আদর্শ টেস্ট ব্যাটিংয়ের এক দিন by উৎপল শুভ্র
নিস্তরঙ্গ এক দিনে যা একটু ঢেউ তুলল শাহরিয়ার নাফীসের রক্ত! ফিদেল এডওয়ার্ডসের বাউন্সার লাগার পর হেলমেট খুলে উবু হয়ে আছেন নাফীস। নাক দিয়ে টপটপ করে রক্ত ঝরছে মাঠে। প্রথম দিনের সবচেয়ে আবেদনময় ছবি কি এটিই? যে ছবি ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেই সব দিনও ফিরিয়ে আনল অনেকের মনে। যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে খেলা মানেই ছিল রক্তারক্তি ব্যাপার। অন্তহীন মিছিলের মতো চার ফাস্ট বোলার ছুটে আসছেন, আর তাঁদের হাত থেকে বেরোচ্ছে আগুনের গোলা। যখন রান করার চেয়ে শরীর বাঁচানোর চিন্তায় জর্জর ব্যাটসম্যান অনেক সময় হাফভলি পেলেও ড্রাইভ করতে ভুলে যেতেন!
শাহরিয়ার নাফীসের রক্তাক্ত নাক স্মৃতিতে ফিরিয়ে আনল মাইক গ্যাটিংয়ের থেঁতলানো নাকের সেই ছবিও। নাফীসের তো অল্পের ওপর দিয়েই গেছে। আজ তাঁর ব্যাটিং করা নিয়ে কোনো সংশয় নেই। খুব জরুরি হলে কালই হয়তো নেমে পড়তেন। আর গ্যাটিং মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর বল হাতে নিয়েই ম্যালকম মার্শাল তা ফেলে দিয়েছিলেন। তাতে যে গ্যাটিংয়ের নাকের হাড় গেঁথে ছিল!
ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্বর্ণযুগের টুকরো টুকরো ছবি হয়ে আছে ফাস্ট বোলার, বাউন্সার, রক্তাক্ত ব্যাটসম্যান...। সেই সব অনেক দিনই গত। তবে এডওয়ার্ডস মার্শালদেরই উত্তরাধিকারী। কখনো কখনো সেই স্মৃতি মনে করিয়ে দেবেন, আশ্চর্য কী!
তবে শেষ পর্যন্ত কালকের দিনের সবচেয়ে বড় ঘটনা বোধহয় এটিও নয়। নিস্তরঙ্গ ব্যাটিংই আসলে সবচেয়ে বেশি তরঙ্গ তোলার মতো। তাতেই যে আদর্শ টেস্ট ব্যাটিংয়ের এক প্রদর্শনী।
টেস্ট ক্রিকেটে টসে জিতে ব্যাটিং করতে নেমে এর চেয়ে স্মরণীয় দিনও কাটিয়েছে বাংলাদেশ। ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফতুল্লায় প্রথম দিন শেষে স্কোরবোর্ডটা এখনো অবিশ্বাস্য লাগে—৩৫৫/৫!
কাল রান ঠিক এক শ কম। স্ট্রোক প্লের ঝলকানিতে ফতুল্লা অবশ্যই এগিয়ে, তবে আদর্শ টেস্ট ব্যাটিংয়ের দৃষ্টিকোণ থেকে সাগরিকার ৪ উইকেটে ২৫৫ স্বমহিমায় উজ্জ্বল। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটিং দিবসও কি? বিতর্ক এড়াতে না হয় ‘অন্যতম সেরা’ই বলা যাক।
রান হচ্ছে-উইকেট পড়ছে...বাংলাদেশের ব্যাটিং দেখাটা খুব রোমাঞ্চকর। ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের দর্শকদের চোখে ‘ভেরি এক্সাইটিং’। কিন্তু এই প্রশংসায় কি খুশি হওয়া যায়? এই ব্যাটিং দর্শক মনোরঞ্জনের জন্য ভালো, কিন্তু দলের জন্য নয়। টেস্ট ম্যাচ ব্যাটিং স্ট্রোক ঝলমল ৩০-৪০ রানের চেয়ে বেশি কিছু দাবি করে। সেই দাবি কালকের মতো এত ভালোভাবে খুব কমই মেটাতে পেরেছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। ৯১ ওভারের দিনে বাজে শট কটি হয়েছে, তা হাতে গুনে বলে দেওয়া যাচ্ছে। ২৫৫ রানের অর্ধেকেরও বেশি (১৩৬) এসেছে দৌড়ে। টেস্টে এক দিনে ১০২টি সিঙ্গেল তো অভূতপূর্বই, এর আগে বাংলাদেশের পুরো ইনিংসেও সিঙ্গেলের সেঞ্চুরি হয়েছে কি না সন্দেহ!
কষ্ট করে ইনিংস গড়ে তোলার এই মানসিকতাই রানের দিক থেকে মামুলি দিনটিকে এমন উজ্জ্বল করে তুলছে। সবচেয়ে বড় উদাহরণ তামিম ইকবাল। ‘বাংলাদেশের শেবাগ’ বলে একটা পরিচিতি হয়ে গেছে ক্রিকেট-বিশ্বে। টেস্ট ইতিহাসে মাত্র চারজন ব্যাটসম্যান প্রথম দিন লাঞ্চের আগে সেঞ্চুরি করতে পেরেছেন। দেশের মাটিতে খেলা সর্বশেষ টেস্টে তামিম সেটিও প্রায় করেই ফেলেছিলেন। গত বছর মার্চে ঢাকায় ৭১ বলে ৮৫ রান করে যখন আউট হন, লাঞ্চের তখনো ৯ ওভার বাকি। কাল সেই তামিমই লাঞ্চের সময় ‘মাত্র’ ৩২ রানে অপরাজিত। সংবাদ সম্মেলনে আসার পথে স্কোরকার্ডটা হাতে নিয়ে বল-টল দেখলেনই না। দেখলেন সময়টা, ‘১৭০ মিনিট ব্যাটিং করেছি, তার মানে প্রায় তিন ঘণ্টা।’
১৭০ মিনিটে ১৪১ বল খেলে তামিমের ৫২। টেস্ট ক্রিকেটে তাঁর মন্থরতম হাফ সেঞ্চুরি। এটি বরং ইনিংসটির মহিমা আরও বাড়িয়েই দিচ্ছে। রকিবুল ৪১ রান করতে উইকেটে থেকেছেন সোয়া তিন ঘণ্টা। সাকিবের ৪০ এক ঘণ্টা ৩৬ মিনিটে। ৬৮ রানে অপরাজিত মুশফিকুরের তিন ঘণ্টা ১৩ মিনিট ব্যাটিং করা হয়ে গেছে।
আউট হয়ে যাওয়া ব্যাটসম্যানদের রানগুলো অবশ্যই আফসোস বাড়াচ্ছে। টেস্টে ধীরেসুস্থে ব্যাটিং করার মতো সেট হয়ে গেলে বড় ইনিংস খেলাটাও ব্যাটসম্যানদের অবশ্যপালনীয় কর্তব্য। রকিবুল আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের শিকার। বাকি তিনজনের মধ্যে ইমরুল কায়েস ছাড়া আর কেউ ভালো বলে আউট হয়েছেন, এটাও বলা যাচ্ছে না। তামিম-সাকিব তো বলতে গেলে স্যামুয়েলসকে উইকেট উপহারই দিয়ে এসেছেন। স্যামুয়েলসকে স্লগ-সুইপ করতে গিয়ে মিড উইকেটে বল তুলে দিলেন তামিম। সাকিব যে বলটিতে কাট করতে গিয়ে কট বিহাইন্ড, সেটি মারারই বল। তবে কাট করার মতো জায়গা বোধহয় সেটি দেয়নি।
আফসোস থাকবে। ৫২, ৪৯ ও ৭৯ রানের পরপর তিনটি পার্টনারশিপ তো দীর্ঘশ্বাসই! তবে ক্রিকেটে এমন হয়ই। বোলারের কৃতিত্বে যত উইকেট পড়ে, ব্যাটসম্যানদের ভুলে বোধহয় তার চেয়ে বেশিই পড়ে। প্রথম দিনের উজ্জ্বল ছবিগুলোই বরং মনে থাকুক।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্তেই ইতিবাচক যে বার্তা, দিন শেষে তা বড় একটা স্কোরের স্বপ্নে রূপান্তরিত। কোচ স্টুয়ার্ট ল প্রথম লক্ষ্য হিসেবে ঠিক করে দিয়েছিলেন ৯০ ওভার ব্যাটিং করা। তা করে ফেললে পরবর্তী লক্ষ্য ১২০ ওভার। প্রথমটি তো কালই হয়ে গেল। হাতে ৬ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয়টি নিয়েও সংশয় থাকা উচিত নয়।
তামিমের কথা তো বলাই হলো। পৌনে দুই বছর পর আবার টেস্ট খেলতে নেমে রকিবুলের স্বচ্ছন্দ ইনিংসটিও হাততালি পাওয়ার দাবিদার। সবচেয়ে বড় হাততালিটা অবশ্যই মুশফিকুর রহিমের জন্য বরাদ্দ থাকবে। অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর তিন ধরনের ক্রিকেট মিলিয়ে তাঁর পাঁচটি ইনিংস ৪১*, ২১, ৬৯, ১০*, ৬৮*। টেস্টের প্রথম দিন শেষে অধিনায়ক মুশফিকের ব্যাটিং গড় ১০৪.৫!
মুশফিক এখনো আছেন। দিন শেষে ৩৬ মিনিট তাঁকে সঙ্গ দেওয়া নাঈমকে নিয়ে আজ আবার নতুন দিনের শুরু। প্রথম দিনের পরিশ্রমের সুফল তুলে নেওয়ার দিনও। বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা জানেন না এমন নয়। তার পরও স্টুয়ার্ট ল নিশ্চয়ই মনে করিয়ে দিয়েছেন, টেস্ট স্প্রিন্ট নয়, দূরপাল্লার দৌড়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্বর্ণযুগের টুকরো টুকরো ছবি হয়ে আছে ফাস্ট বোলার, বাউন্সার, রক্তাক্ত ব্যাটসম্যান...। সেই সব অনেক দিনই গত। তবে এডওয়ার্ডস মার্শালদেরই উত্তরাধিকারী। কখনো কখনো সেই স্মৃতি মনে করিয়ে দেবেন, আশ্চর্য কী!
তবে শেষ পর্যন্ত কালকের দিনের সবচেয়ে বড় ঘটনা বোধহয় এটিও নয়। নিস্তরঙ্গ ব্যাটিংই আসলে সবচেয়ে বেশি তরঙ্গ তোলার মতো। তাতেই যে আদর্শ টেস্ট ব্যাটিংয়ের এক প্রদর্শনী।
টেস্ট ক্রিকেটে টসে জিতে ব্যাটিং করতে নেমে এর চেয়ে স্মরণীয় দিনও কাটিয়েছে বাংলাদেশ। ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফতুল্লায় প্রথম দিন শেষে স্কোরবোর্ডটা এখনো অবিশ্বাস্য লাগে—৩৫৫/৫!
কাল রান ঠিক এক শ কম। স্ট্রোক প্লের ঝলকানিতে ফতুল্লা অবশ্যই এগিয়ে, তবে আদর্শ টেস্ট ব্যাটিংয়ের দৃষ্টিকোণ থেকে সাগরিকার ৪ উইকেটে ২৫৫ স্বমহিমায় উজ্জ্বল। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটিং দিবসও কি? বিতর্ক এড়াতে না হয় ‘অন্যতম সেরা’ই বলা যাক।
রান হচ্ছে-উইকেট পড়ছে...বাংলাদেশের ব্যাটিং দেখাটা খুব রোমাঞ্চকর। ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের দর্শকদের চোখে ‘ভেরি এক্সাইটিং’। কিন্তু এই প্রশংসায় কি খুশি হওয়া যায়? এই ব্যাটিং দর্শক মনোরঞ্জনের জন্য ভালো, কিন্তু দলের জন্য নয়। টেস্ট ম্যাচ ব্যাটিং স্ট্রোক ঝলমল ৩০-৪০ রানের চেয়ে বেশি কিছু দাবি করে। সেই দাবি কালকের মতো এত ভালোভাবে খুব কমই মেটাতে পেরেছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। ৯১ ওভারের দিনে বাজে শট কটি হয়েছে, তা হাতে গুনে বলে দেওয়া যাচ্ছে। ২৫৫ রানের অর্ধেকেরও বেশি (১৩৬) এসেছে দৌড়ে। টেস্টে এক দিনে ১০২টি সিঙ্গেল তো অভূতপূর্বই, এর আগে বাংলাদেশের পুরো ইনিংসেও সিঙ্গেলের সেঞ্চুরি হয়েছে কি না সন্দেহ!
কষ্ট করে ইনিংস গড়ে তোলার এই মানসিকতাই রানের দিক থেকে মামুলি দিনটিকে এমন উজ্জ্বল করে তুলছে। সবচেয়ে বড় উদাহরণ তামিম ইকবাল। ‘বাংলাদেশের শেবাগ’ বলে একটা পরিচিতি হয়ে গেছে ক্রিকেট-বিশ্বে। টেস্ট ইতিহাসে মাত্র চারজন ব্যাটসম্যান প্রথম দিন লাঞ্চের আগে সেঞ্চুরি করতে পেরেছেন। দেশের মাটিতে খেলা সর্বশেষ টেস্টে তামিম সেটিও প্রায় করেই ফেলেছিলেন। গত বছর মার্চে ঢাকায় ৭১ বলে ৮৫ রান করে যখন আউট হন, লাঞ্চের তখনো ৯ ওভার বাকি। কাল সেই তামিমই লাঞ্চের সময় ‘মাত্র’ ৩২ রানে অপরাজিত। সংবাদ সম্মেলনে আসার পথে স্কোরকার্ডটা হাতে নিয়ে বল-টল দেখলেনই না। দেখলেন সময়টা, ‘১৭০ মিনিট ব্যাটিং করেছি, তার মানে প্রায় তিন ঘণ্টা।’
১৭০ মিনিটে ১৪১ বল খেলে তামিমের ৫২। টেস্ট ক্রিকেটে তাঁর মন্থরতম হাফ সেঞ্চুরি। এটি বরং ইনিংসটির মহিমা আরও বাড়িয়েই দিচ্ছে। রকিবুল ৪১ রান করতে উইকেটে থেকেছেন সোয়া তিন ঘণ্টা। সাকিবের ৪০ এক ঘণ্টা ৩৬ মিনিটে। ৬৮ রানে অপরাজিত মুশফিকুরের তিন ঘণ্টা ১৩ মিনিট ব্যাটিং করা হয়ে গেছে।
আউট হয়ে যাওয়া ব্যাটসম্যানদের রানগুলো অবশ্যই আফসোস বাড়াচ্ছে। টেস্টে ধীরেসুস্থে ব্যাটিং করার মতো সেট হয়ে গেলে বড় ইনিংস খেলাটাও ব্যাটসম্যানদের অবশ্যপালনীয় কর্তব্য। রকিবুল আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের শিকার। বাকি তিনজনের মধ্যে ইমরুল কায়েস ছাড়া আর কেউ ভালো বলে আউট হয়েছেন, এটাও বলা যাচ্ছে না। তামিম-সাকিব তো বলতে গেলে স্যামুয়েলসকে উইকেট উপহারই দিয়ে এসেছেন। স্যামুয়েলসকে স্লগ-সুইপ করতে গিয়ে মিড উইকেটে বল তুলে দিলেন তামিম। সাকিব যে বলটিতে কাট করতে গিয়ে কট বিহাইন্ড, সেটি মারারই বল। তবে কাট করার মতো জায়গা বোধহয় সেটি দেয়নি।
আফসোস থাকবে। ৫২, ৪৯ ও ৭৯ রানের পরপর তিনটি পার্টনারশিপ তো দীর্ঘশ্বাসই! তবে ক্রিকেটে এমন হয়ই। বোলারের কৃতিত্বে যত উইকেট পড়ে, ব্যাটসম্যানদের ভুলে বোধহয় তার চেয়ে বেশিই পড়ে। প্রথম দিনের উজ্জ্বল ছবিগুলোই বরং মনে থাকুক।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্তেই ইতিবাচক যে বার্তা, দিন শেষে তা বড় একটা স্কোরের স্বপ্নে রূপান্তরিত। কোচ স্টুয়ার্ট ল প্রথম লক্ষ্য হিসেবে ঠিক করে দিয়েছিলেন ৯০ ওভার ব্যাটিং করা। তা করে ফেললে পরবর্তী লক্ষ্য ১২০ ওভার। প্রথমটি তো কালই হয়ে গেল। হাতে ৬ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয়টি নিয়েও সংশয় থাকা উচিত নয়।
তামিমের কথা তো বলাই হলো। পৌনে দুই বছর পর আবার টেস্ট খেলতে নেমে রকিবুলের স্বচ্ছন্দ ইনিংসটিও হাততালি পাওয়ার দাবিদার। সবচেয়ে বড় হাততালিটা অবশ্যই মুশফিকুর রহিমের জন্য বরাদ্দ থাকবে। অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর তিন ধরনের ক্রিকেট মিলিয়ে তাঁর পাঁচটি ইনিংস ৪১*, ২১, ৬৯, ১০*, ৬৮*। টেস্টের প্রথম দিন শেষে অধিনায়ক মুশফিকের ব্যাটিং গড় ১০৪.৫!
মুশফিক এখনো আছেন। দিন শেষে ৩৬ মিনিট তাঁকে সঙ্গ দেওয়া নাঈমকে নিয়ে আজ আবার নতুন দিনের শুরু। প্রথম দিনের পরিশ্রমের সুফল তুলে নেওয়ার দিনও। বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা জানেন না এমন নয়। তার পরও স্টুয়ার্ট ল নিশ্চয়ই মনে করিয়ে দিয়েছেন, টেস্ট স্প্রিন্ট নয়, দূরপাল্লার দৌড়।
No comments