শপথ নিলেন ১০ অতিরিক্ত বিচারপতি-সমিতি সংবর্ধনা দেয়নি
শপথ নিয়েছেন হাইকোর্টের নবনিযুক্ত ১০ অতিরিক্ত বিচারপতি। প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে জাজেস লাউঞ্জে তাঁদের শপথ পড়ান। সে সময় আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন।নবনিযুক্ত বিচারপতিরা হলেন এম এইচ নুরুল হুদা জায়গীরদার, কে এম কামরুল কাদের রিপন, মজিবুর রহমান মিয়া, মোস্তফা জামান, মোহাম্মদ উল্লাহ, মো. খুরশীদ আলম সরকার, এ কে এম শহীদুল হক, শহীদুল করিম, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান।
এদিকে নবনিযুক্ত বিচারপতিদের সংবর্ধনা দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। আপিল বিভাগের নির্দেশনা মেনে হাইকোর্টের বিচারপতি নিয়োগের নীতিমালা তৈরি না করা পর্যন্ত নতুন আর কোনো বিচারপতিকে সংবর্ধনা না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন।
অবশ্য কার্যনির্বাহী কমিটির সরকার সমর্থক তিন সদস্যের নেতৃত্বে আইনজীবী সমিতির একাংশ নতুন বিচারপতিদের সংবর্ধনা দেয়। কার্যনির্বাহী কমিটির ১৪ সদস্যের মধ্যে সভাপতি-সম্পাদকসহ ১১টি পদ বিএনপি সমর্থকদের।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সমিতির সংবর্ধনা না দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, সমিতি একটি রাজনৈতিক দলের মুখপাত্র হয়ে তাদের উদ্দেশ্য পূরণের জন্য এটা করছে। নিয়োগ নীতিমালা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা কোনো ক্যাডার সার্ভিস নয় যে নীতিমালা থাকতে হবে।
গত ৪ অক্টোবর ও ১৯ অক্টোবর ১০ অতিরিক্ত বিচারপতিকে দুই বছরের জন্য নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান। গতকাল শপথের পর থেকে এ নিয়োগ কার্যকর হয়েছে। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার এ কে এম শামসুল ইসলাম। শপথের পর দুপুর ১২টা থেকে নবনিযুক্ত বিচারপতিরা এজলাসে বসেন এবং বিচার কাজ পরিচালনা করেন।
নতুন বিচারপতিরা এজলাসে বসার পর অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের পক্ষ থেকে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে সমিতির সহসভাপতি এ কে এম জগলুল হায়দার আফ্রিক তাঁদের সংবর্ধনা দেন। তাঁরা সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে গিয়ে বিচারপতিদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন এবং তাঁদের কাছ থেকে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।
দুপুরে সমিতি ভবনের দক্ষিণ হলে প্রেস ব্রিফিং করেন সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন ও সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল। খন্দকার মাহবুব বলেন, 'নীতিমালা না করেই বিচারক নিয়োগ করা হচ্ছে। এভাবে নিয়োগ করায় স্বচ্ছতা থাকে না। ব্যক্তিগতভাবে নতুন বিচারকদের বিরুদ্ধে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। নীতিমালা না হওয়া পর্যন্ত বিচারক নিয়োগ করা হলে ভবিষ্যতেও সমিতির পক্ষ থেকে নতুন বিচারকদের অভিনন্দন জানানো হবে না।'
পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম তাঁর কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, সমিতির সভাপতি বিচারকদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে বিচারালয়কে উত্তপ্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। নীতিমালা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'এ বিষয়ে রাজনৈতিক দল বা সংসদ সিদ্ধান্ত নেবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, সাংবিধানিক পদে নিয়োগে নীতিমালা দিয়ে ঘেরাটোপে আবদ্ধ করা ঠিক হবে না। সর্বোচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগের নীতিমালা তৈরি করে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না।'
অবশ্য কার্যনির্বাহী কমিটির সরকার সমর্থক তিন সদস্যের নেতৃত্বে আইনজীবী সমিতির একাংশ নতুন বিচারপতিদের সংবর্ধনা দেয়। কার্যনির্বাহী কমিটির ১৪ সদস্যের মধ্যে সভাপতি-সম্পাদকসহ ১১টি পদ বিএনপি সমর্থকদের।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সমিতির সংবর্ধনা না দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, সমিতি একটি রাজনৈতিক দলের মুখপাত্র হয়ে তাদের উদ্দেশ্য পূরণের জন্য এটা করছে। নিয়োগ নীতিমালা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা কোনো ক্যাডার সার্ভিস নয় যে নীতিমালা থাকতে হবে।
গত ৪ অক্টোবর ও ১৯ অক্টোবর ১০ অতিরিক্ত বিচারপতিকে দুই বছরের জন্য নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান। গতকাল শপথের পর থেকে এ নিয়োগ কার্যকর হয়েছে। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার এ কে এম শামসুল ইসলাম। শপথের পর দুপুর ১২টা থেকে নবনিযুক্ত বিচারপতিরা এজলাসে বসেন এবং বিচার কাজ পরিচালনা করেন।
নতুন বিচারপতিরা এজলাসে বসার পর অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের পক্ষ থেকে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে সমিতির সহসভাপতি এ কে এম জগলুল হায়দার আফ্রিক তাঁদের সংবর্ধনা দেন। তাঁরা সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে গিয়ে বিচারপতিদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন এবং তাঁদের কাছ থেকে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।
দুপুরে সমিতি ভবনের দক্ষিণ হলে প্রেস ব্রিফিং করেন সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন ও সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল। খন্দকার মাহবুব বলেন, 'নীতিমালা না করেই বিচারক নিয়োগ করা হচ্ছে। এভাবে নিয়োগ করায় স্বচ্ছতা থাকে না। ব্যক্তিগতভাবে নতুন বিচারকদের বিরুদ্ধে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। নীতিমালা না হওয়া পর্যন্ত বিচারক নিয়োগ করা হলে ভবিষ্যতেও সমিতির পক্ষ থেকে নতুন বিচারকদের অভিনন্দন জানানো হবে না।'
পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম তাঁর কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, সমিতির সভাপতি বিচারকদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে বিচারালয়কে উত্তপ্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। নীতিমালা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'এ বিষয়ে রাজনৈতিক দল বা সংসদ সিদ্ধান্ত নেবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, সাংবিধানিক পদে নিয়োগে নীতিমালা দিয়ে ঘেরাটোপে আবদ্ধ করা ঠিক হবে না। সর্বোচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগের নীতিমালা তৈরি করে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না।'
No comments