সিএসইতে ট্রেডিং সফটওয়্যার এনজিটিএসের যাত্রা শুরু-প্রথম দিনে লেনদেন ২০ কোটি টাকা
বেঙ্মিকো ফার্মার ৫০টি শেয়ার লেনদেনের মধ্য দিয়ে গতকাল চট্টগ্রাম স্টক এঙ্চেঞ্জের (সিএসই) নতুন ট্রেডিং সফটওয়্যার নেঙ্ট জেনারেশন ট্রেডিং সিস্টেমের (এনজিটিএস) যাত্রা শুরু হলো। এনজিটিএস সিস্টেমে প্রথম ক্রেতা ছিল লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজ। এর আগে সকাল ঠিক ১১টায় সিএসই সভাপতি ফখর উদ্দিন আলী আহমেদ ঘণ্টা বাজিয়ে বহু আকাঙ্ক্ষিত এ অত্যাধুনিক সফটওয়্যারের উদ্বোধন করেন। পুঁজিবাজারে শেয়ার লেনদেন বা তারল্য বৃদ্ধি, লেনদেন পদ্ধতির অধিকতর সহজীকরণ এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই সিএসই এই যুগোপযোগী ট্রেডিং সফটওয়্যার প্রবর্তন করেছে। এর মাধ্যমে ১৩ বছরের পুরনো ভেক্টর সফটওয়্যারে কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘটল।
তবে এনজিটিএসের যাত্রার দিন বৃহস্পতিবারের তেজি বাজারের মধ্যেও মাত্র ২০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে, যা গত তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন। এর আগে ২০০৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর এরচেয়ে কম ১৮ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছিল সিএসইতে। অনেক ব্রোকারেজ হাউস থেকেই সিএসই ট্রেডিং সফটওয়্যারে গতকাল লেনদেনে সমস্যা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিশেষ করে প্রথম এক ঘণ্টায় শেয়ার লেনদেনে বেশি সমস্যা হয়েছে বলে তাঁরা জানান।
তবে সিএসই সূত্রে জানা গেছে, নতুন সফটওয়্যারে ট্রেডাররা অনভ্যস্থ হওয়ার কারণে প্রথম কয়েক দিন লেনদেনে সমস্যা হতে পারে। তবে এ সমস্যা দ্রুত কাটিয়ে উঠবে। গতকাল প্রথম সোয়া এক ঘণ্টায় দুই কোটি ৫৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হলেও শেষদিকে এসে লেনদেনে কিছুটা গতি আসে। প্রথম দিন প্রাথমিক সমস্যা মোকাবিলার জন্য চট্টগ্রাম ছাড়াও ঢাকা ও সিলেটে সিএসইর হেল্পলাইন খোলা ছিল। এদিকে ব্রোকারেজ হাউসগুলো গতকাল যে সমস্যা মোকাবিলা করেছে, তা সমাধানে শনিবার সিএসইতে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে প্রধান নির্বাহী (দায়িত্বপ্রাপ্ত) সৈয়দ সাজিদ হোসাইন জানান।
এনজিটিএস সফটওয়্যারের বিশেষত্বের কথা বলতে গিয়ে সিএসই সভাপতি বলেন, 'এ সফটওয়্যারের কারণে বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে লেনদেন করা যাবে। এ ছাড়া ইকুইটি মার্কেট, ডেবট্ মার্কেট, ফিউচারস্ অ্যান্ড অপশনস্ মার্কেট, কমোডিটি মার্কেট ইত্যাদিকে ফ্যাসিলিট করবে। এর মাধ্যমে পুঁজিবাজারে সচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।'
সিএসই সূত্র জানায়, এনজিটিএস প্রতি সেকেন্ডে ৮০০ অর্ডার গ্রহণ করতে পারবে, যা বর্তমান ট্রেডিং সিস্টেমের অর্ডার ধারণক্ষমতার চেয়ে ১০০ গুণ বেশি। এনজিটিএস প্রতিদিন ১০ লাখ অর্ডার গ্রহণ করতে পারবে। এ সফটওয়্যার ইন্সটলেশনে সিএসইর প্রায় ৩৬ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সিএসইর সহসভাপতি আল মারুফ খান, এ কিউ আই চৌধুরী, তারেক কামাল, পরিচালক বিজন চক্রবর্তী, এ এস এম শহীদুল্লাহ, মোহাম্মদ মফিজউদ্দিন, মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (দায়িত্বপ্রাপ্ত) সৈয়দ সাজিদ হোসেনসহ সিএসইর সদস্যরা।
বিনিয়োগকারীদের প্রতিবাদ
সিএসইতে যখন নতুন সফটওয়্যারের উদ্বোধন হচ্ছিল তখন বাজারের অব্যাহত পতনের প্রতিবাদে কার্যালয়ের বাইরে ইনভেস্টরস ফোরাম অব চিটাগাংয়ের ব্যানারে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। এ সময় বিনিয়োগকারীরা সিএসইতে নতুন এনজিটিএস ট্রেডিং সফটওয়্যারে শেয়ার লেনদেন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। সংগঠনের সভাপতি আছলাম মোরশেদ বলেন, 'দীর্ঘদিন পর আজ শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। অথচ সিএসইর বিনিয়োগকারীরা নতুন এই সফটওয়্যারের কারণে সে সুযোগ গ্রহণ করতে পারছেন না।'
পরে আছলাম মোরশেদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সিএসই সভাপতির সঙ্গে দেখা করে। তারা বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে ফোর্স সেল বন্ধের জন্য সিএসই সভাপতি ফখর উদ্দিনের প্রতি দাবি জানায়। দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সিএসই সভাপতি এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট অভিযোগের বিপরীতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করেন।
তবে সিএসই সূত্রে জানা গেছে, নতুন সফটওয়্যারে ট্রেডাররা অনভ্যস্থ হওয়ার কারণে প্রথম কয়েক দিন লেনদেনে সমস্যা হতে পারে। তবে এ সমস্যা দ্রুত কাটিয়ে উঠবে। গতকাল প্রথম সোয়া এক ঘণ্টায় দুই কোটি ৫৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হলেও শেষদিকে এসে লেনদেনে কিছুটা গতি আসে। প্রথম দিন প্রাথমিক সমস্যা মোকাবিলার জন্য চট্টগ্রাম ছাড়াও ঢাকা ও সিলেটে সিএসইর হেল্পলাইন খোলা ছিল। এদিকে ব্রোকারেজ হাউসগুলো গতকাল যে সমস্যা মোকাবিলা করেছে, তা সমাধানে শনিবার সিএসইতে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে প্রধান নির্বাহী (দায়িত্বপ্রাপ্ত) সৈয়দ সাজিদ হোসাইন জানান।
এনজিটিএস সফটওয়্যারের বিশেষত্বের কথা বলতে গিয়ে সিএসই সভাপতি বলেন, 'এ সফটওয়্যারের কারণে বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে লেনদেন করা যাবে। এ ছাড়া ইকুইটি মার্কেট, ডেবট্ মার্কেট, ফিউচারস্ অ্যান্ড অপশনস্ মার্কেট, কমোডিটি মার্কেট ইত্যাদিকে ফ্যাসিলিট করবে। এর মাধ্যমে পুঁজিবাজারে সচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।'
সিএসই সূত্র জানায়, এনজিটিএস প্রতি সেকেন্ডে ৮০০ অর্ডার গ্রহণ করতে পারবে, যা বর্তমান ট্রেডিং সিস্টেমের অর্ডার ধারণক্ষমতার চেয়ে ১০০ গুণ বেশি। এনজিটিএস প্রতিদিন ১০ লাখ অর্ডার গ্রহণ করতে পারবে। এ সফটওয়্যার ইন্সটলেশনে সিএসইর প্রায় ৩৬ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সিএসইর সহসভাপতি আল মারুফ খান, এ কিউ আই চৌধুরী, তারেক কামাল, পরিচালক বিজন চক্রবর্তী, এ এস এম শহীদুল্লাহ, মোহাম্মদ মফিজউদ্দিন, মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (দায়িত্বপ্রাপ্ত) সৈয়দ সাজিদ হোসেনসহ সিএসইর সদস্যরা।
বিনিয়োগকারীদের প্রতিবাদ
সিএসইতে যখন নতুন সফটওয়্যারের উদ্বোধন হচ্ছিল তখন বাজারের অব্যাহত পতনের প্রতিবাদে কার্যালয়ের বাইরে ইনভেস্টরস ফোরাম অব চিটাগাংয়ের ব্যানারে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। এ সময় বিনিয়োগকারীরা সিএসইতে নতুন এনজিটিএস ট্রেডিং সফটওয়্যারে শেয়ার লেনদেন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। সংগঠনের সভাপতি আছলাম মোরশেদ বলেন, 'দীর্ঘদিন পর আজ শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। অথচ সিএসইর বিনিয়োগকারীরা নতুন এই সফটওয়্যারের কারণে সে সুযোগ গ্রহণ করতে পারছেন না।'
পরে আছলাম মোরশেদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সিএসই সভাপতির সঙ্গে দেখা করে। তারা বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে ফোর্স সেল বন্ধের জন্য সিএসই সভাপতি ফখর উদ্দিনের প্রতি দাবি জানায়। দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সিএসই সভাপতি এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট অভিযোগের বিপরীতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করেন।
No comments