রাজধানীতে পর্যটন মেলা শুরু

দেশে প্রথমবারের মতো তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা গতকাল থেকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হয়েছে। বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী জিএম কাদের এ মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে পর্যটনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার ও সুন্দরবনের মতো ম্যানগ্রোভ বন থাকার পরও বিশ্বমানের পর্যটন অবকাঠামো সুবিধা ও শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় পর্যটকরা আমাদের দেশে আসতে চান না। বিশ্বে পর্যটন বাজার ধরতে হলে আমাদের অবশ্যই পর্যটকদের বিশ্বাসযোগ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।


একই সঙ্গে তিনি দেশে বিশ্বমানের হোটেল, মোটেল ও সড়কসহ সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে বলে মনে করেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার পর্যটনবান্ধব অবকঠামো নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। শিগগির সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে পর্যটনবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণে প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু হবে।
বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান এইচএম হাকিম আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান হেমায়েত উদ্দীন তালুকদার এবং ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবু নাসের আবদুজ জাহেরসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বিশ্ব অর্থনীতির ১০ শতাংশ শুধু পর্যটন শিল্পকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়। জগদ্বিখ্যাত ফেরারি বা মার্সিডিজ বেঞ্জের চেয়েও বড় ব্যবসা হচ্ছে পর্যটন শিল্প। এখনও বিশ্বের মোট বিনিয়োগের ৯ শতাংশ হচ্ছে এ খাতে। আর মোট কর্মসংস্থানের ৮ শতাংশই পূরণ করছে পর্যটন খাত। বাংলাদেশে মোট দেশজ উৎপাদনের মাত্র ২ দশমিক ৩ শতাংশ অবদান রাখছে পর্যটন শিল্প। তিনি বলেন, বিবিসির একটি জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর ৪ লাখ ৪০ হাজার পর্যটক বিদেশ যাচ্ছেন। কিন্তু বিদেশ থেকে আসছেন মাত্র ৩২ হাজার পর্যটক।
মেলায় ১৫টি দেশের প্রতিনিধিসহ মোট ২০০টি স্টল রয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত প্রদর্শনী চলবে। প্রবেশ টিকিটের মূল্য রাখা হয়েছে ২০ টাকা। মেলার মিডিয়া পার্টনার সমকাল।

No comments

Powered by Blogger.