এনটিসির নিয়ন্ত্রণে বনি ওয়ালিদ

ক্ষমতাচ্যুত লিবীয় নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির অনুগতদের দখলে থাকা সর্বশেষ শহর বনি ওয়ালিদের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে দাবি করেছে লিবিয়ার ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিলের (এনটিসি) অনুগত বাহিনী। শহরটির অবস্থান রাজধানী ত্রিপোলির প্রায় ১৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে। এনটিসির সামরিক কমান্ডাররা জানিয়েছেন, বনি ওয়ালিদে অভিযানে গাদ্দাফি অনুগতদের ব্যাপক প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়। এদিকে, গাদ্দাফি সমর্থিত একটি টেলিভিশন চ্যানেল গাদ্দাফি পুত্র খামিসের নিহত হওয়ার খবরটি নিশ্চিত করেছে। খবর বিবিসি, আলজাজিরা, এএফপি।এনটিসি বাহিনী গতকাল সোমবার দাবি করেছে তারা বনি ওয়ালিদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।


এ সময় গাদ্দাফি বাহিনীর সঙ্গে তাদের গোলাগুলি হয়। এতে কমপক্ষে ৭০ জন আহত হয়। এনটিসির জিল্গতান ব্রিগেডের কমান্ডার সাইফ আল লাসি জানান বনি ওয়ালিদ এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে। এখন তাদের সিরত দখলের পথ উন্মুক্ত। এনটিসির কমান্ডার জামাল সালেম বলেন, 'আমরা সকালে শহরের দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকা দিয়ে আক্রমণ করি। বিকেলে আমাদের লোকেরা শহরের ভেতরে ঢুকে পড়ে। তবে গাদ্দাফির অনুগত বাহিনী ব্যাপক প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।' সংঘর্ষে আহত হয়েছে ৭০ জন।
শহরটিতে গাদ্দাফির অনুগত প্রায় এক হাজার ৫০০ যোদ্ধা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর এনটিসি বাহিনী বনি ওয়ালিদ থেকে পিছু হটে।
এদিকে, গাদ্দাফির নিজ শহর সিরতে এখনও এনটিসি বাহিনীর সঙ্গে গাদ্দাফি বাহিনীর সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। এনটিসির দাবি, সিরতের অধিকাংশ এলাকাই তারা নিয়ন্ত্রণ করছে। বর্তমানে গাদ্দাফি বাহিনী শুধু বনি ওয়ালিদ ও সিরতের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে লড়াই চালিয়েছে যাচ্ছে। আগস্টের শেষ দিকে এনটিসির হামলায় খামিস গাদ্দাফি নিহত হয়। আরাই টেলিভিশন খামিসের নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে, ২৯ আগস্ট ত্রিপোলিতে লড়াইরত খামিস মারা গেছেন। এ সময় গাদ্দাফির গোয়েন্দা প্রধান আবদুল্লা সেনুসিও নিহত হয়।
গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে গাদ্দাফির প্রাসাদ :লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ক্ষমতাচ্যুত নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির বাসভবন বাব আল-আজিজিয়া। সশস্ত্র রক্ষীদের নিয়ে রোববার দুটি বুলডোজার গাদ্দাফি আমলের ওই বাসভবনের চারপাশের দেয়াল গুঁড়িয়ে দিতে শুরু করেছে। বুলডোজার বাব আল-আজিজিয়ায় হানা দিতেই লোকজন চিৎকার করে বলে ওঠে, আল্লাহ সর্বশক্তিমান, শহীদদের রক্তের বদলা নেওয়া হচ্ছে। আবার কেউ কেউ মেশিনগান হতে ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

No comments

Powered by Blogger.