পোশাক খাতে বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে মতবিরোধ by আবু হেনা মুহিব
তৈরি পোশাক খাতে নতুন করে বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে রফতানিকারক ও সরকারি প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। গতকাল রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোতে (ইপিবি) রফতানি মনিটরিং কমিটির বৈঠকে ওই মতবিরোধ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এছাড়া রফতানি কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে পরস্পর দোষারোপ এবং শেষ পর্যন্ত কোনো কার্যকর সিদ্ধান্ত ছাড়াই রফতানি মনিটরিং কমিটির গতকালের বৈঠক শেষ হয়। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে রফতানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থতা এবং একক মাস হিসেবে সেপ্টেম্বরে গত ৯ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন হারের রফতানি পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
বৈঠক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। ইপিবি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট রাখাল চন্দ্র বর্মণ। অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে ব্যাংক ও আর্থিক বিভাগের উপসচিব আজিজুল হক, বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক আবদুল মান্নান, ইপিবির পলিসি ডিরেক্টর সালাহ উদ্দীন মাহমুদ, বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নাসির উদ্দীন আহমেদ, বিকেএমইএর সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমসহ শীর্ষ রফতানি খাতের প্রতিনিধি এবং ইপিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
রফতানি পরিস্থিতি মনিটর করে সমস্যা চিহ্নিত করা এবং সুপারিশ প্রণয়নের জন্য ২০১০ সালের জানুয়ারিতে গঠিত রফতানি মনিটরিং কমিটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এবং বিজিএমইএ, বিকেএমইএ প্রতিনিধিরা রয়েছেন কমিটিতে। প্রায় দুই বছর আগে প্রতিষ্ঠিত কমিটি গতকালই প্রথম তাদের বৈঠক করে।
সূত্র জানায়, রফতানিকারক প্রতিনিধিরা বৈঠকে অভিযোগ করে বলেন, সরকারি প্রণোদনার ঘোষণা দিয়ে অর্থ প্রদানে তেলসমাতি, গ্যাস-বিদ্যুৎ-সড়কসহ অবকাঠামো সংকটে সময়মতো রফতানি আদেশ সরবরাহ করতে না পারার ফলে কখনও কয়েকগুণ বেশি ব্যয়ে বিমান পরিবহন করা হয়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে কোনোভাবেই সময়মতো সরবরাহ করা না যাওয়ায় রফতানি আদেশ বাতিল করা হয়, ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে পণ্য পরিবহনে দীর্ঘ সময় ছাড়াও পথে পথে রফতানিপণ্যবাহী ট্রাক ছিনতাই, বন্দর থেকে কার্টন চুরির ঘটনায় বিদেশি ক্রেতার কাছে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে সরকার হঠাৎ হঠাৎ বাস্তবতা বিবেচনা না করেই সার্কুলার জারি করায় বাস্তবায়ন পর্যায়ে তারা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এসব কারণে রফতানি কমছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তহীনতা, দীর্ঘসূত্রতাও এর জন্য দায়ী। রফতানির বিভিন্ন ইস্যুতে অর্থমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত কার্যকর হয় না জানিয়ে ব্যবসায়ীরা বলেছেন, এসব খতিয়ে দেখা দরকার।
সূত্র মতে, অবকাঠামো ইস্যুতে আপাতত এবং দীর্ঘমেয়াদি দু'ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া, সার্কুলার জারির আগে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর সঙ্গে আলোচনা, টিটি জটিলতা নিরসন এবং পোশাক খাতে বিদেশি বিনিয়োগ নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছেন তারা। পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, তৈরি পোশাক খাতে বিদেশি বিনিয়োগ প্রসঙ্গে তারা বলেন, এর ফলে দেশব্যাপী শ্রমঅসন্তোষ দেখা দেবে। তাদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিকদের প্রশিক্ষিত করার পর এখন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বেশি বেতন দিলে শ্রমিকরা তাদের ছেড়ে যাবে। সূত্র জানায়, এ প্রসঙ্গে ঘোর আপত্তি জানিয়ে সরকারি প্রতিনিধিরা বলেন, শ্রমিকদের বেশি বেতনের পথ রুদ্ধ করা তাদের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ। তারা বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী, বিদেশি বিনিয়োগ বন্ধ করার কোনো সুযোগ নেই। পররাষ্ট্রনীতি, দেশের ইমেজ এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এর সঙ্গে জড়িত থাকায় বিদেশি বিনিয়োগ বন্ধের আপাতত কোনো সুযোগ নেই। বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ প্রতিনিধিকে উদ্দেশ করে তারা বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সদস্য পদ না দেওয়ায় তারা ইউনিভার্সেল ডিক্লারেশন (ইউডি) পাচ্ছে না। ফলে রফতানি করতে পারছে না তারা। জাপান, যুক্তরাজ্যসহ অনেক দেশ ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে অভিযোগ করেছে। প্রতিদিন এ ধরনের অভিযোগ পাচ্ছেন বলে জানান তারা। ইউডি সরকারের দায়িত্ব হলেও বিজিএমইএকে সরকার দায়িত্ব দিয়েছে। সদস্য পদ এবং ইউডি দিতে বিজিএমইএ তাদের সিদ্ধান্তে অটল থাকলে সরকার পৃথকভাবে ইউডির ব্যবস্থা করবে বলে জানান তারা। শেষ পর্যন্ত দু'পক্ষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নেতিবাচক প্রবণতা কাটিয়ে রফতানি ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরবে এ আশাবাদের মধ্য দিয়ে বৈঠক শেষ হয়।
রফতানি পরিস্থিতি মনিটর করে সমস্যা চিহ্নিত করা এবং সুপারিশ প্রণয়নের জন্য ২০১০ সালের জানুয়ারিতে গঠিত রফতানি মনিটরিং কমিটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এবং বিজিএমইএ, বিকেএমইএ প্রতিনিধিরা রয়েছেন কমিটিতে। প্রায় দুই বছর আগে প্রতিষ্ঠিত কমিটি গতকালই প্রথম তাদের বৈঠক করে।
সূত্র জানায়, রফতানিকারক প্রতিনিধিরা বৈঠকে অভিযোগ করে বলেন, সরকারি প্রণোদনার ঘোষণা দিয়ে অর্থ প্রদানে তেলসমাতি, গ্যাস-বিদ্যুৎ-সড়কসহ অবকাঠামো সংকটে সময়মতো রফতানি আদেশ সরবরাহ করতে না পারার ফলে কখনও কয়েকগুণ বেশি ব্যয়ে বিমান পরিবহন করা হয়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে কোনোভাবেই সময়মতো সরবরাহ করা না যাওয়ায় রফতানি আদেশ বাতিল করা হয়, ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে পণ্য পরিবহনে দীর্ঘ সময় ছাড়াও পথে পথে রফতানিপণ্যবাহী ট্রাক ছিনতাই, বন্দর থেকে কার্টন চুরির ঘটনায় বিদেশি ক্রেতার কাছে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে সরকার হঠাৎ হঠাৎ বাস্তবতা বিবেচনা না করেই সার্কুলার জারি করায় বাস্তবায়ন পর্যায়ে তারা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এসব কারণে রফতানি কমছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তহীনতা, দীর্ঘসূত্রতাও এর জন্য দায়ী। রফতানির বিভিন্ন ইস্যুতে অর্থমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত কার্যকর হয় না জানিয়ে ব্যবসায়ীরা বলেছেন, এসব খতিয়ে দেখা দরকার।
সূত্র মতে, অবকাঠামো ইস্যুতে আপাতত এবং দীর্ঘমেয়াদি দু'ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া, সার্কুলার জারির আগে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর সঙ্গে আলোচনা, টিটি জটিলতা নিরসন এবং পোশাক খাতে বিদেশি বিনিয়োগ নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছেন তারা। পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, তৈরি পোশাক খাতে বিদেশি বিনিয়োগ প্রসঙ্গে তারা বলেন, এর ফলে দেশব্যাপী শ্রমঅসন্তোষ দেখা দেবে। তাদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিকদের প্রশিক্ষিত করার পর এখন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বেশি বেতন দিলে শ্রমিকরা তাদের ছেড়ে যাবে। সূত্র জানায়, এ প্রসঙ্গে ঘোর আপত্তি জানিয়ে সরকারি প্রতিনিধিরা বলেন, শ্রমিকদের বেশি বেতনের পথ রুদ্ধ করা তাদের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ। তারা বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী, বিদেশি বিনিয়োগ বন্ধ করার কোনো সুযোগ নেই। পররাষ্ট্রনীতি, দেশের ইমেজ এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এর সঙ্গে জড়িত থাকায় বিদেশি বিনিয়োগ বন্ধের আপাতত কোনো সুযোগ নেই। বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ প্রতিনিধিকে উদ্দেশ করে তারা বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সদস্য পদ না দেওয়ায় তারা ইউনিভার্সেল ডিক্লারেশন (ইউডি) পাচ্ছে না। ফলে রফতানি করতে পারছে না তারা। জাপান, যুক্তরাজ্যসহ অনেক দেশ ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে অভিযোগ করেছে। প্রতিদিন এ ধরনের অভিযোগ পাচ্ছেন বলে জানান তারা। ইউডি সরকারের দায়িত্ব হলেও বিজিএমইএকে সরকার দায়িত্ব দিয়েছে। সদস্য পদ এবং ইউডি দিতে বিজিএমইএ তাদের সিদ্ধান্তে অটল থাকলে সরকার পৃথকভাবে ইউডির ব্যবস্থা করবে বলে জানান তারা। শেষ পর্যন্ত দু'পক্ষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নেতিবাচক প্রবণতা কাটিয়ে রফতানি ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরবে এ আশাবাদের মধ্য দিয়ে বৈঠক শেষ হয়।
No comments