বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন-ব্যবসার জন্য ভারতের চেয়ে বাংলাদেশ ভালো-দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে ভালো শ্রীলঙ্কা
ব্যবসা-বাণিজ্যের উপযোগী পরিবেশ রয়েছে_এমন দেশগুলোর তালিকায় গতবারের চেয়ে নেমে গেলেও ভারতের চেয়ে উঁচুতে রয়েছে বাংলাদেশের অবস্থান। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে স্বচ্ছতার সঙ্গে ব্যবসা করার সবচেয়ে ভালো পরিবেশ রয়েছে শ্রীলঙ্কায়। তারপর রয়েছে নেপাল, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের অবস্থান।গতকাল প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের 'ডুয়িং বিজনেস ২০১২ : ডুয়িং বিজনেস ইন এ মোর ট্রান্সপারেন্ট ওয়ার্ল্ড' প্রতিবেদনের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১২২, যা গতবারের অবস্থানের চেয়ে চার ঘর নিচে।
উৎপাদন ঘাটতির কারণে দীর্ঘদিন ধরে নতুন সংযোগ বন্ধ থাকায় বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য বিদ্যুৎ পাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে, সে জন্য ব্যবসা ও বিনিয়োগের উপযুক্ত পরিবেশের বিচারে দেশটির অবস্থান আগের চেয়ে নেমে গেছে।অন্যদিকে দ্রুত উন্নয়নশীল দেশগুলোর তালিকায় থাকলে ভারত ব্যবসাবান্ধব নয় বলে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে। ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে মূল্য সংযোজন কর দেওয়ার ব্যবস্থা করে ব্যবসার কাজ কিছুটা সহজ করায় দেশটি অবশ্য তালিকায় এবার সাত ধাপ এগিয়েছে। তবে ১৮৩ দেশের তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতির এ দেশটির ঠাঁই হয়েছে ১৩২তম স্থানে। এ তালিকায় ৮৯তম স্থানে থেকে ব্যবসা ও বিনিয়োগের জন্য দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে ভালো দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে শ্রীলঙ্কা। করপোরেট কর কমানো ও বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা বাড়ানোর মতো বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে গতবারের চেয়ে সাত ঘর এগিয়েছে দেশিটির অবস্থান। বিচার প্রক্রিয়ার সময় কমিয়ে তিন ধাপ এগিয়ে ১০১তম স্থানে রয়েছে নেপাল আর ক্ষুদ্র ব্যবসার মুনাফার ওপর কর বাড়ানোর মতো পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে ৯ ধাপ নিচে নেমে পাকিস্তান রয়েছে ১০৫-এ। তালিকার ১৪২তম নামটি ভুটানের, যদিও দেশটি চার ধাপ এগিয়েছে।
বিশ্বব্যাংক ও এর অঙ্গপ্রতিষ্ঠান আইএফসির যৌথভাবে তৈরি করা এ প্রতিবেদনে ১৮৩ দেশের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য ও বিনিয়োগসংক্রান্ত বিধান পর্যালোচনা করা হয়। এতে ব্যবসা শুরু করা, অর্থের প্রয়োজন মেটানো, দেশের বাইরে পণ্য বিক্রিসহ বাণিজ্যসংক্রান্ত ১০টি বিধি-বিধান কোন দেশে কতখানি সহজ, তা বিশ্লেষণ করা হয়। গত বছরের জুন মাস থেকে চলতি বছরের মে পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি এ প্রতিবেদনে বিভিন্ন দেশে বিদ্যুতের প্রাপ্যতাও বিবেচনায় আনা হয়। এতে দেখা যায়, আইসল্যান্ড, জার্মানি, তাইওয়ান, হংকং ও সিঙ্গাপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহ সবচেয়ে ভালো।
ব্যবসা-বিনিয়োগ করা সহজ_এমন দেশগুলোর তালিকায় এ বছর সবার ওপরে স্থান পেয়েছে সিঙ্গাপুর; তারপর রয়েছে হংকং, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র ও ডেনমার্কের নাম। শীর্ষ দশের তালিকায় প্রথমবারের মতো ঢুকেছে কোরিয়া।
প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, এক শরও বেশি দেশ ই-গভর্নেন্সের ক্ষেত্রে এগিয়েছে। এসব দেশে নিবন্ধন, কাস্টম্স ও আদালতে অভিযোগ দাখিলের কাজ ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে করা হওয়ায় সময় ও খরচ কমছে বলে জানান প্রতিবেদনের প্রধান গবেষক সিলভিয় সল্ফ।
বিশ্বব্যাংক ও এর অঙ্গপ্রতিষ্ঠান আইএফসির যৌথভাবে তৈরি করা এ প্রতিবেদনে ১৮৩ দেশের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য ও বিনিয়োগসংক্রান্ত বিধান পর্যালোচনা করা হয়। এতে ব্যবসা শুরু করা, অর্থের প্রয়োজন মেটানো, দেশের বাইরে পণ্য বিক্রিসহ বাণিজ্যসংক্রান্ত ১০টি বিধি-বিধান কোন দেশে কতখানি সহজ, তা বিশ্লেষণ করা হয়। গত বছরের জুন মাস থেকে চলতি বছরের মে পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি এ প্রতিবেদনে বিভিন্ন দেশে বিদ্যুতের প্রাপ্যতাও বিবেচনায় আনা হয়। এতে দেখা যায়, আইসল্যান্ড, জার্মানি, তাইওয়ান, হংকং ও সিঙ্গাপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহ সবচেয়ে ভালো।
ব্যবসা-বিনিয়োগ করা সহজ_এমন দেশগুলোর তালিকায় এ বছর সবার ওপরে স্থান পেয়েছে সিঙ্গাপুর; তারপর রয়েছে হংকং, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র ও ডেনমার্কের নাম। শীর্ষ দশের তালিকায় প্রথমবারের মতো ঢুকেছে কোরিয়া।
প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, এক শরও বেশি দেশ ই-গভর্নেন্সের ক্ষেত্রে এগিয়েছে। এসব দেশে নিবন্ধন, কাস্টম্স ও আদালতে অভিযোগ দাখিলের কাজ ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে করা হওয়ায় সময় ও খরচ কমছে বলে জানান প্রতিবেদনের প্রধান গবেষক সিলভিয় সল্ফ।
No comments