হাক্কানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযান চলছে : হিলারি
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে হাক্কানি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযান শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে সন্ত্রাসের 'নিরাপদ স্বর্গ' ধ্বংসে পাকিস্তানকে আরো সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি। কাবুলে গতকাল বৃহস্পতিবার আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে হিলারি এসব কথা বলেন।হিলারি তালেবানের প্রতি আফগানিস্তানের শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের অংশ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, অন্যথায় 'অব্যাহত হামলা মোকাবিলা' করতে হবে তাদের। গত বুধবার রাতে এক আকস্মিক সফরে আফগানিস্তানে যান হিলারি। গতকাল রাতেই তাঁর পাকিস্তানে যাওয়ার কথা।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ প্রধান ডেভিড পেট্রাউস ও জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের সভাপতি জেনারেল মার্টিন ডেম্পসিও তাঁর সঙ্গে যাবেন।
সংবাদ সম্মেলনে কারজাই ঐক্য প্রক্রিয়ায় তালেবানদের অংশগ্রহণের ব্যাপারে হতাশা প্রকাশ করেন। তবে হিলারি বলেন, 'তালেবানের ওপর চাপ বাড়াচ্ছি আমরা।' তিনি আরো বলেন, 'হাক্কানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছি আমরা। সম্প্রতিক সময়ের মধ্যে আফগানিস্তানের ভেতর এটাই সবচেয়ে বড় ধরনের অভিযান। সম্প্রতি কাবুলে মার্কিন দূতাবাসের সামনে চালানো হামলার সঙ্গে এই গ্রুপটি জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।' হিলারি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে নতুন করে সহযোগিতা গড়ে তোলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, পাকিস্তানকে অবশ্যই 'সমাধানের অংশ হতে হবে।' তিনি বলেন, 'আমরা পাকিস্তানের ওপর প্রবল চাপ দিতে চাই। আমাদের বার্তা স্পষ্ট, আমরা লড়াই করব, আলোচনাও করব। তারা (জঙ্গিরা) আমাদের সহযোগিতা করতে পারে আবার প্রতিবন্ধকতাও সৃষ্টি করতে পারে। তবে আমরা থামব না।' তিনি বলেন, 'জঙ্গিদের সহিংসতা বন্ধ করতে হবে, আল-কায়েদাকে ছাড়তে হবে এবং নারী ও সংখ্যালঘুদের অধিকারসহ আফগানিস্তানের সংবিধান মেনে নিতে হবে। ঐক্য সম্ভব। প্রকৃতপক্ষে এটাই হচ্ছে আফগানিস্তান ও ওই অঞ্চলের জন্য সবচেয়ে আশাপ্রদ বিষয়।' তিনি বলেন, ২০১৪ সালের মধ্যে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে দেশটি থেকে সেনা প্রত্যাহারের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট বুরহানুদ্দিন রাব্বানি বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হওয়ার পর তালেবানের সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়ার ব্যাপারে এক ধরনের অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়। মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, এই পরিস্থিতিতে কারজাই সরকারকে অব্যাহত সমর্থন দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন হিলারি। রাব্বানির ছেলের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
সংবাদ সম্মেলনে কারজাই ঐক্য প্রক্রিয়ায় তালেবানদের অংশগ্রহণের ব্যাপারে হতাশা প্রকাশ করেন। তবে হিলারি বলেন, 'তালেবানের ওপর চাপ বাড়াচ্ছি আমরা।' তিনি আরো বলেন, 'হাক্কানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছি আমরা। সম্প্রতিক সময়ের মধ্যে আফগানিস্তানের ভেতর এটাই সবচেয়ে বড় ধরনের অভিযান। সম্প্রতি কাবুলে মার্কিন দূতাবাসের সামনে চালানো হামলার সঙ্গে এই গ্রুপটি জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।' হিলারি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে নতুন করে সহযোগিতা গড়ে তোলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, পাকিস্তানকে অবশ্যই 'সমাধানের অংশ হতে হবে।' তিনি বলেন, 'আমরা পাকিস্তানের ওপর প্রবল চাপ দিতে চাই। আমাদের বার্তা স্পষ্ট, আমরা লড়াই করব, আলোচনাও করব। তারা (জঙ্গিরা) আমাদের সহযোগিতা করতে পারে আবার প্রতিবন্ধকতাও সৃষ্টি করতে পারে। তবে আমরা থামব না।' তিনি বলেন, 'জঙ্গিদের সহিংসতা বন্ধ করতে হবে, আল-কায়েদাকে ছাড়তে হবে এবং নারী ও সংখ্যালঘুদের অধিকারসহ আফগানিস্তানের সংবিধান মেনে নিতে হবে। ঐক্য সম্ভব। প্রকৃতপক্ষে এটাই হচ্ছে আফগানিস্তান ও ওই অঞ্চলের জন্য সবচেয়ে আশাপ্রদ বিষয়।' তিনি বলেন, ২০১৪ সালের মধ্যে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে দেশটি থেকে সেনা প্রত্যাহারের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট বুরহানুদ্দিন রাব্বানি বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হওয়ার পর তালেবানের সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়ার ব্যাপারে এক ধরনের অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়। মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, এই পরিস্থিতিতে কারজাই সরকারকে অব্যাহত সমর্থন দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন হিলারি। রাব্বানির ছেলের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
No comments