জাকির হোসেন
শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা ফেরাতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে গত বছর শেয়ারবাজার থেকে ব্যাংকগুলোর বড় অঙ্কের মুনাফা ফের বাজারে ফিরিয়ে আনার আলোচনা শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এ ব্যাপারে ব্যাংকগুলোকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি চলতি সপ্তাহে জরুরি বৈঠক করবে। এদিকে পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে
সরকার গতকাল বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আদেশ জারি করেছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল মুহিতের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি পরামর্শক কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে।
সরকার গতকাল বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আদেশ জারি করেছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল মুহিতের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি পরামর্শক কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে।
সেকেন্ডারি শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে ১০ শতাংশ আয়কর রেয়াত সুবিধা এবং মিউচুয়াল ফান্ড ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠানের আয় করমুক্ত করার আদেশ জারি করেছে এনবিআর। এ সুবিধা চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে (ভুতাপেক্ষ) কার্যকর হবে। আইপিওতে কর রেয়াত সুবিধা আগে থেকেই বলবৎ রয়েছে। এছাড়া গতকালের আদেশে শেয়ার কেনাবেচায় ব্রোকারের কমিশন বা উৎসে আয়কর লেনদেন মূল্যের শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ আদেশটি গতকাল থেকেই কার্যকর হয়েছে। জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শেয়ারবাজারের বর্তমান পরিস্থিতিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে সংশ্লিষ্টদের ইতিমধ্যে নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে শেয়ারবাজার পরিস্থিতি উন্নয়নে গতকাল সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে দফায় দফায় আলোচনা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, সেপ্টেম্বর শেষে শেয়ারবাজারে ব্যাংকিং খাতের মোট বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে ব্যাংকগুলোর মোট দায়ের মাত্র ৩ শতাংশ। ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, মোট দায়ের ১০ শতাংশ পর্যন্ত শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা যায়। এ হিসেবে এখনও বেশ বড় অঙ্কের অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করার অবকাশ রয়েছে। কোনো ব্যাংক আইনের মধ্যে থেকে শেয়ারবাজারে কতটুকু বিনিয়োগ করবে সেটি তার নিজস্ব বিষয়। এ কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কাউকে বিনিয়োগ বাড়াতে বাধ্য করবে না। এ কারণে নৈতিক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের উচ্চ পর্যায়ে কথা বলে এ খবর জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান সমকালকে বলেন, ব্যাংকগুলো আইনের মধ্যে থেকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করলে তাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আপত্তি নেই। এমনকি শেয়ারবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের সুবিধার্থে মার্চেন্ট ব্যাংক কিংবা ব্রোকারেজ হাউসের সুদ মওকুফ কিংবা পুনঃতফসিল করলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাতে বাধা দেবে না। তিনি বলেন, 'শেয়ারবাজারের অস্থিতিশীলতায় ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মতো আমিও ব্যথিত। এ কারণে ব্যাংকগুলোকে আইনের মধ্যে থেকে শেয়ারবাজারকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে বলেছি। '
পরামর্শক কাউন্সিল : গতকাল অর্থমন্ত্রীকে প্রধান করে ছয় সদস্য বিশিষ্ট পরামর্শক কাউন্সিল গঠণেনর প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। কাউন্সিলের অপর সদস্যরা হলেন_ বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, এসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা। এছাড়া অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের একজন যুগ্ম সচিব এ কাউন্সিলের সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
এদিকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অপর এক প্রজ্ঞাপনে সর্বোচ্চ ৬৫টি পর্যন্ত মার্চেন্ট ব্যাংকের নিবন্ধন সনদ (লাইসেন্স) প্রদানের ক্ষমতা এসইসিকে দেওয়া হয়েছে।
জরুরি বৈঠক করবে এবিবি : জানা গেছে, এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান এবিবির ভাইস চেয়ারম্যান ও এনসিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল আমিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের ব্যাপারে নুরুল আমিন সাংবাদিকদের বলেন, শিগগিরই এবিবির পক্ষ থেকে একটি বৈঠক ডেকে যেসব ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমা ১০ শতাংশের নিচে রয়েছে তাদের বিনিয়োগ বাড়ানোর অনুরোধ জানানো হবে। তারা বিনিয়োগ করবে কী করবে না সেটি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের নিজস্ব বিষয়। এছাড়া আইনি সীমার মধ্যে থেকে কোনো ব্যাংক নতুনভাবে বিনিয়োগ করলে বা মার্চেন্ট ব্যাংকের সুদ মওকুফ করলে বাংলাদেশ ব্যাংক কিছু বলবে না।
বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে নুরুল আমিন সমকালকে বলেন, প্রতিটি ব্যাংক লাভ-ক্ষতির বিষয় বিবেচনা করে যে কোনো বিনিয়োগে যায়। শেয়ারবাজার নিয়ে আস্থার সংকট কাটাতে হলে খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের তদন্ত প্রতিবেদনে যা বলা হয়েছিল তার বাস্তবায়ন দরকার। যেহেতু সূচক অনেক কম তাই অনেকেই নতুন করে বিনিয়োগে আসবে। গভর্নরের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকটি আনুষ্ঠানিক কোনো বৈঠক ছিল না জানিয়ে তিনি বলেন, ব্যক্তিগত একটি বিষয় নিয়ে গভর্নরের সঙ্গে আলাপ করতে গেলে সেখানে শেয়ারবাজার প্রসঙ্গ উঠেছিল। আইনি সীমার মধ্যে থেকে শেয়ারবাজার নিয়ে ব্যাংকের কিছু করণীয় থাকলে গভর্নর তা করতে বলেছেন। এ বিষয়ে তিনি এবিবির চেয়ারম্যানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। চেয়ারম্যান শিগগিরই একটি বৈঠক ডাকবেন ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা সমকালকে জানান, কোনো ব্যাংকেরই এখন শেয়ারবাজারে তার দায়ের ১০ শতাংশের বেশি বিনিয়োগ নেই। গত বছর এ সময়ে অন্তত ১০টি ব্যাংকের বিনিয়োগ আইনি সীমার বেশি ছিল। বর্তমানে বেশিরভাগ ব্যাংকের বিনিয়োগ ৫ শতাংশের নিচে। বিনিয়োগ হিসাব করার সময় যেহেতু বাজারমূল্য বিবেচনা করা হয় সেহেতু শেয়ারের দাম পড়ে যাওয়া এর অন্যতম কারণ। বর্তমানে শেয়ারবাজারে ব্যাংকগুলোর মোট বিনিয়োগ ১৬ হাজার কোটি টাকার কিছুটা বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, সেপ্টেম্বর শেষে শেয়ারবাজারে ব্যাংকিং খাতের মোট বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে ব্যাংকগুলোর মোট দায়ের মাত্র ৩ শতাংশ। ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, মোট দায়ের ১০ শতাংশ পর্যন্ত শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা যায়। এ হিসেবে এখনও বেশ বড় অঙ্কের অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করার অবকাশ রয়েছে। কোনো ব্যাংক আইনের মধ্যে থেকে শেয়ারবাজারে কতটুকু বিনিয়োগ করবে সেটি তার নিজস্ব বিষয়। এ কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কাউকে বিনিয়োগ বাড়াতে বাধ্য করবে না। এ কারণে নৈতিক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের উচ্চ পর্যায়ে কথা বলে এ খবর জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান সমকালকে বলেন, ব্যাংকগুলো আইনের মধ্যে থেকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করলে তাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আপত্তি নেই। এমনকি শেয়ারবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের সুবিধার্থে মার্চেন্ট ব্যাংক কিংবা ব্রোকারেজ হাউসের সুদ মওকুফ কিংবা পুনঃতফসিল করলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাতে বাধা দেবে না। তিনি বলেন, 'শেয়ারবাজারের অস্থিতিশীলতায় ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মতো আমিও ব্যথিত। এ কারণে ব্যাংকগুলোকে আইনের মধ্যে থেকে শেয়ারবাজারকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে বলেছি। '
পরামর্শক কাউন্সিল : গতকাল অর্থমন্ত্রীকে প্রধান করে ছয় সদস্য বিশিষ্ট পরামর্শক কাউন্সিল গঠণেনর প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। কাউন্সিলের অপর সদস্যরা হলেন_ বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, এসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা। এছাড়া অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের একজন যুগ্ম সচিব এ কাউন্সিলের সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
এদিকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অপর এক প্রজ্ঞাপনে সর্বোচ্চ ৬৫টি পর্যন্ত মার্চেন্ট ব্যাংকের নিবন্ধন সনদ (লাইসেন্স) প্রদানের ক্ষমতা এসইসিকে দেওয়া হয়েছে।
জরুরি বৈঠক করবে এবিবি : জানা গেছে, এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান এবিবির ভাইস চেয়ারম্যান ও এনসিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল আমিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের ব্যাপারে নুরুল আমিন সাংবাদিকদের বলেন, শিগগিরই এবিবির পক্ষ থেকে একটি বৈঠক ডেকে যেসব ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমা ১০ শতাংশের নিচে রয়েছে তাদের বিনিয়োগ বাড়ানোর অনুরোধ জানানো হবে। তারা বিনিয়োগ করবে কী করবে না সেটি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের নিজস্ব বিষয়। এছাড়া আইনি সীমার মধ্যে থেকে কোনো ব্যাংক নতুনভাবে বিনিয়োগ করলে বা মার্চেন্ট ব্যাংকের সুদ মওকুফ করলে বাংলাদেশ ব্যাংক কিছু বলবে না।
বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে নুরুল আমিন সমকালকে বলেন, প্রতিটি ব্যাংক লাভ-ক্ষতির বিষয় বিবেচনা করে যে কোনো বিনিয়োগে যায়। শেয়ারবাজার নিয়ে আস্থার সংকট কাটাতে হলে খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের তদন্ত প্রতিবেদনে যা বলা হয়েছিল তার বাস্তবায়ন দরকার। যেহেতু সূচক অনেক কম তাই অনেকেই নতুন করে বিনিয়োগে আসবে। গভর্নরের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকটি আনুষ্ঠানিক কোনো বৈঠক ছিল না জানিয়ে তিনি বলেন, ব্যক্তিগত একটি বিষয় নিয়ে গভর্নরের সঙ্গে আলাপ করতে গেলে সেখানে শেয়ারবাজার প্রসঙ্গ উঠেছিল। আইনি সীমার মধ্যে থেকে শেয়ারবাজার নিয়ে ব্যাংকের কিছু করণীয় থাকলে গভর্নর তা করতে বলেছেন। এ বিষয়ে তিনি এবিবির চেয়ারম্যানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। চেয়ারম্যান শিগগিরই একটি বৈঠক ডাকবেন ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা সমকালকে জানান, কোনো ব্যাংকেরই এখন শেয়ারবাজারে তার দায়ের ১০ শতাংশের বেশি বিনিয়োগ নেই। গত বছর এ সময়ে অন্তত ১০টি ব্যাংকের বিনিয়োগ আইনি সীমার বেশি ছিল। বর্তমানে বেশিরভাগ ব্যাংকের বিনিয়োগ ৫ শতাংশের নিচে। বিনিয়োগ হিসাব করার সময় যেহেতু বাজারমূল্য বিবেচনা করা হয় সেহেতু শেয়ারের দাম পড়ে যাওয়া এর অন্যতম কারণ। বর্তমানে শেয়ারবাজারে ব্যাংকগুলোর মোট বিনিয়োগ ১৬ হাজার কোটি টাকার কিছুটা বেশি।
No comments