দুই ভাগ হলো ডিসিসি
অবশেষে দুই ভাগে ভাগ করা হলো ঢাকা সিটি করপোরেশনকে (ডিসিসি)। ঢাকা সিটি করপোরেশন উত্তর ও দক্ষিণ নামের এই দুই ভাগের দক্ষিণে পড়েছে ৫৬টি ওয়ার্ড এবং উত্তরে ৩৬টি ওয়ার্ড।গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ঢাকা সিটি করপোরেশনকে দুই ভাগে ভাগ করার প্রস্তাব সংবলিত স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন-২০০৯ সংশোধন প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।ঢাকার মতো এত বড় নগরীর নিয়ন্ত্রণ একটি মাত্র সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে সম্ভব নয় বলেই ৯২ ওয়ার্ডের এই সিটি করপোরেশনকে দুই ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ।
দুই ভাগ করার বিষয়ে ঢাকা সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র সাদেক হোসেন খোকা কালের কণ্ঠকে বলেন, বিষয়টি তিনি জেনেছেন মিডিয়ার মাধ্যমে। সরকার এ ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে আলাপ করেনি। বিভক্তির ব্যাপারে তাঁর মন্তব্য, এতে নাগরিক সুবিধা বাড়বে না। সেবার মানও বাড়বে না।
খোকা বলেন, 'যত দিন পর্যন্ত ট্রাফিক পুলিশ, ওয়াসা ও রাজউকের প্ল্যানিং সেক্টর সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত না হবে তত দিন পর্যন্ত সিটি করপোরেশনকে ভাগ করে লাভ হবে না।'
এক হাজার ৫৩০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই নগরীর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সিটি করপোরেশনকে ভাগ করার পরামর্শ দেয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকার ১৫ জন
সংসদ সদস্যকে নিয়ে দুই দফা বৈঠক করেন।
গত ৪ ডিসেম্বর গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ঢাকা মহানগর এলাকার সংসদ সদস্যরা ঢাকা সিটি করপোরেশনকে জনসংখ্যার অনুপাতে দুই ভাগে বা চার ভাগে ভাগ করার পরামর্শ দেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ঢাকাকে দুই ভাগে ভাগ করার পক্ষে অবস্থান নেন।
প্রায় দেড় কোটি লোক অধ্যুষিত ঢাকা সিটি করপোরেশনের ভোটারসংখ্যা ৩৭ লাখ ৫৫ হাজার ৬৯০। ভাগ করার পরিকল্পনা থাকায় মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। ২০০৭ সালের ১৪ মে ডিসিসির মেয়র ও কাউন্সিলরদের মেয়াদ শেষ হয়েছে।
গতকাল বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করার সময় প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ জানান, ঢাকা সিটি করপোরেশনে ৯২টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরসহ ১২৩ জন কাউন্সিলর রয়েছেন। একটি সিটি করপোরেশনের পক্ষে এত বড় এলাকায় যথাযথ নাগরিক সেবা দেওয়া সম্ভব নয়। তাই মন্ত্রিসভা সিটি করপোরেশনকে দুই ভাগ করার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে বলে জানান প্রেসসচিব।
এ ছাড়া বৈঠকে দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুষ্ঠু পরিবেশ ও প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে 'প্রতিযোগিতা আইন ২০১১'-এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন, 'বঙ্গবন্ধু দারিদ্র্য বিমোচন ও পল্লী উন্নয়ন একাডেমী আইন-২০১১'-এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন এবং বন আইন (সংশোধিত) ২০১১-এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রেসসচিব সাংবাদিকদের জানান, গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলায় বঙ্গবন্ধু দারিদ্র্য বিমোচন ও পল্লী উন্নয়ন একাডেমী যেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অবদান রাখতে পারে, সে জন্য এটিকে স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে এ আইন করা হচ্ছে।
সম্পূরক এজেন্ডায় বৈঠকে বঙ্গোপসাগরে মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারণ এবং বঙ্গোপসাগরে সমপ্রসারিত মহীসোপানে বাংলাদেশের দাবি সম্পর্কেও অবহিত করা হয়।
খোকা বলেন, 'যত দিন পর্যন্ত ট্রাফিক পুলিশ, ওয়াসা ও রাজউকের প্ল্যানিং সেক্টর সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত না হবে তত দিন পর্যন্ত সিটি করপোরেশনকে ভাগ করে লাভ হবে না।'
এক হাজার ৫৩০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই নগরীর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সিটি করপোরেশনকে ভাগ করার পরামর্শ দেয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকার ১৫ জন
সংসদ সদস্যকে নিয়ে দুই দফা বৈঠক করেন।
গত ৪ ডিসেম্বর গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ঢাকা মহানগর এলাকার সংসদ সদস্যরা ঢাকা সিটি করপোরেশনকে জনসংখ্যার অনুপাতে দুই ভাগে বা চার ভাগে ভাগ করার পরামর্শ দেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ঢাকাকে দুই ভাগে ভাগ করার পক্ষে অবস্থান নেন।
প্রায় দেড় কোটি লোক অধ্যুষিত ঢাকা সিটি করপোরেশনের ভোটারসংখ্যা ৩৭ লাখ ৫৫ হাজার ৬৯০। ভাগ করার পরিকল্পনা থাকায় মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। ২০০৭ সালের ১৪ মে ডিসিসির মেয়র ও কাউন্সিলরদের মেয়াদ শেষ হয়েছে।
গতকাল বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করার সময় প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ জানান, ঢাকা সিটি করপোরেশনে ৯২টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরসহ ১২৩ জন কাউন্সিলর রয়েছেন। একটি সিটি করপোরেশনের পক্ষে এত বড় এলাকায় যথাযথ নাগরিক সেবা দেওয়া সম্ভব নয়। তাই মন্ত্রিসভা সিটি করপোরেশনকে দুই ভাগ করার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে বলে জানান প্রেসসচিব।
এ ছাড়া বৈঠকে দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুষ্ঠু পরিবেশ ও প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে 'প্রতিযোগিতা আইন ২০১১'-এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন, 'বঙ্গবন্ধু দারিদ্র্য বিমোচন ও পল্লী উন্নয়ন একাডেমী আইন-২০১১'-এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন এবং বন আইন (সংশোধিত) ২০১১-এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রেসসচিব সাংবাদিকদের জানান, গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলায় বঙ্গবন্ধু দারিদ্র্য বিমোচন ও পল্লী উন্নয়ন একাডেমী যেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অবদান রাখতে পারে, সে জন্য এটিকে স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে এ আইন করা হচ্ছে।
সম্পূরক এজেন্ডায় বৈঠকে বঙ্গোপসাগরে মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারণ এবং বঙ্গোপসাগরে সমপ্রসারিত মহীসোপানে বাংলাদেশের দাবি সম্পর্কেও অবহিত করা হয়।
No comments