জন্মস্থানে গাদ্দাফিকে হত্যা
লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির জন্মশহর সার্ত। আর এই শহরেই তাঁকে হত্যা করেছে ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিল (এনটিসি) অনুসারী সেনারা। গতকাল বৃহস্পতিবার সার্তের কাছে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এনটিসি অনুসারীদের হাতে ধরা পড়েন গাদ্দাফি। পরে তিনি মারা যান। তাঁর দুই পা, পেট ও মাথায় গুলি লেগেছিল। অভিযানে গাদ্দাফির ছেলে মুতাসিম, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান আবু বকর ও গোয়েন্দাপ্রধান আবদুল্লাহ আল সেনুসিও নিহত হয়েছেন বলে এনটিসি জানিয়েছে।
লিবিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী মাহমুদ জিবরিল ৪২ বছরের সাবেক শাসক গাদ্দাফি নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গতকাল ত্রিপোলিতে এক সংবাদ সম্মেলনে জিবরিল বলেন, 'আমরা অনেক দিন ধরে এই সময়ের অপেক্ষা করছিলাম। মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে হত্যা করা হয়েছে।'
এনটিসির ভাইস চেয়ারম্যান আবদেল হাফিজ ঘোগা বলেন, 'বিপ্লবীদের হাতে গাদ্দাফি নিহত হয়েছেন।' এনটিসির কর্মকর্তা মো. আবদেল কাফি জানান, গাদ্দাফির মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে মিসরাতা শহরে নিয়ে যাওয়া হয়। নিরাপত্তার স্বার্থেই এটা করা হয়েছে বলে তিনি জানান। অভিযানের বিস্তারিত পরে সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হবে বলে এক ই-মেইল বার্তায় জানিয়েছে এনটিসি।
গাদ্দাফি আটক এবং পরে নিহত হওয়ার খবরে বিভিন্ন স্থানে অন্তর্বর্তী সরকার এনটিসির অনুসারীরা বিজয় উৎসব করে। কেউ কেউ আকাশের দিকে ফাঁকা গুলি ছুড়ে উল্লাস প্রকাশ করতে থাকে।
আল-জাজিরা টেলিভিশনে এনটিসির ওই অভিযানের একটি ভিডিওচিত্র দেখানো হয়। এতে দেখা যায় এনটিসির সেনারা একটি রাস্তা দিয়ে গাদ্দাফির মরদেহ টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে। সাবেক এই শাসকের ঊর্ধ্বাঙ্গ খোলা ছিল। তাঁর মুখমণ্ডল রক্তমাখা এবং মাথায় গুলির চিহ্ন দেখা যাচ্ছিল।
লিবিয়ার তথ্যমন্ত্রী মাহমুদ শাম্মাম জানান, এনটিসির যোদ্ধারা তাঁকে গাদ্দাফির মরদেহ দেখতে পাওয়ার কথা জানিয়েছে। অন্য কর্মকর্তারাও গাদ্দাফি নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযান সম্পর্কে এনটিসির কর্মকর্তা আবদেল মজিদ দাবি করেন, স্থানীয় সময় গতকাল সকালে তাঁদের বাহিনীর হামলার মুখে সার্তের পতনের মুহূর্তে গাদ্দাফি একটি গাড়িতে করে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় ন্যাটো একটি জঙ্গিবিমান হামলা চালায়। গাদ্দাফি অনুসারীদের সঙ্গে এনটিসির ব্যাপক গোলাগুলি হয়। এর একপর্যায়ে গাদ্দাফি ধরা পড়েন। হামলায় তিনি মাথা ও দুই পায়ে আঘাত পান। পরে মারা যান। ওই অভিযানে তাঁর সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান আবু বকরও নিহত হয়েছেন।
তবে ইমাদ মুস্তাফ নামে এনটিসির এক যোদ্ধা জানান, এনটিসি যোদ্ধারা গাদ্দাফির বাংকারে অতর্কিত হানা দেওয়ার পর তিনি পালিয়ে যাচ্ছিলেন। দুই যোদ্ধা তাঁকে ধরতে গেলে তাঁদের উদ্দেশে তিনি 'গুলি করো না', 'গুলি করো না' বলে চিৎকার করতে থাকেন। কিন্তু তাঁর কথায় কর্ণপাত না করে এনটিসি সেনারা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
এনটিসির একাদশ ব্রিগেডের কমান্ডার আবদুল হাকিম আল জলিল জানান, তিনি গাদ্দাফির অনুগত সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান আবু বকর ইউনুস জবরের মৃতদেহ নিজের চোখে দেখেছেন। তিনি প্রমাণ হিসেবে সাংবাদিকদের জবরের রক্তাক্ত লাশের একটি ছবিও দেখান।
গাদ্দাফি নিহত হওয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট হারম্যান ভন রমপুয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, গাদ্দাফি নিহত হওয়ার মধ্য দিয়ে এক স্বৈরশাসক যুগের অবসান ঘটল। তবে এ ব্যাপারে ন্যাটো ও যুক্তরাষ্ট্রের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
এদিকে গাদ্দাফি সমর্থিত আল-লিবিয়া টেলিভিশনের ওয়েবসাইটে সাবেক এই স্বৈরশাসকের ধরা পড়া বা নিহত হওয়ার বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া হয়।
গত ২৩ আগস্ট রাজধানী ত্রিপোলির পতনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতাচ্যুত হন ৪২ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা গাদ্দাফি। এরপর থেকে তাঁর অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত কিছু জানা যাচ্ছিল না। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেছিলেন। সূত্র : এএফপি, বিবিসি, রয়টার্স, টেলিগ্রাফ, সিএনএন ও আল-জাজিরা অনলাইন।
সুড়ঙ্গে লুকানো গাদ্দাফির আর্তি 'গুলি কোরো না'
এনটিসির ভাইস চেয়ারম্যান আবদেল হাফিজ ঘোগা বলেন, 'বিপ্লবীদের হাতে গাদ্দাফি নিহত হয়েছেন।' এনটিসির কর্মকর্তা মো. আবদেল কাফি জানান, গাদ্দাফির মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে মিসরাতা শহরে নিয়ে যাওয়া হয়। নিরাপত্তার স্বার্থেই এটা করা হয়েছে বলে তিনি জানান। অভিযানের বিস্তারিত পরে সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হবে বলে এক ই-মেইল বার্তায় জানিয়েছে এনটিসি।
গাদ্দাফি আটক এবং পরে নিহত হওয়ার খবরে বিভিন্ন স্থানে অন্তর্বর্তী সরকার এনটিসির অনুসারীরা বিজয় উৎসব করে। কেউ কেউ আকাশের দিকে ফাঁকা গুলি ছুড়ে উল্লাস প্রকাশ করতে থাকে।
আল-জাজিরা টেলিভিশনে এনটিসির ওই অভিযানের একটি ভিডিওচিত্র দেখানো হয়। এতে দেখা যায় এনটিসির সেনারা একটি রাস্তা দিয়ে গাদ্দাফির মরদেহ টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে। সাবেক এই শাসকের ঊর্ধ্বাঙ্গ খোলা ছিল। তাঁর মুখমণ্ডল রক্তমাখা এবং মাথায় গুলির চিহ্ন দেখা যাচ্ছিল।
লিবিয়ার তথ্যমন্ত্রী মাহমুদ শাম্মাম জানান, এনটিসির যোদ্ধারা তাঁকে গাদ্দাফির মরদেহ দেখতে পাওয়ার কথা জানিয়েছে। অন্য কর্মকর্তারাও গাদ্দাফি নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযান সম্পর্কে এনটিসির কর্মকর্তা আবদেল মজিদ দাবি করেন, স্থানীয় সময় গতকাল সকালে তাঁদের বাহিনীর হামলার মুখে সার্তের পতনের মুহূর্তে গাদ্দাফি একটি গাড়িতে করে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় ন্যাটো একটি জঙ্গিবিমান হামলা চালায়। গাদ্দাফি অনুসারীদের সঙ্গে এনটিসির ব্যাপক গোলাগুলি হয়। এর একপর্যায়ে গাদ্দাফি ধরা পড়েন। হামলায় তিনি মাথা ও দুই পায়ে আঘাত পান। পরে মারা যান। ওই অভিযানে তাঁর সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান আবু বকরও নিহত হয়েছেন।
তবে ইমাদ মুস্তাফ নামে এনটিসির এক যোদ্ধা জানান, এনটিসি যোদ্ধারা গাদ্দাফির বাংকারে অতর্কিত হানা দেওয়ার পর তিনি পালিয়ে যাচ্ছিলেন। দুই যোদ্ধা তাঁকে ধরতে গেলে তাঁদের উদ্দেশে তিনি 'গুলি করো না', 'গুলি করো না' বলে চিৎকার করতে থাকেন। কিন্তু তাঁর কথায় কর্ণপাত না করে এনটিসি সেনারা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
এনটিসির একাদশ ব্রিগেডের কমান্ডার আবদুল হাকিম আল জলিল জানান, তিনি গাদ্দাফির অনুগত সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান আবু বকর ইউনুস জবরের মৃতদেহ নিজের চোখে দেখেছেন। তিনি প্রমাণ হিসেবে সাংবাদিকদের জবরের রক্তাক্ত লাশের একটি ছবিও দেখান।
গাদ্দাফি নিহত হওয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট হারম্যান ভন রমপুয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, গাদ্দাফি নিহত হওয়ার মধ্য দিয়ে এক স্বৈরশাসক যুগের অবসান ঘটল। তবে এ ব্যাপারে ন্যাটো ও যুক্তরাষ্ট্রের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
এদিকে গাদ্দাফি সমর্থিত আল-লিবিয়া টেলিভিশনের ওয়েবসাইটে সাবেক এই স্বৈরশাসকের ধরা পড়া বা নিহত হওয়ার বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া হয়।
গত ২৩ আগস্ট রাজধানী ত্রিপোলির পতনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতাচ্যুত হন ৪২ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা গাদ্দাফি। এরপর থেকে তাঁর অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত কিছু জানা যাচ্ছিল না। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেছিলেন। সূত্র : এএফপি, বিবিসি, রয়টার্স, টেলিগ্রাফ, সিএনএন ও আল-জাজিরা অনলাইন।
সুড়ঙ্গে লুকানো গাদ্দাফির আর্তি 'গুলি কোরো না'
No comments