হতাশা যেখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের আশীর্বাদ
সেবার বাংলাদেশ অধিনায়ক ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন পাংশু মুখে। নতজানু, কোণঠাসা, হতোদ্যম। ৫৮ রানে অল আউট হওয়ার লজ্জায় সেই কুঁকড়ে যাওয়াই তো স্বাভাবিক।অথচ এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক সেই স্বাভাবিকতার ধারও ধারলেন না। ৬১ রানে অল আউট হয়েও হাসিতে উদ্ভাসিত ছিল ড্যারেন সামির চোখ-মুখ। বিস্ময় ছড়িয়েছিল তা। সেই বিস্ময় কাটল কাল টেস্ট-পূর্ব আলাপচারিতায়। আদ্রিয়ান বারাথের ইনজুরিতে ইনফর্ম ওপেনার লেন্ডল সিমন্সের টেস্ট স্কোয়াডে থেকে যাওয়াটা আশীর্বাদ কি না, এমন প্রশ্নে সামির উত্তরটা শুনুন, 'এই খেলায় প্রতিটি হতাশাই কোনো না কোনোভাবে আশীর্বাদ হয়ে যায়। জীবনটাকেও আমি ঠিক সেভাবেই দেখি।
সেভাবেই আমি জীবন চালাই। দেখলেন না, বারাথের ইনজুরির জন্য যেমন সত্যি সত্যি আমরা সিমন্সের মতো ফর্মে থাকা একজনকে পেয়ে গেলাম।' সামির এই কথার গূঢ়-তত্ত্ব ক্যারিবিয়ানদের জীবনাচরণেই নিহিত। ক্রিকেটই বা এর বাইরে যাবে কী করে! জীবনের আনন্দ-স্ফূর্তিকেই তারা দেখে বড় করে, হাঁসের গায়ের পানির মতো হতাশা ঝেড়ে ফেলতে সময় নেয় না।
তাই বলে যেন ভেবে বসবেন না বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজকে খুব হালকাভাবে নিচ্ছে বাংলাদেশ। এর সুযোগই যে নেই, সুযোগ পেলেই সেটি মনে করিয়ে দেন সামি। ভুল বলেননি। বাংলাদেশ না হয় ২০০০ সালে ১০ নভেম্বর টেস্ট অভিষেকের পর ৬৯ টেস্টের মধ্যে জিতেছে মাত্র তিনটি; ছয় ড্রর পাশাপাশি হেরেছে ৬০ ম্যাচে। কিন্তু একদা পরাক্রমশালী ক্যারিবিয়ান সাম্রাজ্যও তো এই সময় ঘুণে খেয়ে খেয়ে একেবারে নিঃশেষ করে ফেলেছে। বাংলাদেশের টেস্ট অভিষেকের পর এই ১০ বছরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ খেলেছে ১০৯ টেস্ট। তাতে ৩৪ ড্র, ৬০ হারের সঙ্গে তারা জিতেছে মাত্র ১৫ টেস্টে। ২০০৬ সালের শেষ পর্যন্ত ব্রায়ান লারার মতো কিংবদন্তি ছিলেন বলে রক্ষা! ম্যাচের পর ম্যাচ তাদের হার থেকে বাঁচিয়েছেন এই ক্যালিপসো সুরের জাদুকর। লারার অবসরের পর এই সাড়ে চার বছরে খেলা ৩৭ টেস্টে মাত্র চার জয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের। কাউকে হালকাভাবে নেওয়ার অবস্থায় কিভাবে থাকে তারা!
৬১-কাণ্ডের পর তো আরো নেই। সেটি সেদিনও বলেছিলেন, বললেন কালও, 'আমরা দেখলাম বাংলাদেশের কী সামর্থ্য! এখানে আসার সময়ই জানতাম, তারা ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে। সেদিন সেটি তারা করে দেখিয়েছে। এখন টেস্ট স্কোয়াডে চন্দরপাল-এডওয়ার্ডসের মতো বেশ কিছু অভিজ্ঞ ক্রিকেটার এসেছে। ৬১ রানের ওই ঘটনাকে পেছনে ফেলে চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত।' জমজমাট এক সিরিজের প্রত্যাশাও করেছেন তিনি, 'দুটি দলই যদি নিজেদের সামর্থ্যের পুরোটা দিয়ে খেলতে পারে, তাহলে দারুণ এক সিরিজ হবে। আমি বারবার বলছি, বাংলাদেশকে হালকাভাবে আমরা নিচ্ছি না। টেস্ট খেলার জন্য আমরা মুখিয়ে আছি।'
চট্টগ্রামের ওয়ানডেতে খুব মৃদৃস্বরে হলেও প্রশ্ন উঠেছিল উইকেট নিয়ে। কিন্তু ৬১ রানে অল আউট হয়ে গেছে যে দল, সে দলের অধিনায়ক কিন্তু সেটিকে সামনে আনতে নারাজ। আর টেস্টের জন্যও ভালো উইকেটের আশা সামির, 'আমরাই আমাদের স্বাভাবিক খেলাটা সেদিন খেলতে পারিনি। টেস্টের উইকেটও দেখলাম ওয়ানডেরটির মতোই। সেখানে কেমার রোচ গতি পেয়েছিল, বাংলাদেশি স্পিনাররা পেয়েছিল টার্ন। আমার মনে হয়, দুই দলের ক্রিকেটারদের স্কিলের দারুণ পরীক্ষা হবে এই উইকেটে।'
ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই দলের ব্যাটিং কোচ হিসেবে আছেন কিংবদন্তি ডেসমন্ড হেইন্স। মূল কোচ ওটিস গিবসন এবং সহকারী কোচ ডেভিড উইলিয়ামস নিজেরা গড়পড়তা ক্রিকেটার ছিলেন, তবে ক্যারিবীয়-রাজত্বের শেষ সময়ের সাক্ষী তো তাঁরা। এঁদের নিয়ে তাই পুরনো দিনে ফেরার স্বপ্ন আঁকছেন সামি। টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে সেটিই মনে করিয়ে দিলেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক, 'এটি আমাদের সবার জন্য আরেকটি সুযোগ। আমরা পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যাচ্ছি। সাম্প্রতিক সময়ে আমরা পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ ড্র করেছি, ভারতের সঙ্গে লড়েছি দারুণভাবে। আমরা তাই কক্ষপথেই আছি। এখন সবার সামনে সুযোগ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট এবং নিজেদের জন্য পারফরম করার।'
আর টেস্ট সিরিজে সেটি ঠেকানোই তো বাংলাদেশের মিশন!
তাই বলে যেন ভেবে বসবেন না বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজকে খুব হালকাভাবে নিচ্ছে বাংলাদেশ। এর সুযোগই যে নেই, সুযোগ পেলেই সেটি মনে করিয়ে দেন সামি। ভুল বলেননি। বাংলাদেশ না হয় ২০০০ সালে ১০ নভেম্বর টেস্ট অভিষেকের পর ৬৯ টেস্টের মধ্যে জিতেছে মাত্র তিনটি; ছয় ড্রর পাশাপাশি হেরেছে ৬০ ম্যাচে। কিন্তু একদা পরাক্রমশালী ক্যারিবিয়ান সাম্রাজ্যও তো এই সময় ঘুণে খেয়ে খেয়ে একেবারে নিঃশেষ করে ফেলেছে। বাংলাদেশের টেস্ট অভিষেকের পর এই ১০ বছরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ খেলেছে ১০৯ টেস্ট। তাতে ৩৪ ড্র, ৬০ হারের সঙ্গে তারা জিতেছে মাত্র ১৫ টেস্টে। ২০০৬ সালের শেষ পর্যন্ত ব্রায়ান লারার মতো কিংবদন্তি ছিলেন বলে রক্ষা! ম্যাচের পর ম্যাচ তাদের হার থেকে বাঁচিয়েছেন এই ক্যালিপসো সুরের জাদুকর। লারার অবসরের পর এই সাড়ে চার বছরে খেলা ৩৭ টেস্টে মাত্র চার জয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের। কাউকে হালকাভাবে নেওয়ার অবস্থায় কিভাবে থাকে তারা!
৬১-কাণ্ডের পর তো আরো নেই। সেটি সেদিনও বলেছিলেন, বললেন কালও, 'আমরা দেখলাম বাংলাদেশের কী সামর্থ্য! এখানে আসার সময়ই জানতাম, তারা ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে। সেদিন সেটি তারা করে দেখিয়েছে। এখন টেস্ট স্কোয়াডে চন্দরপাল-এডওয়ার্ডসের মতো বেশ কিছু অভিজ্ঞ ক্রিকেটার এসেছে। ৬১ রানের ওই ঘটনাকে পেছনে ফেলে চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত।' জমজমাট এক সিরিজের প্রত্যাশাও করেছেন তিনি, 'দুটি দলই যদি নিজেদের সামর্থ্যের পুরোটা দিয়ে খেলতে পারে, তাহলে দারুণ এক সিরিজ হবে। আমি বারবার বলছি, বাংলাদেশকে হালকাভাবে আমরা নিচ্ছি না। টেস্ট খেলার জন্য আমরা মুখিয়ে আছি।'
চট্টগ্রামের ওয়ানডেতে খুব মৃদৃস্বরে হলেও প্রশ্ন উঠেছিল উইকেট নিয়ে। কিন্তু ৬১ রানে অল আউট হয়ে গেছে যে দল, সে দলের অধিনায়ক কিন্তু সেটিকে সামনে আনতে নারাজ। আর টেস্টের জন্যও ভালো উইকেটের আশা সামির, 'আমরাই আমাদের স্বাভাবিক খেলাটা সেদিন খেলতে পারিনি। টেস্টের উইকেটও দেখলাম ওয়ানডেরটির মতোই। সেখানে কেমার রোচ গতি পেয়েছিল, বাংলাদেশি স্পিনাররা পেয়েছিল টার্ন। আমার মনে হয়, দুই দলের ক্রিকেটারদের স্কিলের দারুণ পরীক্ষা হবে এই উইকেটে।'
ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই দলের ব্যাটিং কোচ হিসেবে আছেন কিংবদন্তি ডেসমন্ড হেইন্স। মূল কোচ ওটিস গিবসন এবং সহকারী কোচ ডেভিড উইলিয়ামস নিজেরা গড়পড়তা ক্রিকেটার ছিলেন, তবে ক্যারিবীয়-রাজত্বের শেষ সময়ের সাক্ষী তো তাঁরা। এঁদের নিয়ে তাই পুরনো দিনে ফেরার স্বপ্ন আঁকছেন সামি। টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে সেটিই মনে করিয়ে দিলেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক, 'এটি আমাদের সবার জন্য আরেকটি সুযোগ। আমরা পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যাচ্ছি। সাম্প্রতিক সময়ে আমরা পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ ড্র করেছি, ভারতের সঙ্গে লড়েছি দারুণভাবে। আমরা তাই কক্ষপথেই আছি। এখন সবার সামনে সুযোগ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট এবং নিজেদের জন্য পারফরম করার।'
আর টেস্ট সিরিজে সেটি ঠেকানোই তো বাংলাদেশের মিশন!
No comments