আগারগাঁওয়ের 'গডফাদার' নূরু হাজি নিখোঁজ
রাজধানীর ৪১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আগারগাঁওয়ের 'গডফাদার' হিসেবে পরিচিত হাজি নূর মোহাম্মদ ওরফে নূরু হাজি 'রহস্যজনক' নিখোঁজ হয়েছেন। পরিবারের দাবি, গত বুধবার মধ্যরাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সাদা পোশাকে গিয়ে সাভারের বাসা থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায়। ওই সময় র্যাবের গাড়িও ছিল। তবে আটক বা গ্রেপ্তারের কথা অস্বীকার করেছে র্যাব। জানা গেছে, গত ১৪ জানুয়ারি ৪১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান হত্যা মামলার আসামি নূরু হাজি। ওই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে তিনি সম্প্রতি জামিনে ছাড়া পান। এরপর থেকে তিনি আগারগাঁওয়ে অবস্থান না করে সাভারে চলে যান।
স্থানীয় লোকজন জানান, জামিনে ছাড়া পেয়েই শ্যামলী এলাকার অল্প বয়সি এক মেয়েকে বিয়ে করে সাভারে বসবাস করছিলেন তিনি। কিন্তু কয়েক মাসের মাথায় নতুন বউয়ের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তাকে ডিভোর্স দিয়ে দেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সাভারের কাটলাপুরে নূরু হাজির নিজস্ব বাড়ি আছে। জানুয়ারিতে গুলিতে আহত হওয়ার পর তিনি সাভারের ওই বাড়িতেই থাকতেন। হাজি নূরের পুত্রবধূ মাকসুদা বেগম বলেন, বুধবার রাত ১টার দিকে বাড়িতে তার কক্ষসহ ভাড়াটেদের পাঁচটি কক্ষের দরজা বাইরে থেকে কে বা কারা তালা লাগিয়ে দেয়। চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে আমাদের দরজা খুলে দেয়। পরে তিনি দেখেন শ্বশুর (হাজি নূর) বাড়িতে নেই।
হাজি নূরের জামাতা জাহাঙ্গীর আলম জানান, যারা তার শ্বশুরকে ধরে নিয়ে গেছে, তাদের শরীরে র্যাব বা পুলিশের কোনো পোশাক ছিল না। তবে বাইরে ছয়টি গাড়ির মধ্যে র্যাবের দুটি গাড়ি ছিল বলে স্থানীয়রা দেখেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে র্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান জিয়াউল আহসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'সাভার এলাকা থেকে দায়িত্বরত র্যাব সদস্যরা নূর মোহাম্মদকে আটক করেনি।'
স্থানীয় সূত্র জানায়, ফজলুর রহমান হত্যাকাণ্ডসহ বেশ কয়েকটি মামলা আছে নূরু হাজির বিরুদ্ধে। আশির দশকে তিনি আগারগাঁও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করেন। নূরু হাজি ও তার ছেলেদের নিয়ন্ত্রণেই ছিল আগারগাঁওয়ের অপরাধ জগৎ।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সাভারের কাটলাপুরে নূরু হাজির নিজস্ব বাড়ি আছে। জানুয়ারিতে গুলিতে আহত হওয়ার পর তিনি সাভারের ওই বাড়িতেই থাকতেন। হাজি নূরের পুত্রবধূ মাকসুদা বেগম বলেন, বুধবার রাত ১টার দিকে বাড়িতে তার কক্ষসহ ভাড়াটেদের পাঁচটি কক্ষের দরজা বাইরে থেকে কে বা কারা তালা লাগিয়ে দেয়। চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে আমাদের দরজা খুলে দেয়। পরে তিনি দেখেন শ্বশুর (হাজি নূর) বাড়িতে নেই।
হাজি নূরের জামাতা জাহাঙ্গীর আলম জানান, যারা তার শ্বশুরকে ধরে নিয়ে গেছে, তাদের শরীরে র্যাব বা পুলিশের কোনো পোশাক ছিল না। তবে বাইরে ছয়টি গাড়ির মধ্যে র্যাবের দুটি গাড়ি ছিল বলে স্থানীয়রা দেখেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে র্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান জিয়াউল আহসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'সাভার এলাকা থেকে দায়িত্বরত র্যাব সদস্যরা নূর মোহাম্মদকে আটক করেনি।'
স্থানীয় সূত্র জানায়, ফজলুর রহমান হত্যাকাণ্ডসহ বেশ কয়েকটি মামলা আছে নূরু হাজির বিরুদ্ধে। আশির দশকে তিনি আগারগাঁও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করেন। নূরু হাজি ও তার ছেলেদের নিয়ন্ত্রণেই ছিল আগারগাঁওয়ের অপরাধ জগৎ।
No comments