হুমকির মুখে কুয়েতে ব্রিটিশ দূতাবাস বন্ধ

কুয়েতে ব্রিটিশ দূতাবাসের কাজ সাময়িকভাবে স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। স্থানীয় সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর হামলার হুমকি বেড়ে যাওয়ায় দূতাবাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। দূতাবাস থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।বিবৃতিতে বলা হয়, 'ক্রমবর্ধমান হুমকির কারণে ১৯ অক্টোবর থেকে আমরা সাময়িকভাবে দূতাবাসের সেবা বন্ধ রাখছি। সরাসরি দূতাবাসকেই হুমকি দেওয়া হয়েছে। এ কারণে কুয়েতে ব্রিটিশ স্বার্থসংশ্লিষ্ট স্থানগুলোতেও হামলার আশঙ্কা আমরা বাদ দিতে পারি না।'


কুয়েতে কর্মরত ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসাকেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা যাচাই করে নেওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কুয়েতে গতকাল সরকারি কর্মদিবস হলেও ব্রিটিশ দূতাবাস বন্ধ ছিল।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, 'কুয়েতের সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর দিক থেকে এসব হুমকি দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমা ও ইউরোপীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট স্থান, আবাসিক ভবন, সামরিক, তেল, স্থল ও বিমান পরিবহনের ওপরও হামলার হুমকি রয়েছে।' কুয়েতের জলসীমা দিয়ে যাতায়াতের সময়ও ব্রিটিশ নাগরিকদের সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রায় ২০ হাজার ব্রিটিশ নাগরিক কুয়েতে রয়েছে।
২০০৫ সালে আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে এ পর্যন্ত কুয়েতে কোনো জঙ্গি সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে কুয়েতের বিরোধীদলীয় এমপি ও সমাজকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন। গত বুধবার সরকারবিরোধী এক মিছিল থেকে এ দাবি জানানো হয়। প্রায় ১০ হাজার লোক ওই মিছিলে অংশ নেয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ নাসের মোহাম্মদ আল আহমাদ আল সাবাহর ওপর সীমাহীন দুর্নীতি এবং সরকারি সেবার মানের অবনতির অভিযোগ তুলেছে কুয়েতের বিরোধী দল। শেখ নাসের ২০০৬ সালে ক্ষমতায় আসেন। বিরোধী দলগুলোর অনেক দিন ধরেই তাঁকে পদত্যাগের ব্যাপারে চাপ দিচ্ছে। তবে পার্লামেন্টে এ-সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি আস্থা ভোটে উৎরে গিয়ে এখনো ক্ষমতা ধরে রেখেছেন শেখ নাসের। সূত্র : এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.