রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ৪ ব্যাংকের লোকসানি শাখা কমেছে by ওয়াদুল্লাহ রনি
কমে এসেছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চার বাণিজ্যিক ব্যাংকের লোকসানি শাখা। ২০১০ সাল শেষে এসব ব্যাংকের যেখানে ২৯০টি শাখায় লোকসান গুনতে হচ্ছিল, গত জুন শেষে তা ১৯৩টিতে নেমে এসেছে। লোকসানি শাখা কমলেও এসব ব্যাংকে খেলাপির হার আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে এসব ব্যাংকে নতুনভাবে ১ হাজার ৬৮৮ কোটি টাকা খেলাপি হয়েছে। এছাড়া আগের খেলাপি ঋণ আদায়ের হারও সন্তোষজনক নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
খেলাপি ঋণ আদায়, তহবিল ব্যবস্থাপনা ব্যয়, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনাসহ সার্বিক উন্নয়নে প্রতি বছরের শুরুতে বাংলাদেশ ব্যাংক সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সইয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেয়। স্মারক অনুযায়ী এসব ব্যাংককে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তত্ত্বাবধান ও পর্যবেক্ষণ করে। এরই অংশ হিসেবে প্রতি তিন মাসের অগ্রগতি নিয়ে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। ওই বৈঠকে খেলাপি না কমার কারণ জানতে চাওয়া হয়। আগামী প্রান্তিকে খেলাপি ঋণ কমানোর উপায় সম্পর্কে তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লোকসানি শাখা কমাতে সক্ষম হওয়ায় এসব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের ধন্যবাদ জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
বৈঠকে উত্থাপিত প্রতিবেদনের তথ্য মতে, ২০১০ সাল শেষে সোনালী ব্যাংকে যেখানে ৯০টি লোকসানি শাখা ছিল জুন শেষে তা ৮১টিতে নেমে এসেছে, জনতা ব্যাংকের ৯৮টি থেকে ৬০টিতে, অগ্রণী ব্যাংকের ৮০টি থেকে ৩৯টিতে এবং রূপালী ২২টি থেকে নেমে এসেছে ১৩টিতে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চার ব্যাংকে জুন শেষে মোট ১১ হাজার ৬৫ কোটি টাকা খেলাপি দাঁড়িয়েছে।
এর মধ্যে সোনালী ব্যাংকে খেলাপির পরিমাণ ৬ হাজার ৯১৯ কোটি, জনতা ব্যাংকে এক হাজার ২০৮ কোটি, অগ্রণী ব্যাংকে ২ হাজার ৪৩৬ কোটি এবং রূপালী ব্যাংকে খেলাপি দাঁড়িয়েছে ৫০২ কোটি টাকা। এসব ব্যাংকের মধ্যে শুধু রূপালী ব্যাংক ছাড়া অন্য সবার খেলাপির পরিমাণ আগের তুলনায় বেড়েছে। শেষ ছয় মাসে এসব ব্যাংকে নতুনভাবে খেলাপি হয়েছে এক হাজার ৬৮৮ কোটি টাকার ঋণ।
এসব ব্যাংকের খেলাপি ঋণ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণ থাকার অন্যতম কারণ সত্তর ও আশির দশকে বাণিজ্যিক ভিত্তি বিবেচনা না করে এবং নির্দেশিত খাতে বিশাল অঙ্কের ঋণ প্রদান। দুর্বল মূল্যায়ন, অপর্যাপ্ত তদারকি ও তত্ত্বাবধানের ফলে এসব ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণের অধিকাংশই মন্দ ঋণে পরিণত হয়েছিল যার উল্লেখযোগ্য অংশ ওই ব্যাংকগুলোর ঋণ কাঠামোতে এখনও বিদ্যমান রয়েছে।
বৈঠকে উত্থাপিত প্রতিবেদনের তথ্য মতে, ২০১০ সাল শেষে সোনালী ব্যাংকে যেখানে ৯০টি লোকসানি শাখা ছিল জুন শেষে তা ৮১টিতে নেমে এসেছে, জনতা ব্যাংকের ৯৮টি থেকে ৬০টিতে, অগ্রণী ব্যাংকের ৮০টি থেকে ৩৯টিতে এবং রূপালী ২২টি থেকে নেমে এসেছে ১৩টিতে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চার ব্যাংকে জুন শেষে মোট ১১ হাজার ৬৫ কোটি টাকা খেলাপি দাঁড়িয়েছে।
এর মধ্যে সোনালী ব্যাংকে খেলাপির পরিমাণ ৬ হাজার ৯১৯ কোটি, জনতা ব্যাংকে এক হাজার ২০৮ কোটি, অগ্রণী ব্যাংকে ২ হাজার ৪৩৬ কোটি এবং রূপালী ব্যাংকে খেলাপি দাঁড়িয়েছে ৫০২ কোটি টাকা। এসব ব্যাংকের মধ্যে শুধু রূপালী ব্যাংক ছাড়া অন্য সবার খেলাপির পরিমাণ আগের তুলনায় বেড়েছে। শেষ ছয় মাসে এসব ব্যাংকে নতুনভাবে খেলাপি হয়েছে এক হাজার ৬৮৮ কোটি টাকার ঋণ।
এসব ব্যাংকের খেলাপি ঋণ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণ থাকার অন্যতম কারণ সত্তর ও আশির দশকে বাণিজ্যিক ভিত্তি বিবেচনা না করে এবং নির্দেশিত খাতে বিশাল অঙ্কের ঋণ প্রদান। দুর্বল মূল্যায়ন, অপর্যাপ্ত তদারকি ও তত্ত্বাবধানের ফলে এসব ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণের অধিকাংশই মন্দ ঋণে পরিণত হয়েছিল যার উল্লেখযোগ্য অংশ ওই ব্যাংকগুলোর ঋণ কাঠামোতে এখনও বিদ্যমান রয়েছে।
No comments