নাশকতার মিশনে মাঠে নেমেছেন জঙ্গির কারিগর সালাহউদ্দিন
ভয়াবহ নাশকতার মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছেন শিবিরের সাবেক নেতা ও জঙ্গির পৃষ্ঠপোষক পিংকসিটির এম সালাহউদ্দিন। তাঁর তত্ত্বাবধানে সারা দেশ থেকে শিবিরের দুর্ধর্ষ কর্মীদের সংগঠিত করে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এসব শিবির ক্যাডার দিয়ে গঠিত 'রিজার্ভ ফোর্স'ই রাজধানীসহ সারা দেশে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।গত বুধবার রাজশাহীর জামায়াত নেতা ওবাইদুল্লাহ জামায়াত-শিবির আয়োজিত পথসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে আরেকটি ১৫ আগস্টের ঘটনা ঘটানোর প্রকাশ্য হুমকি দেন। রাজশাহী জেলা জামায়াতের এ নেতা পিংকসিটির এম সালাহউদ্দিনের বরাবরই খুব ঘনিষ্ঠ।
এর আগে গত বছর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সশস্ত্র নারকীয় হামলা ও ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে সালাহউদ্দিনের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিবিরের রিজার্ভ ফোর্স তাদের মিশন শুরু করে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীতে পুলিশের ওপর হামলা, গাড়িতে অগি্নসংযোগের পাশাপাশি তাণ্ডবলীলা চালিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এ বাহিনী। ওই ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত জামায়াত-শিবিরের বেশ কয়েকজন ক্যাডার এবং গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর খিলক্ষেতে পিংকসিটি জ্যানো ভ্যালি থেকে গ্রেপ্তারকৃত রাজশাহীর শিবির ক্যাডার সাজুর কাছ থেকে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা এমন তথ্য পেয়েছেন। আশঙ্কাজনক এমন তথ্য পাওয়ার পর গোয়েন্দারা এম সালাহউদ্দিনের ক্যাডার বাহিনীর খোঁজে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করছেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সালাহউদ্দিনের জঙ্গি ও সন্ত্রাসী তৎপরতার শুরু নব্বইয়ের দশকের প্রথম দিকে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) পড়ার সময় শিবিরের রাজনীতি শুরু করেন তিনি। বিষয়টি প্রকাশ পেলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে মূলত তাঁর ব্যবসার প্রসার ঘটে। এ সময় প্রভাব খাটিয়ে জমি দখল করে হাউজিং ব্যবসা শুরু করেন তিনি।
জানা গেছে, জামায়াতে ইসলামীর বিনিয়োগে গড়ে ওঠে পিংকসিটি। এর লভ্যাংশের বড় একটি অংশ ব্যয় হয় জঙ্গি ও শিবির ক্যাডারদের প্রশিক্ষণে। আর এর মূল দায়িত্ব পালন করছেন পিংকসিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সালাহউদ্দিন। জঙ্গি প্রশিক্ষণের পুরো বিষয়টি চলে পিংকসিটির ভেতরেই। এলাকাটি ঢাকার মূল শহর থেকে দূরে হওয়ায় সেখানে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের নিরাপদে লুকিয়ে প্রশিক্ষণ চালিয়ে যাওয়া অনেকটাই সহজ। এম সালাহউদ্দিন ছাড়াও এখানে শিবির ক্যাডারদের প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছেন জামালপুরের শিবির ক্যাডার সাইফুল ইসলাম বাশার, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার নূর মোহাম্মদ মণ্ডল ও রাজশাহীর বাঘমারার তারিকুল ইসলাম। প্রধানমন্ত্রীকে হুমকিদাতা জামায়াত নেতা ওবাইদুল্লাহও এখানে নিয়মিত যাতায়াত করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যার পর ছাত্রশিবির কোণঠাসা হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় শিবির ক্যাডাররা নাশকতার পথ বেছে নেয়। আর নাশকতা চালানোর জন্য রিজার্ভ ফোর্স গঠনের দায়িত্বটি নেন শিবিরের সাবেক ক্যাডার ও ১৬ মামলার পলাতক আসামি পিংকসিটির সালাহউদ্দিন। তাঁর তত্ত্বাবধানেই দেশের সন্ত্রাসকবলিত বিভিন্ন এলাকা থেকে চরমপন্থী ও শিবিরের দুর্ধর্ষ ক্যাডারদের সংগ্রহ করে পিংকসিটির ভেতরে সশস্ত্র প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। নিয়মিত প্রশিক্ষণের পর তারাই হয়ে উঠছে রিজার্ভ ফোর্সের সশস্ত্র সদস্য।
সূত্র জানায়, সালাহউদ্দিনের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের অনেক পলাতক সন্ত্রাসী পিংকসিটিতে চাকরির আড়ালে ক্যাডার হিসেবে কাজ করে। সালাহউদ্দিন এসব ক্যাডারকে ডুমনি এলাকায় জমি দখলের কাজে লাগাচ্ছেন। একই সঙ্গে প্রয়োজনে তাদের নাশকতার কাজেও ব্যবহার করা হচ্ছে। সশস্ত্র ও দুর্ধর্ষ এসব ক্যাডারের ভয়ে স্থানীয় লোকজন কিছু বলার সাহস পায় না।
জানা গেছে, জঙ্গি ও সন্ত্রাসী লালন ছাড়াও ফ্ল্যাট বিক্রির নামে চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে এই সালাহউদ্দিন প্রতারণার ফাঁদে ফেলছেন অনেক নিরীহ মানুষকে। নানাভাবে সালাহউদ্দিনের ফাঁদে পড়ে সারা জীবনের সঞ্চয় হারাচ্ছেন অনেকে। টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট কেনার পর দখল চাইতে গিয়ে সালাহউদ্দিনের সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলার শিকার হচ্ছেন_এমন মানুষের সংখ্যাও কম নয়।
মুজিবর নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, পিংকসিটির ভেতরে সাধারণ কোনো মানুষজন যেতে পারে না। সেখানে অপরিচিত লোকজনের আনাগোনাই বেশি দেখা যায়। স্থানীয় বাসিন্দা কেরামত আলী জানান, পিংকসিটির এমডি সালাহউদ্দিন জামায়াত ও জঙ্গিদের মদদদাতা। পিংকসিটির ভেতরের রহস্যজনক কর্মকাণ্ডে স্থানীয় লোকজনও আতঙ্কিত। রহস্যঘেরা এ পিংকসিটি আবাসিক এলাকা নিয়ে স্থানীয় লোকজনের অনেক অভিযোগ। এসব অভিযোগ তারা পুলিশসহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও অবহিত করেছে বলেও তিনি জানান।
স্থানীয় সূত্রগুলো আরো জানিয়েছে, পিংকসিটির আবাসিক এলাকাটি ভয়ংকর অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে।
পুলিশের কাছেও খবর রয়েছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যার পর শিবির ক্যাডারদের নিরাপদ আস্তানা হয়ে উঠেছে পিংকসিটি। তারা পিংকসিটির কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিচয়ে সেখানে আত্মগোপন করে আছে।
বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া এসব অভিযোগ সম্পর্কে একাধিকবার সালাহউদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। কলাবাগানে তাঁর অফিসে গেলে সেখান থেকে বলা হয়, 'স্যার এসব বিষয়ে কথা বলেন না।'
অনুসন্ধানে জানা যায়, সালাহউদ্দিনের জঙ্গি ও সন্ত্রাসী তৎপরতার শুরু নব্বইয়ের দশকের প্রথম দিকে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) পড়ার সময় শিবিরের রাজনীতি শুরু করেন তিনি। বিষয়টি প্রকাশ পেলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে মূলত তাঁর ব্যবসার প্রসার ঘটে। এ সময় প্রভাব খাটিয়ে জমি দখল করে হাউজিং ব্যবসা শুরু করেন তিনি।
জানা গেছে, জামায়াতে ইসলামীর বিনিয়োগে গড়ে ওঠে পিংকসিটি। এর লভ্যাংশের বড় একটি অংশ ব্যয় হয় জঙ্গি ও শিবির ক্যাডারদের প্রশিক্ষণে। আর এর মূল দায়িত্ব পালন করছেন পিংকসিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সালাহউদ্দিন। জঙ্গি প্রশিক্ষণের পুরো বিষয়টি চলে পিংকসিটির ভেতরেই। এলাকাটি ঢাকার মূল শহর থেকে দূরে হওয়ায় সেখানে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের নিরাপদে লুকিয়ে প্রশিক্ষণ চালিয়ে যাওয়া অনেকটাই সহজ। এম সালাহউদ্দিন ছাড়াও এখানে শিবির ক্যাডারদের প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছেন জামালপুরের শিবির ক্যাডার সাইফুল ইসলাম বাশার, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার নূর মোহাম্মদ মণ্ডল ও রাজশাহীর বাঘমারার তারিকুল ইসলাম। প্রধানমন্ত্রীকে হুমকিদাতা জামায়াত নেতা ওবাইদুল্লাহও এখানে নিয়মিত যাতায়াত করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যার পর ছাত্রশিবির কোণঠাসা হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় শিবির ক্যাডাররা নাশকতার পথ বেছে নেয়। আর নাশকতা চালানোর জন্য রিজার্ভ ফোর্স গঠনের দায়িত্বটি নেন শিবিরের সাবেক ক্যাডার ও ১৬ মামলার পলাতক আসামি পিংকসিটির সালাহউদ্দিন। তাঁর তত্ত্বাবধানেই দেশের সন্ত্রাসকবলিত বিভিন্ন এলাকা থেকে চরমপন্থী ও শিবিরের দুর্ধর্ষ ক্যাডারদের সংগ্রহ করে পিংকসিটির ভেতরে সশস্ত্র প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। নিয়মিত প্রশিক্ষণের পর তারাই হয়ে উঠছে রিজার্ভ ফোর্সের সশস্ত্র সদস্য।
সূত্র জানায়, সালাহউদ্দিনের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের অনেক পলাতক সন্ত্রাসী পিংকসিটিতে চাকরির আড়ালে ক্যাডার হিসেবে কাজ করে। সালাহউদ্দিন এসব ক্যাডারকে ডুমনি এলাকায় জমি দখলের কাজে লাগাচ্ছেন। একই সঙ্গে প্রয়োজনে তাদের নাশকতার কাজেও ব্যবহার করা হচ্ছে। সশস্ত্র ও দুর্ধর্ষ এসব ক্যাডারের ভয়ে স্থানীয় লোকজন কিছু বলার সাহস পায় না।
জানা গেছে, জঙ্গি ও সন্ত্রাসী লালন ছাড়াও ফ্ল্যাট বিক্রির নামে চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে এই সালাহউদ্দিন প্রতারণার ফাঁদে ফেলছেন অনেক নিরীহ মানুষকে। নানাভাবে সালাহউদ্দিনের ফাঁদে পড়ে সারা জীবনের সঞ্চয় হারাচ্ছেন অনেকে। টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট কেনার পর দখল চাইতে গিয়ে সালাহউদ্দিনের সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলার শিকার হচ্ছেন_এমন মানুষের সংখ্যাও কম নয়।
মুজিবর নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, পিংকসিটির ভেতরে সাধারণ কোনো মানুষজন যেতে পারে না। সেখানে অপরিচিত লোকজনের আনাগোনাই বেশি দেখা যায়। স্থানীয় বাসিন্দা কেরামত আলী জানান, পিংকসিটির এমডি সালাহউদ্দিন জামায়াত ও জঙ্গিদের মদদদাতা। পিংকসিটির ভেতরের রহস্যজনক কর্মকাণ্ডে স্থানীয় লোকজনও আতঙ্কিত। রহস্যঘেরা এ পিংকসিটি আবাসিক এলাকা নিয়ে স্থানীয় লোকজনের অনেক অভিযোগ। এসব অভিযোগ তারা পুলিশসহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও অবহিত করেছে বলেও তিনি জানান।
স্থানীয় সূত্রগুলো আরো জানিয়েছে, পিংকসিটির আবাসিক এলাকাটি ভয়ংকর অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে।
পুলিশের কাছেও খবর রয়েছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যার পর শিবির ক্যাডারদের নিরাপদ আস্তানা হয়ে উঠেছে পিংকসিটি। তারা পিংকসিটির কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিচয়ে সেখানে আত্মগোপন করে আছে।
বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া এসব অভিযোগ সম্পর্কে একাধিকবার সালাহউদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। কলাবাগানে তাঁর অফিসে গেলে সেখান থেকে বলা হয়, 'স্যার এসব বিষয়ে কথা বলেন না।'
No comments